আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পঞ্চগড়ে শিক্ষকের বেত্রাঘাতে ২ ছাত্র গুরুতর অসুস্থ্য

পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের নির্মম বেত্রাঘাতে ৯ম শ্রেণীর দুই ছাত্র গুরুতর অসুস্থ হয়ে আটোয়ারী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে একটি প্রভাবশালী মহল উঠে-পড়ে লেগেছে।

বর্বর এ ঘটনাটি গতকাল উপজেলার আলোয়াখোয়া ইউনিয়নের বামনকুমার রাখালদেবী হাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ঘটেছে।

গুরুতর অসুস্থ ছাত্ররা হলো উপজেলার বামনকুমার (রাখালদেবী) গ্রামের মো. তৌহিদুল ইসলামের ছেলে মো. তালেবুর রহমান ও একই গ্রামের মো. নুর ইসলামের ছেলে মো. সাহেদুর জামান।

নির্যাতিত ছাত্ররা জানায়, ঘটনার দিন স্কুলের সমাবেশ ক্লাসে লাইনে দাড়ানো নিয়ে কয়েক ছাত্রের মধ্যে সামান্য ধাক্কাধাক্কি হয়।

ঘটনাটি সহকারী শিক্ষক মোঃ শাহালম ও প্রধান শিক্ষক মোঃ ফরহাদ হোসেন জানতে পেরে শ্রেণী কক্ষে ওই দুই ছাত্রকে বাঁশের লাঠি দিয়ে বে-ধরক মারপিট শুরু করলে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থতার খবর পেযে বিদ্যালয়ে ছুঁটে আসে ও প্রধান শিক্ষকের কাছে মারপিট করার কারন জানতে চেয়ে এর বিচার প্রার্থনা করে ঐ দুই ছাত্রের অভিভাবক। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযোগের পাত্তা না দিয়ে তাদের নিজ নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। অভিভাবকগণ প্রধান শিক্ষকের কাছে বিষয়টির সমাধান না পেয়ে দ্রুত ছাত্রদের নিয়ে প্রথমে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে দেখা করে মৌখিকভাবে অভিযোগ করে এর সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন। এসময় মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারও ছাত্রদের চিকিৎসার খবরা-খবর না নিয়ে পরে বিষয়টি দেখবেন বলে অভিবাবকদের  বাড়ি চলে যেতে বলেন।

শিক্ষা কর্মকর্তার এমন আচরনে অভিভাবকরা আরো হতাশ হয়ে পড়েন এবং তাদের সন্তানদের চিকিৎসা করাতে আটোয়ারী হাসপাতালে নিয়ে যান।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মওলা বকস চৌধুরী অসুস্থ ছাত্রদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিয়ে ব্যবস্থাপত্র লিখে দেন। কিন্তু হাসপাতালে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা প্রভাবশালী মহলের লোকজন ছাত্রদের হাসপাতালে ভর্তি না করে মটরসাইকেলে উঠিয়ে চম্পট দেন।

এসময় মা মনজুরা বেগম সাংবাদিকদের জানান, আমি সারাদিন রাস্তার কাজ করে খেয়ে-নাখেয়ে সন্তানদের মানুষ করার চেষ্টা করছি। আমার সস্তানকে এমন নিষ্ঠুরভাবে পেটানো স্যারেরা ঠিক করেনি।

এদিকে ছাত্র নির্যাতনকারী প্রধান শিক্ষক মো. ফরহাদ হোসেনের কাছে ছাত্র পেটানোর বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে তিনি বাড়াবাড়ি না করার অনুরোধ করেন ।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ সাইফুল আলম বলেন, আগামীকাল আমি ঢাকা যাবো, ফিরে এসে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো। প্লিজ লেখালেখি করিয়েন না। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা ঘটনাটির তদন্তপূর্বক দোষীদের শাস্তি দাবী জানান।

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।