আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভান

আজ একটা ছোট্ট গল্প লিখবো। গল্পটা বাস্তব কিন্তু কাল্পনিক।

শাহেদ এখন দেশের নামজাদা লেখকদের একজন। তার নতুন বইয়ের খোঁজে প্রায় সকল শ্রেণীর পাঠক হুমড়ি খেয়ে পড়ে বইয়ের স্টলে। আগে একটা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করতো।

কিন্ত এখন আর সময়ের সাথে পেরে ওঠেনা। আজ এই পত্রিকায় লেখা দিতে হবে তো কাল ঐ টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার!!!!

আজ বাংলাদেশ-ভারত ক্রিকেট ম্যাচ। শত কাজের চাপ থাকলেও শাহেদ বাংলাদেশের খেলা মিস করতে রাজি নয়। শুধু তা নয়,তাকে প্রত্যেকটা ম্যাচ স্টেডিয়ামে গিয়ে দেখতেই হবে।

উত্তেজনাপূর্ণ একটা ম্যাচ দেখে শাহেদ রুমে ফিরলো।

সাকিবের রান আউটটাই খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। প্রথমদিকে হেরে যাওয়ার কোন আশঙ্খাই ছিলনা কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত শেষমেষ হারতে হল। ম্যাচটা হেরে যাওয়ার জন্য একটু মন খারাপ থাকলেও খেলোয়াড়দের ভালো খেলার আগ্রহ দেখে তার ভালো লেগেছিলো। তাই শুধু একটা কথাই মনে হচ্ছিলো, বাংলাদেশ একদিন ভালো খেলবে। অন্য যেকোন দেশ থেকে ভালো খেলবে।



ফেসবুকে লগইন করতেই ক্রিকেট নিয়ে হোমপেজে অনেক অনেক লেখা দেখতে পেল শাহেদ। কেউ ক্রিকেট বোর্ডকে দোষারোপ করছে তো কেউ প্লেয়ারদেরকে। মাউসের স্ক্রল ঘুরাতে ঘুরাতে একসময় চোখ এসে ঠেকলো নয়ন বিশ্বাসের স্ট্যাটাসে।
“আজ বাংলাদেশ হারলো। জে হিন্দ”

ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় শাহেদ আর নয়নের ভালো বন্ধুত্ব ছিল।

পড়া শেষ করে হুট করে উধাও হয়ে গেলো নয়ন। পরে অবশ্য জানতে পারে নয়ন ভারতে চলে গেছে। যাওয়ার অনেকদিন বাদে একটা মেইল করেছিল সে শাহেদকে,সেখানে কি একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে কাজ করছে। এরপর আর কোন যোগাযোগ হয়নি তার সাথে।

যখন শাহেদ আর নয়ন একসাথে পড়ালেখা করতো,তখন মাঝে মাঝেই তারা দেশের ব্যাপারে তাদের মতামত শেয়ার করতো।

নয়নের সাথে একটা বিষয় নিয়ে প্রায়ই তর্ক হত শাহেদের। আর তা হল দেশপ্রেম। নয়নের মতে বাংলাদেশের মানুষের দেশপ্রেম কম।
ইউনিভার্সিটি লাইফের সেই কথাগুলো মনে পড়তে নিজের অজান্তেই হেসে ফেললো শাহেদ। হাসিটা কি করুণার হাসি!!!

-সমাপ্ত- ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।