আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এখন শেষ ম্যাচের আশায়

চারটি ভিন্ন প্রশ্ন। চারটি ভিন্ন উত্তর। তবে সব উত্তরের শেষেই একটা ‘কমন’ কথা বললেন মুশফিকুর রহিম, ‘শেষ ম্যাচে ভালো কিছু করার চেষ্টা করব। ’
এই শেষ ম্যাচটা কাল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। আর ওই যে মুশফিকের পরের ম্যাচে ভালো করার স্বপ্ন, সেটা তিনি সেই শ্রীলঙ্কা সিরিজ থেকেই দেখে আসছেন।

মাঝে দু-এক ম্যাচে যে বাংলাদেশ ভালো খেলেনি তা নয়। তবে আফগানিস্তান-নেপালের বিপক্ষে সেই ভালোটা মন ভরানোর মতো নয় এবং বাংলাদেশ অধিনায়ক মুশফিকও সেটা বোঝেন। বোঝেন বলেই কাল ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটা এর চেয়ে ভালো আর কী হতে পারত’ প্রশ্নে ভিন্নমত পোষণ করলেন, ‘আমরা কিন্তু লড়াই করার মতো দল। যদি কিছু ম্যাচ আরও কাছাকাছি গিয়ে হারতাম...। ভাগ্য ভালো থাকলে হয়তো কোনো বড় দলকেও হারাতে পারতাম।

এটা ঠিক, আমরা যাদের বিপক্ষে খেলছি সবাই শক্তিশালী দল। তার পরও এতটা খারাপ হবে আশা করিনি। ’
মুশফিকের পরের ম্যাচে আরও ভালো খেলার নীতি মেনে অবশ্য বাংলাদেশ দল কালকের ম্যাচটা খেলেছে আগের ম্যাচের চেয়ে ভালো। ভারতের বিপক্ষে আগের ম্যাচে বাংলাদেশ রান করেছিল ১৩৮, হেরেছিল ৮ উইকেটে। কাল পাকিস্তানের ১৯০ রানের জবাবে করল ১৪০, পরাজয় ৫০ রানের।

পারফরম্যান্সে ‘উন্নতি’ তো অবশ্যই আছে। ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মুশফিকও বলছিলেন, ‘আমাদের পারফরম্যান্স এর আগের ম্যাচের চেয়ে ভালো হয়েছে। শেষ ম্যাচে আরও ভালো কিছু হবে আশা করি। ’
পাকিস্তান ১৯০ রান করলেও স্পিনারদের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট অধিনায়ক। তবে ১৩তম ওভারে জিয়ার দেওয়া ২২ রান আর ১৯তম ওভারে মাশরাফির দেওয়া ২৪ রান ভীষণ হতাশ করেছে মুশফিককে, ‘এক ওভারে ১৫-১৬ রান হলেও ফেরা যায়।

কিন্তু ২ ওভারে ৪০-৪৫ রান হয়ে গেলে ফেরাটা কঠিন। ’ পাকিস্তানকে ১৬০-১৭০ রানে আটকে রাখার পরিকল্পনাটা নাকি ভেস্তে যায় ওই দুই ওভারেই।
অতৃপ্তি আছে ব্যাটিং নিয়েও। প্রথম ৬ ওভার কাজে লাগাতে না পারার ব্যর্থতা তার একটা। কাজে লাগানো দূরে থাক, ৬ ওভারের মধ্যে উল্টো ফিরে গেছেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার! সেটাও মানা যেত যদি পরে কেউ এসে একটা বড় ঝোড়ো ইনিংস খেলে দিতেন।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের এটাই দাবি হলেও বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানরা সেখানেও ব্যর্থ। মুশফিকের আফসোস, ‘আমরা অন্য দলগুলোয় দেখছি একজন সেট ব্যাটসম্যান পুরো ইনিংস খেলে এলে কত রান হয়। কিন্তু আমরা সেটা করতে পারছি না। ওপরের দিকের চার ব্যাটসম্যানের কেউ বড় ইনিংস খেলতে পারছে না। ’
শুরুতে বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল সুপার টেনে ওঠা।

বাংলাদেশ উঠেছেও, কিন্তু ওঠার আগে হংকংয়ের কাছে হার যেন ভূত হয়ে চেপে বসল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ভারত আর পাকিস্তানের বিপক্ষে সামান্যতম প্রতিরোধ গড়তেও ব্যর্থ বাংলাদেশ। সুপার টেনে ওঠাটাকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিবাচক দিক হিসেবে তুলে ধরতে গিয়েও তাই বাংলাদেশ অধিনায়ক বলে ফেললেন, ‘আমরা জানতাম দ্বিতীয় রাউন্ডে বড় বড় দলের বিপক্ষে খেলা। তবে আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারিনি। দল হিসেবে খেলা বা সবার অবদান রাখা জরুরি ছিল।

সেটা হয়নি। ’
কেন হয়নি? মুশফিক নিজেও হয়তো খুঁজছেন এই প্রশ্নের উত্তর। তবে সংবাদ সম্মেলন থেকে যাওয়ার আগে শেষবারের মতো বলে গেলেন পুরোনো কথাই, ‘আমাদের পারফরম্যান্স নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। সে জন্য হয়তো কিছুটা চাপে ছিলাম। চেষ্টা করব শেষ ম্যাচে যতটা সম্ভব দিতে...।


৬৮৬
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান তামিম ও সাকিবের
৪৪
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট রাজ্জাক ও সাকিবের
৬৩
ম্যাচে সবচেয়ে বেশি রান খরচে রুবেলের সঙ্গী হলেন মাশরাফি
১১১
টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের পক্ষে প্রথম সেঞ্চুরি আহমেদ শেহজাদের

 

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।