আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মহাখালীর তথাকথিত হোটেলের আড়ালে নারী ব্যাবসা এবং অধমের কিছু প্রশ্ন।

প্রস্টিটিউশন সম্ভব্ত পৃথিবীর সবচাইতে পুরনো ব্যাবসার মধ্যে একটি, বৃটিশ আমলে বাংলাদেশ সহ উপমহাদেশের রেলস্টেশন লন্চঘাট কিংবা প্রচুর জনসমাগম ঘটে এমন যায়গাগুলোতে ব্রোথেলহাউজগুলো গড়ে ওঠে যার কয়েকটি আজও টিকে আছে।

ব্রোথেল শব্দটা এসেছে ফ্রেন্জ শব্দ "ব্রোডেল" থেকে। যার অর্থ কাঠের তৈরি ছোট খুপড়ি ঘর বিশেষ।

প্রস্টিটিউশন সম্পর্কে উইকি বলছে :

A brothel is a place where people may come to engage in sexual activity with a prostitute, sometimes referred to as a sex worker. Technically, any premises where prostitution commonly takes place qualifies as a brothel, however for legal or cultural reasons establishments may describe themselves as massage parlors, bars, strip clubs or by some other description. Sex work in a brothel is considered safer than street prostitution.

যাহোক এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা আমার পোস্টের উদ্দ্যেশ্য নয়।

মূল বিষয়ে আসি।


মহাখালী রেলক্রসিং পার হয়ে বনানীর দিকে কিছুটা এগিয়ে গেলে আমার অফিস, দুরত্বটা এমন যে বাসে যাওয়া যায়না আবার রিকসা ঐপথে চলেনা, রেলক্রসিং পার হয়ে কিছুটা পায়ে হেটে রিকসায় উঠি, বিপত্তিটা এই পায়ে হাটা পথে।

ব্যাস্ততম এলাকা হিসেবে ঢাকার অন্যান্য এলাকার মত এখানেও গড়ে উঠেছে অনেক আবাসিক হোটেল, প্রথমদিকে হোটেলগুলোর সামনে দু একটা ছেলেকে দেখটাম ভিজিটিং কার্ড হাতে দাড়িয়ে থাকতে, অস্বাভাবিক কিছুই ছিলোনা তাতে কিন্তু ইদানিং তাদের উপস্থিতি চরম মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে, সেই সাথে বৃদ্ধি পেয়েছে টাদের উৎপাতের মাত্রা, ব্যাস্ত রাস্তায় যাতায়ত করতে চরম বিড়ম্বনায় প্ড়তে হচ্ছে পথচারীদের, নাছোড়বান্দা ভিক্ষুকদের চেয়েও তারা বিরক্তিকর, রাগ করে বকা দিবেন, লাভ হবেনা, তাদের সিন্ডিকেট আছে, খুটির জোর অনেক।

মুখ ভর্তি দাড়িওয়ালা কিংবা প্রায় বাবার বয়সি লোক যখন পিছন থেকে ইংগীত পূর্ণ প্রশ্ন করে তখন সত্যি কষ্ট লাগে, বাংলাদেশে কি কাজের এতই অভাব?

প্রায়শই নজরে আসে ১৮ বছরের কম বয়সি ছেলেরা সিড়ি বেয়ে উপরে উঠে যাচ্ছ, তখন ঘৃনা লাগেনা কেন জানি কষ্ট লাগে, আহা রাষ্ট্র আমাদের কোন বয়সীদের জন্য কি বিনোদন সেটা ঠিক করে দেয়নি। ওদের কি দোষ?

লাল নীল পাখি ইংরেজী নাম কিংবা বিভিন্ন ব্যাক্তির নামের হোটেলগুলোর মালিকেের মধ্যে দু একজন হাজী সাহেবও আছেন, খুব জানতে ইচ্ছা হয় হজ্বের টাকাটা কোথা থেকে এসেছিলো?
কিংবা ইসলাম দেহ ব্যাবসাকে সমর্থন দেয় কি না?

প্রশাসনের নাকের ডগায় বললে ভুল হবে ঠিক চোখের পাপড়ির উপরে বসে হোটেল ব্যাবসার নামে এসব কাজ চলছে, দেখেও না দেখার ভান করে থাকছে তারা কারন তাদের চোখে টিনের চশমার মত মোটা মাসোহারার ব্যাবস্থা আছে।

বেশ্যালয়ের অবৈধ টাকাও টাকা কষ্ট করে মাস শেষে বেতনের টাকাও টাকা।

সমস্যা কোথায়?

মনে কেবলই প্রশ্ন আসে বাধভাঙা জোয়ারের মত, আচ্ছা এই হোটেলগুলো থেকে প্রাপ্ত টাকায় পুলিশ কর্মকর্তারা কি করেন ?

মেয়ের জন্য খেলনা, বাজারের বড় বোয়াল মাছ, বোয়ের জন্য শাড়ী, বৃদ্ধ মা বাবার যায়নামায কিনেন? বিবেকের বোতাম টা খুলে একবার নিজেকে কি প্রশ্ন করেন তার একটি অবৈধ উপার্যন অর্থ একটি আইনের বরখেলাপ সেটা তিনি কেন করছেন?

ভিষন কষ্ট হয় ভাবতে।


উপরে ব্রোথেলহাউজের সংজ্ঞা দিয়ে আরম্ভ করেছিলাম শেষ করবো একটি প্রশ্ন দিয়ে:

একটি আদর্শ পতীতালয় এবং মহাখালীর তথাকথিত হোটেলগুলোর মধ্যে যদি সকল বিষয়ে মিল থাকে তবে কেন মহাখালীর হোটেলগুলোকে পতীতালয় হিসেবে ঘোষনা করা হবেনা???


কারণ দর্শান দেখি ?


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ৩৪ বার     বুকমার্ক হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।