আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কর্পোরেট প্রেমিকা

মানুষ হিসেবে বেশ বোকা ও বন্ধুসুলভ । চেষ্টা করি মানুষের পাশে দাঁড়াতে । অবাক হই এদেশের রাজনীতি দেখে । তবু লেখালেখিতে ভালোবাসা , আবেগ , অনুভূতি আর কষ্টকে প্রাধাণ্য দেই । জোছনার মাদকতা আমায় টানে ।

বৃষ্টির শব্দে জুড়ায় আমার প্রান । কফি বা চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে

- আমাকে স্পর্শ করবে না !
: আশ্চর্য ! হাতটাই তো ধরেছি ।
- না করেছি না ? এসব অন্যদের সাথে করবে ?
: অন্য কারো সাথে মানে কি ? হাত ধরতে অন্য একটা প্রেম করবো ?

হঠ্যাত্‍ ফারিয়ার ফোনটা বেজে উঠে । বর্ষনকে চুপ করতে বলে মেয়েটি ফোন ধরে । একটা ঠিকানা লিখে ।

অপরপাশে যে একজন ছেলে তা বেশ বোঝা যাচ্ছে । ঠিকানা লিখে দ্রুত ভ্যানিটি ব্যাগে ঢুকিয়ে রাখে ।

তারপরঃ
- বর্ষন , আজ শপিং করা লাগবে ।
: ওকে । চল ।



প্রাইভেট কারে উঠতেই ফারিয়া সাজতে শুরু করে । লাল রঙ এর কড়া লিপস্টিক । দেখতে দেখতে বর্ষন প্রশ্ন করেঃ
- যে ঠিকানা লিখলে ঐটা তো ভালো জায়গা না । ঐখানে কি কাজ ।

হাত থেকে আয়নাটা পড়ে যায় ফারিয়ার ।

রাগ করে বলেঃ
: গাড়ি থামাও । আমাকে ডাউট করো ?
- সন্দেহ ? আমি ?
: সবসময়ই তো করো ।
- তুমি তো অনেক ছেলের সাথে বের হও । কিছু বলেছি । শপিং মলে অনেক ছেলের সাথে দেখেছি ।

এমনকি মাতাল অবস্হায় একদিন নিজে বন্ধুর বাসা থেকে এনেছি । আর ...
: Stop it. you son of bitch.
- ফারিয়া !
: just shut up and stop the car.

বর্ষন গাড়ি থামাতেই মেয়েটা নেমে যায় ।

সময়ঃ
রাতঃ সাড়ে বারোটা ।
বর্ষন ছদ্মবেশ নিয়েছে । সাথে আছে দুজন বন্ধু ।

ওরা যেখানে এসে দাঁড়িয়েছে এটা একটা রেড পার্টি প্লেস।
স্বল্প আলো আর স্কার্ট পড়া মেয়েরা এলোমেলো ঘুরছে ।

বিয়ার আর শ্যাম্পেইন ছাড়াও সিগারেটের উত্‍কট গন্ধ ।

বেশি দেরী করতে হলো না । ফারিয়া একটা ছেলের সাথে আসে ।



ভেতরে এসেই ফারিয়াকে কিস করে।
একপাশে গান বাজছে । তার সামনে সব নাচছে । এলে পড়ছে এর ওর শরীরে ।
পাশে আছে খুপরী টাইপ ঘর ।



টলতে টলতে সব কাপল হয় ঢুকছে । ফারিয়া সাথে আসা ছেলেটাও গেল কাউকে নিয়ে ।

বর্ষন ফারিয়ার কাছে যেতেই ফারিয়া বলেঃ
টেন থাউসেন্ড ফর টু আওয়ারস।

বর্ষন উয়িগ [পরচুলা] খুলে ফেলে দেয় ফারিয়ার পায়ের কাছে । চোখ ভর্তি জল থৈ থৈ করছে ।



ফেলে দিয়ে বাইরে এসে ড্রেনে মুখ ভরে বমি করে ।

অবাক হয়ে ভাবে , দশ হাজার টাকা ? মাত্র ? ফারিয়ার বাবা নিজেও তো কোটিপতি । বর্ষনেরই বা কি নেই ?

শরীর মূল্য এত কম ? ছিঃ ছিঃ
মেয়েটা কি তাকে কখনোই ভালোবাসতো ? খারাপ দেখায় বলে হাতটা পর্যন্ত ধরতে পারেনি ।

অথচ ? কি সহজেই শরীরটা ...

ভাবতেই আবার মাথা গুলিয়ে ওঠে । ফারিয়ার মুখ ভেসে উঠতেই দ্বিতীয়বার বমি করে ।



দ্রুত গাড়ি চালিয়ে আসতে থাকে । অল্পের জন্য এক্সিডেন্ট করতে বেঁচে যায় ।

রাত ৪ টায় নক করে দরজায় । প্রথম এত রাত করে বাসায় ফিরেছে । দেখে মা জেগে আছে ।

টেবিলে খাবারটা পর্যন্ত গরম ।

প্রথমে খেতে চায় না । পরে খায় । ফারিয়ার জন্য কষ্ট পেয়ে কি হবে ? বর্ষনের খেতে কষ্ট হয় । তবু মা এসে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতেই কেঁদে ফেলে ।



ভালোবাসা কি দুষ্প্রাপ্য ? হ্যাঁ মায়ের মত ভালোবাসা বা যত্ন কারো কাছে আশা করা ভুল ।

আমরা ভুল মানুষের আবেগকেই ভালোবাসি অন্ধের মত । দিনশেষে চোখের জল ফুরিয়ে হয়ে যাই একা । ভীষণ একা ।

পাদটীকাঃ পশ্চিমা ধাঁচের গল্প ।

মোটেও অবাস্তব গল্প না ।

কিছু মেয়ের ভালোবাসা কেবল বস্তুকেন্দ্রিক স্বার্থ নিহিত । নিজেদের নিয়ে মহাব্যস্ত বলে অন্যকে বুঝতে চায় না । ভালোবাসতে পারে না কাউকেই । মানিব্যাগের স্বাস্হ্য কমাতে পারদর্শী।



মোরালঃ কর্পোরেট প্রেমিকা হইতে সাবধান।
লিখাঃ কাব্যপ্রেমী রিফাত । ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     বুকমার্ক হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.