সিরাজগঞ্জ শহরের একটি ৬ তলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে গুরুতর আহত কলেজ ছাত্রী মাহমুদা খাতুন লিজা (১৮) অবশেষে মৃতু্যর কাছে হার মেনেছে।
গত ৫ দিন তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাভারের এনাম মেডিকেল হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় আজ বিকেল সোয়া ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়। সে সিরাজগঞ্জ জেলা জজ আদালতের পেশকার লিয়াকত আলীর মেয়ে ও সিরাজগঞ্জ সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের এইচ.এস.সি ১ম বর্ষের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী।
লিজার মৃত্যু সংবাদ নিশ্চিত করে তার বড় ভাই রাজু আহম্মেদ জানান, লিজার মৃতদেহ বাড়িতে নেয়ার প্রস্তুতি চলছে। চিকিৎসা কাজে ব্যস্ত থাকায় এখনও মামলা করা হয়নি।
আহত ছাত্রীর মামা মিন্টু জানান, পরিবার-পরিজন নিয়ে তার বোন জামাই শহরের এস,এস রোড়ের বিআরবি ভবনের ৪র্থ তলায় ভাড়া থাকত। ২৫ মার্চ বিকেলে ভাগ্নি লিজাকে তার এক বান্ধবী বাসা থেকে ডেকে পাশ্ববর্তী ফেন্ড্রস প্লাজার ৬ তলার ছাদে নিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পরই ছাদ থেকে পড়ে লিজা গুরুতর আহত হয়। তবে সে ছাদ থেকে লাফ দিয়েছে, নাকি তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়া হয়েছে সে বিষয়টি আমরা নিশ্চিত নই। আহত লিজাকে প্রথমে সিরাজগঞ্জের একটি ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিত্সা দেয়ার পর ওই দিন রাতেই সাভারের এনাম মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার দিন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লিজার এক বান্ধবী জানিয়েছিল, ফ্রেন্ডস প্লাজার মালিক সুনীল চন্দ্রের ছেলে রাজিব ও লিজার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। হিন্দু ছেলে আর মুসলমান মেয়ের মধ্যে প্রেমের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর উভয় পরিবারের মধ্যে একাধিকবার ঝগড়া হয়। ঘটনার দিন বান্ধবীর মাধ্যমে রাজিব প্রেমিকা লিজাকে তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যাবার পরই ছাদ থেকে পড়ে লিজা আহত হয়।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।