আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কত দূর যাবে টাইগাররা

'তোমাদের চোখে স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশ'-লেখা বিলবোর্ডগুলোর দেখা মিলে ঢাকা শহরের বড় বড় রাস্তার মোড়গুলোয়। বিলবোর্ডের ছবিতে দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে সিরিজ জয়ের ট্রফি নিচ্ছেন টাইগার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। পাশে দাঁড়ানো বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। বিলবোর্ডটিতে লেখা এই স্বপ্ন দেখানো মন্তব্যটি। মন্তব্যটি কি ভুল? দুই বছর আগে এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হারের পর ক্রিকেটারসহ দেশের ১৬ কোটি ক্রিকেটপ্রেমী কেঁদেছিলেন।

এবারের এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারের পরও একই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল ক্রিকেটপ্রেমীদের। পরশু আনকোরা হংকংয়ের কাছে হারের পর সমালোচনায় বিদ্ধ হয়েছেন ক্রিকেটাররা। চূড়ান্ত পর্বে খেলতে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ভারত, পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। কঠিন সব প্রতিপক্ষ। পারফরম্যান্সের গ্রাফের উঠা-নামার পরও স্বপ্ন দেখছেন ক্রিকেটভক্তরা।

ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ বলেই হয়তো স্বপ্নের পরিধি বড়। কিন্তু সত্যিকার অর্থে কত দূর যাবেন মুশফিকরা? আগের আসরে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। মুশফিকরা খেলছিলেনও ভালো। তাই এবারের এশিয়া কাপে ভালোকিছুর প্রত্যাশা ছিল ক্রিকেটপ্রেমীদের। কিন্তু আসরের সবগুলো ম্যাচে হেরে হতাশায় ডোবায় দেশবাসীকে।

ক্রিকেটারদের বাজে পারফরম্যান্সের পর সবাই প্রায় ধরেই নিয়েছিলেন টি-২০ বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের গণ্ডি পেরোতে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে টাইগারদের। হয়েছেও তাই। যদিও গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচে আফগানিস্তান ও নেপালকে দাঁড়াতেই দেননি মুশফিকরা। উড়িয়ে দেন দাপুটে ক্রিকেট খেলে। কিন্তু তৃতীয় ম্যাচে হংকংয়ের কাছে শেষ ওভারে হেরে যায় ব্যাটিং ব্যর্থতায়।

আগের দুই ম্যাচে যেখানে দুরন্ত ফর্মে ছিলেন ব্যাটসম্যানরা, সেখানে হংকংয়ের বিপক্ষে তাদেরই মনে হয়েছে ছায়া। বিশেষ করে মিডল অর্ডার ও লেট মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা এতটাই বাজে ব্যাটিং করেন যে, ১৬.৩ ওভারে ১০৮ রানে শেষ হয়ে যায় টাইগারদের ইনিংস। শেষ ৭ উইকেট হারায় মাত্র ২৩ রানে। আইসিসির একটি সহযোগী দেশের বিপক্ষে এমন বাজে ব্যাটিং করবেন মুশফিকরা তা আশা করেননি কেউই। কিন্তু করেছেন, এটাই সত্যি।

এমনটা হয়েছে পরিকল্পনার অভাবে। প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ এমনটি বলেন। চূড়ান্ত পর্বে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ২৫ মার্চ, প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয় ম্যাচ ২৮ মার্চ, ভারত; ৩০ মার্চ পাকিস্তান এবং ১ এপ্রিল অস্ট্রেলিয়া। ওয়ানডে ক্রিকেটে টাইগারদের চার প্রতিপক্ষই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন।

এর মধ্যে অবশ্য টি-২০ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া ছাড়া বাকি তিন দলই। চার কঠিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে টাইগারদের সম্ভাবনা কতটুকু? পরিসংখ্যান কিন্তু পক্ষে কথা বলছে না টাইগারদের। চার দলের মধ্যে একমাত্র ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই জয় রয়েছে টাইগারদের। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে চার ম্যাচে দুই দলেরই সাফল্য সমান। এর মধ্যে ২০০৭ সালের প্রথম টি-২০ বিশ্বকাপে ক্যারিবীয়দের হারিয়ে সুপার এইটে জায়গা করে নিয়েছিল টাইগাররা।

এরপর মুশফিকের অধিনায়কত্বের ম্যাচে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে একটিমাত্র ম্যাচ খেলেছিল ২০০৯ সালের টি-২০ বিশ্বকাপে। হেরেছিল টাইগাররা। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬টি ম্যাচ খেলে হেরেছে সবগুলোই। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই ম্যাচেই হেরেছে।

সুতরাং প্রতিপক্ষ হিসেবে দলগুলো কতটা কঠিন সেটা পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে। তাই টি-২০ বিশ্বকাপে কত দূর যাবে টাইগাররা সেটা সময়ই বলবে।

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।