আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সময় টিভি'র কৃষি সংবাদ!!! হাসব না কাঁদব!!

সময় টিভি এক অদ্ভুত খবর পরিবেশন করল! রংপুরে তামাকের দখলে ফসলি জমি!!!! তাহলে সময় টিভি'র ওই রিপোর্টারের মতে তামাক কি কোনো ফসল নয়? আর তামাক কোনো চাষীর চাষ করারও কথা নয়?
রংপুরে তামাকের দখলে ফসলি জমি! আগে রিপোর্টটি দেখুন-
সময় টিভি'র ওই রিপোর্টার কী বলেন শুনুন, ঊৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও ব্যবহার-- প্রতিটি স্তরে জীবনঘাতি বিষ ছড়ালেও রংপুর অঞ্চলে থামছে না তামাক ও তামাকজাত পণ্যের উৎপাদন ও ব্যবহার। উল্টো দিন দিন তামাকের দখলে চলে যাচ্ছে ধানসহ খাদ্যশস্যের জমিগুলো। ফলশ্রুতিতে স্বাস্থ্য ঝুঁকির পর এবার খাদ্য নিরাপত্তাতেও আঘাত হানছে তামাক।

এক বছরের ব্যবধানে তিন ফসলি জমিগুলো বেদখল হয়েছে তামাকের আগ্রাসনে। একদিকে আলু-ধানসহ প্রচলিত ফসলের দাম না পাওয়া, অন্যদিকে বিড়ি-সিগারেট কোম্পানিগুলোর প্রণোদনা-প্ররোচনায় তামাক চাষে আকৃষ্ট হচ্ছে কৃষক।

রংপুর লালমনিরহাট ও নীলফামারী এই তিনটি জেলায় এবার লাখ হেক্টর ছুঁয়েছে তামাক আবাদ।

কৃষকরা অভিযোগ করে বলেন, ‘জোরপূর্বকভাবে তামাক চাষ করতে হচ্ছে, লাভ-লোকসান যাই হোক কাজ করে টাকা অর্জন করে সংসার চালাতে হবে। "

অপর এক কৃষক বলেন, 'আমরা যখন আলু চাষ করতাম তখন তারও ন্যায্য দাম পাই না, যেমন আলু উৎপাদনে খরচ পড়তো ৪-৫ টাকা আর সেই আলু বিক্রি করতে হতো ২ টাকা কেজি দরে। তাই কৃষকরা বাধ্য হয়ে এখন তামাক চাষ করছেন'।

রাষ্ট্রীয় ভর্তুকি মূল্যের সার ও বিদ্যুৎ বা ডিজেল চালিত সেচ ব্যবহার হচ্ছে তামাক চাষে।

সুনির্দিষ্ট আইন ও নির্দেশনা না থাকায় বন্ধের পদক্ষেপ নেয়া যাচ্ছে না বলে জানালেন বিভাগীয় কৃষি কর্মকর্তা।

রংপুর অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক আলী আজম বলেন, "চরাঞ্চলের কৃষকরা বেশি তামাক চাষ করে। সরকারিভাবে কোনো বিধি-নিষেধ না থাকায় কর্তৃপক্ষ তেমন কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। "

তামাক পণ্য ব্যবহারেই শুধু নয়, আবাদ প্রক্রিয়াজাতকরণসহ সবক্ষেত্রে এর জীবনঘাতি বিষে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। প্রতিরোধ ব্যবস্থা হিসেবে তামক চাষ বন্ধে কঠোর আইন ও বেশি বেশি কর বাড়িয়ে তামাক পণ্য দুষ্প্রাপ্য করে তোলার দাবি উঠেছে তামাক বিরোধীদের পক্ষ থেকে।



তামাক বিরোধী সংগঠন প্রজ্ঞা'র ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবিএম জুবায়ের বলেন, 'তামাক শুধু স্বাস্থ্যেরই ক্ষতি করে না জমির স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি করে। ৫-১০ বছর যদি ক্রমান্নয়ে তামাক চাষ করা হয়। পরবর্তীতে সেখানে কোনো ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হবে না।

এই শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা এবং তামাক ও তামাকজাত পণ্যকে মাদকদ্রব্য হিসেবে ঘোষণা করে এর উৎপাদন ও বিপনন বন্ধ করা সম্ভব বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। এই ছিল ওই রিপোর্টে।



প্রথম প্রশ্ন হল- বাংলাদেশে কী তামাক চাষ করা সরকারিভাবে নিষেধ আছে? চাষীরা যদি ফসলের ন্যায্য মূল্য না পায়, তখন যে ফসলে তারা লাভ পাবেন, সেই ফসল চাষেই উৎসাহিত হবার কথা। সময় টিভি'র রিপোর্টারের দুইজন কৃষকের বক্তব্য কি প্রমাণ করে? প্রজ্ঞার পরিচালক সাহেব কোথায় পেলেন এই খবর যে, তামাক চাষের জমিতে অন্য ফসল আর হয় না। তামাক চাষ জমির স্বাস্থ্যও নষ্ট করে এমন উদ্ভট তথ্য তিনি কোথায় পেলেন?
বরং বাংলাদেশর যে সব অঞ্চলে তামাক চাষ হয়, সেখানে অন্য ফসলের চেয়ে কৃষক অনেক ভালো আছে। তামাক চাষে মানুষ জীবনঘাতী রোগে আক্রান্ত হচ্ছে, এই তথ্য কোথায় পেলেন সময় টিভি'র রিপোর্টার? কোনো বিষয়ে রিপোর্ট করার আগে সে বিষয়ে জেনে শুনে রিপোর্ট করাই ভালো। বরং বাংলাদেশে যে সকল সংগঠন তামাক বিরোধী আন্দোলন করে, ওই সংগঠনগুলো তামাক সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো থেকে নানান উপায়ে বাহারি ধরনের ধান্দা করে অর্থ আত্মসাতের উদাহরন আছে ভুরি ভুরি।

জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-এর কাছ থেকে তামাক বিরোধী নানান প্রোগামের নামে তারা বিভিন্নভাবে অর্থ হাতিয়ে থাকেন। যাদের কর্মসূচি কেবল বিভিন্ন দিবস পালনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। সাধারণ মানুষকে জনসচেতনতা করারা জন্য তাদের কোনো আগ্রহ নেই। আমি নিজে তামাক বিরোধী এসব কর্মসূচি করার অভিজ্ঞতা থেকেই দাবী করতে পারি, তামাক বিরোধী আন্দোলনের নামে সেখানে যা হয়ে থাকে, তা আসলে এক ধরনের ধান্দা ছাড়া আর কিছু নয়। তামাক বিরোধী দিবসের এক র‍্যালী'র খরচের হিসাব একটি সংগঠন দিয়েছিল সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা।

যা আমার নিজ চোখে দেখা।
কৃষককে জ্ঞান দেবার জন্য আমাদের সময় টিভি'র রিপোর্টার যা শোনালেন, তা শুনে আমার খুব হাসি পেল। একজন কৃষকের সন্তান হিসেবে আমি বলতে চাই, রাষ্ট্রের অন্যান্য অনেক জায়গায় হাজার হাজার জিনিস আছে, যা নিয়ে রিপোর্ট করুন। কৃষক কি চাষ করবে আর কি চাষ করবে না, সেই বিষয়ে জ্ঞান দিতে যাওয়া উচিত নয় মিস্টার রিপোর্টার। বাংরাদেশের শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ মানুষ কৃষক।

যাদের বেশির ভাগই ধূমপায়ী। দেশে তামাক চাষ না হলে তারা ধূমপান করবে কীভাবে? আমার নানা-নানী দুজনেই সিখারেট খেতেন। নানা সিখারেট টানতে টানতেই মারা গেছেন। মারা যাবার সময় নানার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। নানার কোনো রোগ ছিল বলে জীবনে শুনিনি।


কৃষি জমি দখল করে শিল্পাঞ্চল হচ্ছে, নগরায়ন হচ্ছে, সময় টিভি'র রিপোর্টারের কী সেদিকে কোনো নজর নেই? কোন মাটিতে কোন ফসল ভালো হবে তা আমাদের কৃষকই সবচেয়ে ভালো জানে। ।

সোর্স: http://prothom-aloblog.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।