আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভালোবাসা ও অপেক্ষা

মানুষ হিসেবে বেশ বোকা ও বন্ধুসুলভ । চেষ্টা করি মানুষের পাশে দাঁড়াতে । অবাক হই এদেশের রাজনীতি দেখে । তবু লেখালেখিতে ভালোবাসা , আবেগ , অনুভূতি আর কষ্টকে প্রাধাণ্য দেই । জোছনার মাদকতা আমায় টানে ।

বৃষ্টির শব্দে জুড়ায় আমার প্রান । কফি বা চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে

ক্লাসে গিয়ে তারেক তো পুরো অবাক ! ক্লাসে একটা সুন্দরী মেয়ে । তাও আবার তার সিটে বসেছে । তারেক স্কুল ক্যাপ্টেন ব্যাজ ঠিক করে নিলো ।

গিয়ে পাশে দাঁড়িয়ে গম্ভীরমুখে বললোঃ এটা আমার সিট ।

উঠে পড়ো ।
মেয়েটাই বা কম কিসে ?
উঠে দাঁড়িয়ে বললোঃ সিটে তোমার নাম লেখা আছে কোথাও ? নজরে পড়েনি ।

তারেক খানিকটা অবাক হয়।
চুপ করে বসে পড়ে পিছের দিকে ।

দশম শ্রেনীর ক্লাস , সপ্তাহ দুয়েক ক্লাস শুরু হয়েছে ।

মেয়েটাও নতুন । তারেক ভেবে রাখে আজ মেয়েটাকে শিক্ষা দিবে ।
কিন্তু ফাঁকিবাজের দল কেউ ক্লাসে আসছে না ।

একদল যাবে প্রেম করতে অন্যদল স্কুলের এখানে ঐখানে । যে দুইটা চারটা আসবে সেগুলা খালি বই পড়ে ।



খানিকবাদে জি এম স্যার ক্লাসে ঢোকে । দেখে সুন্দরী মেয়েটার পিছে তারেক বসা । দেখেই হুংকারঃ
দেশে কি কায়দা কানুন উঠে গেছে । মেয়ে হতে মন চাইলে কানে দুল পড়ে আসবি । পেছন পেছন কি রে ।



তারেক আমতা আমতা করে জবাব দিতে যায় তার আগেই স্যার থামিয়ে দেয় । জানালার পাশের সিটটা বেদখল হতেই মন খারাপ করে তারেক ।

জানতে পারেঃ মেয়েটার নাম সামিয়া । নতুন এসেছে ।

ক্লাসশেষে বাড়ি ফেরার সময় দেখে মেয়েটা পিছে লেগে আছে ।

কয়েকবার খেয়াল করে দেখে কিন্তু মেয়েটার ভাবান্তর নেই । দেখতে দেখতে রাস্তার খাম্বায় প্রায় মাথা ঠুকে গিয়েছিলো ।

ঝাড়ি দিতে যাচ্ছিলো কিন্তু দেখে মেয়েটি পাশের বাড়ির গেট দিয়ে হাসতে হাসতে ভেতরে ঢুকে গেল।

ড্রেস চেন্জ করে থ্রি কোয়ার্টার পড়ে বারান্দায় এসে দেখে অপর পাশের বারান্দায় একটা টিয়ে পাখিকে ।
একটু পরে সামিয়া আসে ।



রাগ করে ভেতরে যায় তারেক ।

এভাবেই চলতে থাকে ।

সন্ধ্যায় ছাদে গান করতে গেলেই পাশের বাসার ছাদ থেকে কাগজ ছুড়ে দৌড়ে পালায় কেউ । পাশের বাড়ির ছাদ একতলা বেশী উঁচু তাই জানা হয় না ।

এভাবেই চলতে থাকে ।

প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে কথা হয় ।
তবে বন্ধুত্ব হয় এস এস সি আগে ।

ফেসবুক আইডি দেয় সামিয়া কিন্তু তারেকের আইডি নেই ।

এস এস সি পরীক্ষার পরে তারেক সামিয়াকে প্রপোজ করা সিদ্ধান্ত নেয় ।

কিন্তু পরীক্ষা শেষ হতেই ওরা চলে যায় ।

আগের নাম্বারটাও বন্ধ ।

শেষ উপায় খুঁজতে ফেসবুকে যায় । দেখে সামিয়ার সাথে একটা কিউট ছেলের ছবি । রিলেশানশিপ স্ট্যাটাস In a relationship.

তবু মনের কথা গুছিয়ে কিছু কথা লিখে পাঠিয়ে দেয়। আর বলে তার বি এফ কে তার পাশে বেশ মানায় ।



তারপর আইডি ডিএকটিভ করে দেয় ।

রাতে হঠ্যাত্‍ খেয়াল করে ফোন বাজছে ।
ফোনটা ধরতে ইচ্ছে করে না ।
গীটারে টুংটাং করতে করতেই ফোনটা হাতে নেয় । দেখে সামিয়া ।


ফোন কেটে দেয় রাগ করে ।

সামিয়া টেক্সট করেঃ গাধা ও আমার খালাত ভাই। ইন রিলেশানশীপ না দিলে সবাই ডিস্টার্ব করে । আর আমি ঐ কলেজেই ভর্তি হবো ।
আর বলতে এত সময় লাগলো ক্যান ? আমি তো জানতামই ....

কল দেয় তারেক ...

আজ কলেজের প্রথমদিন ।


তারেক সবার আগে ক্লাসে গিয়ে বসে থাকে ।
অপেক্ষা করে সামিয়ার ।

হঠ্যাত্‍ দেখে সামিয়া আসছে ।

কিন্তু
তার আগেই স্যার আসে । এসেই বলেঃ মেয়েদের সিটে বসা মোটেও ভালো লক্ষণ নয় ।



মুখ কালো করে উঠে বসে পাশের বেঞ্চে । সামিয়া বসে তারেকের বসা সীটে ।

অপেক্ষা করতে থাকে ছুটির ঘন্টার ...

লিখাঃ কাব্যপ্রেমী রিফাত । ।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     বুকমার্ক হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.