আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দুই কিংবদন্তির রাজকীয় বিদায়

জয়াবর্ধনে আর সাঙ্গাকারার এই বিদায়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের একটা অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটল। ‘যেমন খুশি, তেমন মারো’ ক্রিকেটেও শ্রীলঙ্কার এই দুই ব্যাটসম্যান ছিলেন উজ্জ্বল ব্যতিক্রম।

টেস্টের মতো টি-টোয়েন্টিতেও দুজনের ব্যাটিং ছিল শুদ্ধ। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালও এর অসাধারণ এক উদাহরণ হয়ে আছে। আর ভারত বড় লক্ষ্য না দিতে পারায় মঞ্চ প্রস্তুতই ছিল তাদের জন্য।



৩৬ বছর বয়সী জয়াবর্ধনে তার ক্যারিয়ারে ৫৫টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। ৩১.৭৬ গড়ে ১ হাজার ৪৯৩ রান নিয়ে এই ফরম্যাটে তিনিই শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।

অন্যদিকে ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় সাঙ্গাকারা তার ক্যারিয়ারে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ৫৬টি। ৩১.৪০ গড়ে ১ হাজার ৩৮২ রান তার।

দুজনই অবসর নেয়ার কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন দলে তরুণদের সুযোগ করে দেয়ার বিষয়টি।

তাদের বিদায় বেলায় যোগ্য সম্মানই জানিয়েছে উত্তরসূরিরা। ফাইনালের আগে লঙ্কার অধিনায়ক লাসিথ মালিঙ্গা বলেছিলেন, জয়াবর্ধনে আর সাঙ্গাকারার বিদায়টাকে স্মরণীয় করে রাখতেই ট্রফি জিততে চান তারা।

ম্যাচ শেষেও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস বললেন, “শ্রীলঙ্কার এই জয় তোমাদের। আমি খুব আনন্দিত যে, পুরো দল সাঙ্গা আর মাহেলার জন্য এমন একটা জয় এনে দিয়েছে। ”

স্পিনার রঙ্গনা হেরাথ তো আরো স্পষ্ট করেই বলেছেন, “সাঙ্গা আর মাহেলার জন্য সেরা বিদায় এটা।



সাঙ্গাকারা নিজেও এমন বিদায়ে তৃপ্ত। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, “টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার শেষ করার জন্য এর চেয়ে ভালো ব্যাপার আর কি হতে পারে!”

জয়াবর্ধনে ম্যাচ শেষে সমর্থকদের প্রতি জানিয়েছেন কৃতজ্ঞতা, “পরিবার আর বন্ধুদের ধন্যবাদ। তবে এই জয় শ্রীলঙ্কার সমর্থকদের জন্য। এরা সেই ১৯৯৬ সাল থেকে বড় কোনো শিরোপার জন্য অপেক্ষা করে আছে। ”

বিদায়বেলায় সাঙ্গাকারা আর জয়াবর্ধনে অভিনন্দন পেয়েছেন প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের কাছ থেকেও।

টুর্নামেন্ট সেরা ভারতের ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি তো মাহেলা আর সাঙ্গাকে বিশেষ অভিনন্দন জানালেন। ধার করলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক ড্যারেন স্যামির কথাগুলো, ঈশ্বর চেয়েছেন সাঙ্গা আর মাহেলার গলাতেই বরমাল্য পড়ুক।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।