আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

 বার্মা ঘুরাঘুরি এবং রোহিঙ্গাদের কান্না!! -পর্ব -৪

যখন পেয়েছি পথের দেখা তখন আবার দিকভ্রান্ত হয়ে হারিয়েছি পথ.........

পর্ব-১
পর্ব-২
পর্ব-৩


খাবার খেয়ে হোটেলের মালিককে জিজ্ঞাসা করলাম বাংলাদেশে ফোন করা যায় কোথা থেকে। সে আমাদের একজন লোক দিয়ে দিলো বললো তার সাথে যেতে। তার সাথে চিপা চুপা ঘুরে এক বাড়িতে এসে পরলাম! এসেতো অবাক দেখি অনেক লোক এখানে কল করছে। আমি বললাম আমাদের একটা মোবাইল দেন আমারা বাংলাদেশে কথা বলবো। সে একটা মোবাইল দিলো মোবাইল নিয়ে তো আমি অবাক!! বাংলালিংক!! তাও আবার ফুল নেটওয়ার্ক।

যাই হোক বাসায় ফোন দিলাম এবন সবাইকে জানালাম আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।
বাজার ঘুরে তেমন কিছু কেনাকাটার না পেয়ে শহরে ঘুরতে গেলাম।
শহরের মাঝখানে ঘড়ির টাওয়ার


হাটতে হাটতে রোহিঙ্গা পাড়ায় চলে গেলাম।



এখানে যেয়ে মনে হলো চিড়িয়াখানা থেকে কোনো প্রানী ভেগে এসেছে । সবাই আমাদের দেখার জন্য জড়ো হচ্ছিলো।

ছবি তুলার চেষ্টা করতেই সবাই উঠে পরে দৌড়।


এখানে পানির মধ্যে তাল পাতা ভিজিয়ে রেখেছে। এগুলো দিয়ে হাত পাখা বানায় জানি আর কিছু করে কিনা জানি না!!


এবার শহরের অন্য দিকে গেলাম। অইদিকে একটা পার্কের মত পেলাম। পার্কে ঢুকতেই একটা গোডাউনের মতো আছে।




পার্কের ভিতর একটা মূর্তি! ভালোই লাগলো এটা দেখে।


সামনে একটা দোকান পেয়ে মনে পরলো সাবান আনিনি এবং একজন ব্রাশ আনেনি। তাই একটু কেনাকাটা।


সামনেই একটা সুন্দর বৌদ্ধ মন্দির।



সন্ধ্যা হয়ে এলো তাই খাবার খেতে যেতে হবে আগেই বলেছি ৬/৭ টার মধ্যে সব দোকান পাট বন্ধ হয়ে যায়।

কিন্তু খাবারের দোকানে যেয়েতো অবাক দোকান ৫টায় বন্ধ হয়ে গেছে। কি আর করা হাবি জাবি খেয়ে পেট ভরালাম। কিন্তু মনে একটা খুঁতখুঁতানি রোহিঙ্গাদের দোকান বন্ধ কিন্তু মগদের দোকান খোলা কেনো।

যাই হোক সন্ধ্যার মধ্যে হোটেলে চলে এলাম। এসে শুনি প্রতিদিন ৮টার পর থেকে এখানে কারফিউ শুরু হয়।

আবার এখানে কারেন্টের আজব এক নিয়ম ৮টার দিকে আসবে ১২ টার দিকে চলে যাবে। আবার রাত ৪টায় আসবে ৬টায় চলে যাবে। প্রায় প্রতিটি দোকানে সোলার লাগানো আছে। রোহিঙ্গাদের থেকে রাখাইনরা অনেক সচ্ছল।
রোহিঙ্গারা সবসময় একটা আতঙ্কে থাকে।

যাই হোক আমার শিরোনাম ছিলো বার্মা ঘুরাঘুরি এবং রোহিঙ্গাদের কান্না!! বার্মা ঘুরাঘুরি নিয়ে যতটুকু পেরেছি লিখেছি পরের পর্বে রোহিঙ্গাদের নির্যাতিত জীবন এবং শহরের কিছু অংশের বর্ণনা ও আমাদের বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার কথা লিখবো। কথা দিচ্ছি একটু বড় করে লিখে শেষ করবো।
আপনারা হয়তো মনে মনে বলছেন এতো কম ছবি দিচ্ছি কেনো!! আসলে শহরের সব যায়গায় পুলিশ তাই তাদের ফাকি দিয়ে যতোটুকু পেরেছি ছবি তুলেছি। সামনের পর্বেও কিছু ছবি দিবো। দেশে আসার সময় আমাদের নৌকা আটকে গিয়েছিলো তার মজার কাহিনী নিয়ে লিখবো!!












অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।