আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডা. শিমুলের জামিন

রোববার রাজশাহী মহানগর হাকিম শারমিন সুলতানা এই চিকিৎসকের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগের এক মামলায় গত ২৭ মার্চ আদালত স্বাচিপের এই নেতাকে কারাগারে পাঠালে তার প্রতিবাদে আন্দোলনে নামে চিকিৎসকরা।  
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. শিমুল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের চিকিৎসক।
তার আইনজীবী আসলাম সরকার বলেন, পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন পর্যন্ত ডা. শিমুলকে জামিনে থাকার আদেশ দিয়েছে আদালত। ফলে তার  মুক্তি পেতে আর কোনো বাধা নেই।


তবে অনিয়মের মাধ্যমমে শিমুলকে জামিন দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বাদি পক্ষের আইনজীবী সোহেল রানা।
তিনি বলেন, অভিযোগপত্র হওয়ার আগ পর্যন্ত পুলিশ কেস হিসেবে জিআরও এর নথির ভিত্তিতে মামলাটি পরিচালনা করা হয়। সাধারণত সাত দিনের আগে এসব মামলার শুনানির আবেদন আদালত গ্রহণ করে না।
“কিন্তু এ মামলার ক্ষেত্রে আদালতের (বিচারকদের নিজস্ব নিয়ম) নিয়ম ভেঙে তিন দিনের দিন আদালত শুনানির আবেদন গ্রহণ করে জামিন দিয়েছে। ”
বাদির আইনজীবী বলেন, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পুলিশ কেসগুলো মহানগর হাকিম আদালত-১ এর বিচারক নিশ্বনাথ মণ্ডল দেখতেন।

কিন্তু রোববার পুলিশ কেসগুলো মহানগর হাকিম আদালত-৩ এ শারমিন সুলতানার আদালতে নেয়া হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) ইব্রাহীম হোসেন আসামির জামিনের বিরোধিতা না করে জামিনের পক্ষে শুনানি করেছেন বলে অভিযোগ করেন সোহেল রানা।
তবে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কোনো মন্তব্য করতে চাননি পিপি ইব্রাহীম হোসেন।
গত ২৯ জানুয়ারি শিমুলের ডলফিন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ব্যবসায়ী আনোয়ারুল হক টিপু। ভুল চিকিৎসার অভিযোগে টিপুর স্ত্রী শারমিন আক্তার তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বোয়ালিয়া থানায় একটি মামলা করেন।


ওই মামলায় গত ২৭ মার্চ আদালতে হাজির হলে শামিলকে কারাগারে পাঠান মহানগর হাকিম বিশ্বনাথ মণ্ডল।
এর প্রতিবাদে ওই দিন বিকেল ৪টা থেকে সকল বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনেস্টিক সেন্টার বন্ধ করে ধর্মঘটে যান চিকিৎসকরা।
রোববার দুপুর ১২টার মধ্যে শিমুলের মুক্তির আল্টিমেটাম দিয়ে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে ধর্মঘট স্থগিত করেন তারা।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।