আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মিশ্র-তাহিরের স্পিন যুদ্ধ

খণ্ড খণ্ড অনেক লড়াই-ই হবে। মূল লড়াইয়ে দুই দলের দুই সেনাপতি- ভারতের অমিত মিশ্র ও দক্ষিণ আফ্রিকার ইমরান তাহির। চলতি বিশ্বকাপের দুই সেরা স্পিনার। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হওয়ার আগে কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হবে দুই দলের ব্যাটসম্যানদের। ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ মানে লড়াই 'বিশ্বসেরা ব্যাটিং লাইনআপ বনাম পেস বোলিং'।

কিন্তু এবার ঘটছে উল্টো ঘটনা। মিরপুরের বৈচিত্র্যময় উইকেটের প্রভাব পড়েছে দুই দলের পারফরম্যান্সেও। টি-২০ মূলত ব্যাটসম্যানদের খেলা হলেও দুই দলের বোলাররা ম্লান করে দিয়েছে ব্যাটসম্যানদের। স্পিনার মিশ্র ও অশ্বিনের ঘূর্ণির ছায়ায় এখন ভারতের তারকা ব্যাটসম্যান কোহলি-রোহিত-ধাওয়ানরা। ইমরান তাহির ও ডেল স্টেইনের দাপটে ঢাকা পড়ে গেছে আমলা-ভিলিয়ার্স-ডুমিনিদের ব্যাটিং তাণ্ডব।

ডেথ গ্রুপ নামে খ্যাত 'গ্রুপ-২' থেকে ভারত অপরাজিত থেকেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে দুই স্পিনারের দুর্দান্ত বোলিংয়ে। অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তানের মতো দলগুলো পাত্তাই পায়নি ভারতের কাছে। প্রথম দুই ম্যাচে ম্যাচ সেরা হয়েছেন অমিত মিশ্র, আর পরের দুই ম্যাচে অশ্বিন। দুই স্পিনার মিলেই ম্যাচ দুটি যেন সমানভাবে ভাগ করে দিয়েছেন। চার ম্যাচ থেকে মিশ্র নিয়েছেন ৯ উইকেট আর অশ্বির দখলে ৭টি।

ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা তো নিজেদের সামর্থ্য দেখানোর সুযোগই পাননি।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বজোড়া খ্যাতি পেস বোলিংয়ে। সুপার টেনে বোলার ডেল স্টেইন নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে তার সক্ষমতা দেখিয়েও দিয়েছেন। শেষ ওভারে ক্যারিশম্যাটিক বোলিং করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে দারুণ এক জয় এনে দিয়েছেন। চার ম্যাচে তার উইকেট সংখ্যা ৯টি।

তবে ১১ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের স্পিনসহায়ক উইকেটে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর রূপে নিজেকে চিনিয়েছেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত প্রোটিয়া স্পিনার ইমরান তাহির। ভারতের আসল শক্তি তাদের ব্যাটিংয়েই। প্রতিপক্ষের বোলার দুমড়ে-মুচড়ে দেওয়াই ধোনিদের প্রধান টার্গেট। স্পিনারদের দাপটের পরও ব্যাটসম্যানরা কিন্তু খারাপ করেননি। ৪ ম্যাচে ৮৫ গড়ে ১৭০ রান করে আশ্চার্য্য ধারাবাহিক বিরাট কোহলি।

ওপেনার রোহিত শর্মাও খুব একটা পিছিয়ে নেই। তিনিও করেছেন ১৪৫ রান। মিডল অর্ডারে অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি ও সুরেশ রায়নাই ভরসা। তবে খানিকটা অস্বস্তি শেখর ধাওয়ানের অপ-ফর্ম নিয়ে। কিন্তু সুপার টেনের শেষ ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি করে ধোনিকে স্বস্তি এনে দিয়েছেন যুবরাজ সিং।

ভারতীয় এই অলরাউন্ডার যে কতটা ভয়ঙ্কর তা বুঝিয়ে দিয়েছেন ২০১১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে। বলে-ব্যাটে চমক দেখিয়ে শিরোপা এনে দিয়েছেন। তবে টি-২০ বিশ্বকাপের প্রথম আসরে যুবরাজের এক ওভারে ছক্কা হাঁকানোর দৃশ্যটি এখনো ক্রিকেটপ্রেমীদের চোখে ভাসছে।

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।