আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লক্ষ্মীপুরে সংবাদকর্মীদের কাজে বাধাদানের অভিযোগ

লক্ষ্মীপুরে পৌর মেয়র আবু তাহেরের বাহিনীর সদস্য ও পুলিশ বেসরকারি টেলিভিশন এনটিভি এবং একাত্তরের সাংবাদিকদের কাজে বাধা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

কাল সোমবার এ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে। লক্ষ্মীপুরে পৌর মেয়র তাহেরপুত্র সালাহউদ্দিন টিপু এখানে নির্বাচন করছেন।

আজ রোববার রাতে লক্ষীপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বাইরে এনটিভির সংবাদকর্মীরা উপজেলা নির্বাচনে ভোটের চিত্র প্রচারের জন্য মহড়া দিচ্ছিলেন। এ সময় সদর থানার ওসি (তদন্ত) এনাম আহমেদের  নেতৃত্বে একটি দল তাদের বাধা দেয়।

এ সময় তাহের বাহিনীর সদস্যেরাও তাদের বাধা দেন।

এ ব্যাপারে এনটিভির জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক চয়ন রহমানের দাবি, ওসি তাদের বলেছেন ভোট সরাসরি প্রচার করা যাবে না। তবে রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাহাদাত পারভেজ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি আমাদের জানান, কেন্দ্রের বাইরে থেকে প্রচার করা যাবে।

এদিকে সদরের অপর একটি কেন্দ্রে একাত্তর টিভির সংবাদকর্মীদের সঙ্গে একই আচরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তবে এ ব্যাপারে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে সদর থানার ওসি (তদন্ত) এনাম আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

বারবার চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

 

আজও প্রথম আলো গায়েব

আজও লক্ষ্মীপুরের পাঠকেরা দৈনিক প্রথম আলো পাননি। সকালেই গায়েব হয়ে যায় সব পত্রিকা। ‘উপজেলা দখলে মরিয়া পৌর মেয়র তাহের’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। লক্ষ্মীপুরের কথিত গড়ফাদার পৌর মেয়র আবু তাহেরের নানা কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হয়।

ওই প্রতিবেদনে কাল অনুষ্ঠেয় উপজেলা নির্বাচনে ছেলে সালাহউদ্দিন টিপুকে বিজয়ী করতে তার কৌশলগুলো তুলে ধরা হয়। সকালে লক্ষ্মীপুরে পত্রিকা আসার পরপরই হকার ও এজেন্টদের কাছ থেকে সব পত্রিকা নিয়ে যায় তাহের বাহিনীর লোকজন। এর আগে গতকাল শনিবার ‘লক্ষ্মীপুরে-জান বাঁচানো ফরজ’ শিরোনামে আরেকটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওইদিনও হকার ও এজেন্টদের কাছ থেকে সব পত্রিকা নিয়ে যায় তাহের বাহিনীর সদস্যরা।

পরে অনলাইনে সংবাদ পড়ে লক্ষ্মীপুরের অনেকেই আশেপাশের এলাকা থেকে পত্রিকা কিনে নিয়ে আসেন।

পরবর্তীতে ফটোকপি করে বিক্রি করেছেন অনেকেই।

 

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.