আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দুই কিংবদন্তির রাজকীয় বিদায়

বিজয় নিশ্চিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ড্রেসিং রুম থেকে বিদ্যুৎ গতিতে মাঠে প্রবেশ করেন লঙ্কান ক্রিকেটাররা। কুমার সাঙ্গাকারাকে ঘাড়ে তুলে নেন কৌশল পেরেরা। মাহেলা জয়বর্ধনকেও ঘাড়ে নেওয়ার চেষ্টা করলেন থিরিমান্নে। কিন্তু কিছুতেই মাহেলা রাজি হলেন না। তারপর দুই কিংবদন্তি সাঙ্গাকারা ও জয়বর্ধনকে ঘিরেই মাঠে শুরু হয়ে গেল উৎসব।

দুই মহা তারকার বিদায় ম্যাচ বলে কথা! নেচে গেয়ে টি-২০ বিশ্বকাপের শিরোপা উদযাপন করলেন লঙ্কানরা। বিদায়টা যে এতো স্মরণীয় হবে তা বোধহয় কল্পনাও করেননি দুই কিংবদন্তি। শ্রীলঙ্কা যে শিরোপা জিতেছে এটা যেন বিশ্বাসই হচ্ছিল না কুমার সাঙ্গাকারা ও মাহেলা জয়বর্ধনের। তাই তো একে অপরকে কানে কানে যেন সে কথাই বলছিলেন । এক পর্যায়ে সাঙ্গাকারাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদেই ফেলেন মাহেলা।

আনন্দাশ্র“ টপ টপ করে পড়তে থাকে সাঙ্গাকারার চোখ থেকেও। শেষে সনাৎ জয়াসুরিয়াকে জড়িয়ে ধরে হাউ মাউ করে কেঁদে ওঠেন সাঙ্গাকারা। স্বপ্নের মতো এক বিদায়। টি-২০ ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচেও উজ্জ্বল দুই তারকা। ৫২ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হলেন সাঙ্গাকারা।

আর মাহেলা খেললেন ২৪ বলে ২৪ রানের মহা মূল্যবান এক ইনিংস। বিদায় বেলার আবেগাপ্লুত সাঙ্গাকারা বলেন, ‘দীর্ঘপথ পেরিয়ে এসেছি। অবশেষে সাফল্য এসে ধরা দিল। আমরা পাঁচটি ফাইনাল অপেক্ষা করেছি। বিরাট কোহলি যেভাবে শুরু করেছিল, মনে হচ্ছিল এবারও হবে না।

কিন্তু আমাদের বোলাররা দারুণ পারফর্ম করেছে শেষের দিকে। অবশেষে শিরোপা জিতে দারুণ লাগছে। আমার ক্যারিয়ারে যারা নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন সবাইকে ধন্যবাদ। ’ মাহেলা জয়বর্ধন বলেন, ‘সেই ১৯৯৬ সাল থেকে আমরা অপেক্ষায় ছিলাম। অবশেষে স্বপ্নপূরণ।

দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে যারা আমাকে নানাভাবে সমর্থন দিয়েছেন সবাইকে ধন্যবাদ। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডকেও ধন্যবাদ। ’ 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।