আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তাক লাগানো বুদ্ধির জোর (ফানপোস্ট)

কিছু বলবো তারপর লিখবো আর সে জন্যই এখন শুধু দেখছি চারদিক


-) নেইল পলিশ কিনতে কিনতে বা কিনে দিতে দিতে পকেটের টাকা শেষ হবার মতো অবস্থা? বিকল্প কিন্তু নান্দনিক দিক টা একবার চিন্তা করেন তো। হ্যা, দোকান থেকে স্ট্যাম্প কিনে নখের আকৃতি অনুযায়ী তা কেটে নিন। তারপর পছন্দমতো আঠা লাগিয়ে নখে লাগিয়ে নিন। এবার লক্ষ্য করে দেখুন যে, প্রিয় মানুষ তো বটে ই, অন্যেদের ও চোখের দৃষ্টি আপনার নখ থেকে সরছে না ।



-) বাসায় মেহমান আসছে।

খাবার খেতে দেবার মুহূর্তে হরেক রকম চামচ, হাত মোছার রুমাল টেবিলে দিতে হবে। এগুলো যে সুন্দর একটা বক্স বা খুপরী করে দিবেন,তাও প্রয়োজনীয় সময়ে হাতের কাছে পাচ্ছেন না। চিন্তা নেই। ভাইয়ামনিদের প্যান্ট কেটে সেই পকেটে ই হরেক রকম চামাচ আর রুমাল রেখে খাবার টেবিলে রাখুন। এবার মেহমানদের অভিব্যাক্তি দেখুন ।

কি চমৎকার, তাই না?


-) বই পড়তে গেলে দু'দিকের পৃষ্ঠা খুব জ্বালাতন করে? যেই হাতে বই রেখে পড়বেন সেই হাতের বৃদ্ধা আঙ্গুলির মাপ মতো একটা পেজ হোল্ডার বানানোর জন্য কাঠের দোকানে আজই অর্ডার দিয়ে আসুন।


-) পুরনো রঙ্গিন রঙ্গিন কলমগুলো সংগ্রহ করে রাখতে চাচ্ছেন কিন্তু উপযুক্ত জায়গার অভাবে রাখতে পারছেন না? প্রয়োজন মতো একটা কার্টন বক্স সংগ্রহ করুন। টয়লেট পেপারের কিছু কাগজের মোটা হোল্ডার উক্ত কার্টন বক্সে রেখে তার মধ্যে এবার কলমগুলো রাখতে পারেন। তবে ওখান থেকে প্রয়োজনীয় কলম সহজেই যেন সংগ্রহ করতে পারেন সে জন্য টয়লেট পেপারের কাগজগুলো ভিন্ন ভিন্ন উচ্চতায় কেটে রাখতে পারেন।


-) আটা/ময়দা, চাল/ডাল কিংবা তেল/চিনি প্যাকেটে কিংবা বোতলে রাখার জন্য যে কক ব্যবহার করেন ঠিক সেটাতে পেরেক ঠুকে দেয়ালে আটকিয়ে দিন।

এবার ওর উপর ই আপনার পেশাকটি ঝুলিয়ে দিতে পারেন সহজে।



-) চপস্টিক দিয়ে খাবার খাওয়ার ব্যাপারে আপনার হয়তো কৌতুহলের অভাব নাই কিন্তু এটা দিয়ে খাবার খাওয়ার বিদ্যাটা আপনার আয়ত্বে নাই বিধায় কিছু করতে পারছেন না। মন খারাপ করে বসে থাকার দরকার নেই আর। কাপড় আটকানোর ক্লিপের লোহার আংটা টা চপস্টিকে ভালোমতো জড়িয়ে নিন। দেখুন তো এখন জাপানিদের মতো খাবার খাওয়া কত্তো সহজ !



-) পড়ালেখা করার সময় যদি ম্যাগাজিন পড়তে থাকেন তবে তো অভিবাবকরা আপনার পিঠে দু'একটা বেত্রাঘাত করতেই পারে।

খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু আপনার ও তো ঠিক ওই সময়টাতে প্রযোজনীয়/ শৌখিন কোন ম্যাগাজিন পড়া চাই। প্রতিকারের পথ বলে দিচ্ছি। বড় সাইজের একটা বইয়ের মলাট সংগ্রহ করে তাতে ভেতর থেকে ভালো মতো ম্যাগাজিন আটকে নিন। বসে বসে নিশ্চিন্তে পড়তে থাকুন আর আপনার অভিবাবক ও ভাববে " ইস, আমারা ছেলেটা/মেয়েটা কতো লক্ষী, সারাদিন লেখাপড়া করে"।





-) খালিপায়ে সকালে যখন হাটাহাটি কিংবা দৌড়ঝাপ করেন, হয়তো ঐ অবস্থাতেই সাইকেলে চড়ার প্রেকটিস টা ও সারতে চাইছেন। এক কাজ করেন। সাইকেলের পা রাখার ছোট্ট স্পেসটাতে আয়তন মতো ফোম কেটে নিন এবং তা ওইটার সাথে সেটে দিন। আপনার পা দুইটা এবার বুঝবে আরাম কাকে বলে।



-) বাসায় ড্রিল মেশিনের কাজ চলছে।

সেই আওয়াজে বেঁচে থাকা দায়। এক কাজ করুন। বাসায় ছোট্ট যে টেনেস বল আছে তা সমান দুই ভাগে কেটে হালকা রকমের কোন লোহার পাতের দুই প্রান্তে শক্ত করে আটকে হেডফোনের মতো কানে লাগিয়ে বসে থাকেন। আওয়াজের তীব্রতা কমে আসতে বাধ্য। পরিবারে ঝগড়া চলাকালেও এই বুদ্ধি বেশ কাজ দিবে।





-) আইসক্রিম খাবেন ভালো কথা কিন্তু এর ক্রমাগত পানি ভেসে পড়ায় আপনি বিরক্ত। এক কাজ করুন। মোট একটা কাগজ গোল করে কেটে তা হালকা সমতল রেখে তারপর উপরমুখ করে বাকা করে দিন। এবার শান্তি মতো আইসক্রিম খেতে থাকুন।


-) প্লাস্টিকের কাটাচামচটি প্রয়োজন মতো কেটে তার মাঝের দু্ইটি কাটা ফেলে দিন আর এখন তা মুখের উপরের মাড়িতে আটকে দিয়ে ভয় দেখিয়ে দিতে পারেন যে কাউকে।

বলার অপেক্ষা রাখে না যে আপনি এখন আসলেই রক্তচোষা ড্রাকুলা ।



বিশেষ ভাবে বলে রাখা প্রয়োজন যে, এই রকম বুদ্ধির পরিচয় দিতে গিয়ে যদি কোন নেতিবাচক পরিস্থিতির সম্মুখীন হন, তবে তার জন্য আমি দায়ী নই।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।