আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আলো আধার আগুন পাথরে আকাশ ভ্রমনঃ জার্নি টু দি এইজ অফ দি ইউনিভার্স পর্ব ১

এ জগতে হায়, সে ই বেশী চায় আছে যার ভূরি ভূরি। রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি। । আমাদের পৃথিবী। পরিচিত, সুন্দর আর উষ্ণ আবাস।

কিন্তু আকাশের দিকে তাকিয়ে আমরা কি কখনো ভেবে দেখেছি, এই মহাবিশ্বের সুবিশাল আলো আধারের দুনিয়ায় আমরা ঠিক কোথায়? কি আছে যোজন সময়ের ব্যবধানে আর কোথায়ই বা এই জগতের প্রান্ত? আমরা এখানে দাডিয়ে থেকে পুলকিত হতে পারি অসংখ্য কাল ধরে অথবা যেতে পারি বহু দূরের এক যাত্রায়, এই পৃথিবীকে পেছনে রেখে। বিশাল মহাজাগতিক ভয়ংকর সব বিপদ, অসম্ভব সুন্দর দৃশ্যপট, সময়ের শুরু আর মহাজগতের শেষ, গ্রহ নক্ষত্রের জন্ম মৃত্যু, ধূমকেতুর রহস্য সহ আর অনেক কিছু। জানার একটাই পথ খোলা, আর তা হলো,"জার্নি টু দা এজ অফ দা ইউনিভার্স"। পৃথিবীর দুয়ার তো মাত্র কয়েকশ কিলোমিটার দূরে, আর তারপর সবকিছু পেছনে ফেলে গভীর অন্ধকারের সুবিস্তৃত যাত্রায় সবচেয়ে কাছেই অতি পরিচিত,"চাঁদ"। প্রায় ৪লক্ষ্য কিলোমিটার অথবা আমাদের স্পেস ক্রাফট এ ৩ দিনের দূরত্বে এই ধুসর জনমানবহীন বালি পাহাড়ের উপগ্রহটি।

বায়ুমন্ডলহীন এ জায়গাটিকে একটি ক্ষত বিক্ষত যুদ্ধ ক্ষেত্রের মত মনে হয়। শত সহস্র কাল ধরে অগণিত মেটিওরাইটস আর এস্টেরয়েডস এর আঘাতে চূর্ণ বিচূর্ণ। এবড়ো থেবড়ো; খানা খন্দে ভরপুর এই বায়ুমন্ডলহীন ধূলোময় স্যাটেলাইটটিতে পাঠানো হয়েছিল এ্যপোলে ১১ আর সেখান থেকে প্রথম মাটিতে নামা নীল আর্মস্ট্রং এর পায়ের ছাপ আজও অক্ষত। কারন বাতাস নেই, জীবন নেই বা এমন আর কোন ধরনের প্রতিক্রিয়াও নেই যা এই চিহ্ণকে বয়ে নিয়ে মিলিয়ে দেবে মহাকালের পাতার সাথে। বহুদূরের যাত্রায় সময় অনেক সংকুচিত, তাই আধারের সমুদ্র ভ্রমনে পরবর্তী স্টপেজ একটি পরিচিত গ্রহ।

ভালোবাসার দেবী বলে খ্যাত "ভেনাস"। পৃথিবীবাসীর সকাল আর সন্ধ্যার সাক্ষী, শুকতারা আর সন্ধ্যাতারা নামের এই চকচকে গ্রহটি সূর্যেরে আলো রিফ্লেক্ট করে খুব বেশী আর এ কারনেই এটা এত উজ্জ্বল। এটা প্রায় আমাদের পৃথিবীর মত, আকৃতিতে এবং ভরেও। কিন্তু স্পেস প্রোবস এর পাওয়া তথ্য বলছে এটা সালফউরিক এসিডে পূর্ণ। কার্বন ডাই অক্সাইড, প্রচন্ড চাপ, লাল আগুনের জমিন আর প্রায় ৫০০০ ডিগ্রী তাপমাত্রা, এখানে কিছুক্ষনের উপস্থিতিতে যে কোন কিছু ভষ্ম হয়ে যাবে।

ভেনাস ভীষন ক্ষিপ্ত এক ভালোবাসার দেবী। যদিও এই গ্রহকে পৃথিবীর সিস্টার প্লানেট বলা হয়, তবে এটি সিস্টার ফ্রম হেল। এখানে কিছুই সারভাইভ করতে পারে না এমন কি সোভিয়েত মেশিন “প্রোবস” ও এখানে চরম আবহাওয়ার দাপটে বিধ্বস্ত। ভয়ানক অগ্নি দেবীর থেকে সামান্য চোখ ফেরাতেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে এক বিস্ময়কর মহা দানব। এমন কি মেডুসার চাইতেও তীব্র সে রূপ আর তাকে ঘেষে চারদিকে ঘুরপাক খাচ্ছে “মারকারী” রাতের তাপমাত্রা মাইনাস ১৭০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডেরও নীচে নেমে যায় আর দিনে ৪০০ ডিগ্রীর উপরে।

সূর্যের বেশী কাছে থাকার কারনে এই প্লানেট টি ভীষন রকম চরমভাবাপন্ন। ঝলসানো, শুকনো আর মৃত এই ছোট গ্রহটির ভর কিন্তু, যা দেখা যায় তার চাইতে অনেক বেশী। সম্ভবত বহুকাল আগে অ্ন্য কোন বিস্তর গ্রহ একে আঘাত করেছিল, আর মহাকাশের দানবীয় যুদ্ধে মৃতপ্রায় হয়ে অস্থিরভাবে সূর্যের চারপাশে ছুটে চলছে সেই সুদীর্ঘ সময়ের পথ ধরে। মারকারীর অভ্যন্তরে যেন বিশাল আয়রনের সমাহার যা ঢাকা রয়েছে আগুনে পোড়া জীবনহীন পাহাড় মাটি আর ধূলোর চাদর দিয়ে। মারকারী থেকে চোখ ফেরাতেই এবার চোখের সামনে অপেক্ষমান সেই সৌরজগতের প্রতাপশালী একক মহাবীর, মহা সম্রাট উজ্জ্বল প্রকান্ড ক্ষমতাধর ”সূর্য” ; ইতিহাস, জীবন, আলো সবকিছু এই সূর্য।

গ্রীক দেবতা হিলিয়াস এর দূর্বার ছুটে চলা রথ কিংবা ইজিপ্সিয়ান দেবতা রা এর বারবার জন্ম নেয়া অথবা স্টোনহেঞ্জ সামার সোলেস্টেসে সব কিছুর উপাখ্যান এই সূর্য , বার বার জানান দিয়ে দেয় যেন কেউ ধারে কাছেও না ঘেষে। প্রায় দেড় কোটি কিলোমিটার অথবা বিমানে করে কুড়ি বছরের যাত্রার দূরত্বে এই সুবিশাল নক্ষত্রের অবস্থান। পৃথিবীর পরিচিত এই সূর্য কাছ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। ভয়াবহ উত্তাল আগুন এর ঢেউ আর ছাই এর মহা সমুদ্র এই সূর্য। সারফেস টেম্পরেচার সাড়ে পাঁচ হাজার কেলভিনের বেশী, অভ্যন্তরে এই তাপমাত্রা ১০ মিলিয়ন এর বেশী।

বিশাল ভরের এই নক্ষত্র (প্রায় ১৩ লক্ষ্য পৃথিবীর সমান), পুরো সোলার সিস্টেম এর নিয়ন্ত্রক। প্রতি সেকেন্ড অসংখ্য শক্তি উৎপাদন করতে থাকে এই সূর্য যা পৃথিবীতে তাপ ও আলো রূপে আমরা পাই। সারফেসের পুরো জায়গা জুড়ে বিস্ফোরিত হয় সুপারহীটেড আয়োনাইজড গ্যাস। এর এক একটি লুপ এর উচ্চতা প্রায় ১০ হাজার কিলোমিটারেরও বেশী, কোন কোনটি আবার ৫০ হাজার অতিক্রম করে। এক একবারে এক্সপ্লোশনের শক্তি প্রায় ১০ হাজার আগ্নেয়গিরীর সমান।

এই বিশাল ঝড়ের লুপের রেডিয়েশন ছড়িয়ে পড়ে মহাকাশের সাগরে। কিন্তু একদিন এই সবকিছু থেমে যাবে। সূর্যের জ্বালানী নিঃশেষ হবে। মৃত্যু হবে বিশাল এক দানবের, আর এর মৃত্যু মানে, পুরো সৌরজগতের অতল অন্ধকারে চিরতরে হারিয়ে যাওয়া। সৃষ্টিজগতের অদ্ভুত শিল্প কলার রূপ কেবল তো চোখের সামনে আসতে শুরু করেছে।

আর এর একটা ছোট্র আকর্ষন হচ্ছে ”কমেট ”, যেটা সূর্যের কাছাকাছি আসার কারনে দ্রুত বাষ্পায়িত হচ্ছে। দীর্ঘ ১৫০ কিলোমিটারেরও বেশী লম্বা লেজ জানান দিচ্ছে এর বিস্তারিত যাত্রা পথের। কোন সন্দেহ নেই যে এটি গভীর মহাকাশ সমুদ্রের কোন এক প্রান্ত থেকে ছুটে এসছে। কমেট শক্ত কালো ধূলা আর জমাটবাধা পাথরের আস্তরের নীচে লুক্কায়িত এক বিশাল বরফের খন্ড। প্রচন্ড তাপের কারনে হোস পাইপ এর মত করে পানিকে প্রচন্ড গতিতে চারদিকে ছিটিয়ে দিতে থাকে আর এর সাথে ছিটকে বের হতে থাকে পাথর আর নুড়ি।

কেউ জানে না কতকাল ধরে এই কমেট তার হৃদয় গভীরে পানিকে বহন করে চলেছে। হয়তো কোটি কোটি বৎসর আগে কোন একটি কমেট পৃথিবীতে আছড়ে পড়েছিল আর শুকনো পৃথিবীতে বপন করেছিল জীবনের সবচেয়ে প্রাচীন আর গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, কোন জৈব কণা এবং পানি, আর এর থেকেই যুগ যুগ ধরে পৃথিবী ব্যাপী প্রাণের বিপুল সমাহার। প্রাণ বহনকারী গরম পানির ফোয়াড়া এই কমেট যদি আবার পৃথিবীতে আছড়ে পড়ে কোনদিন, হয়ত এই সময়ের সভ্যতাগুলো হারিয়ে যাবে ডাইনোসরদের যুগের মত, তবে আপাতত এই পৃথিবী নিরাপদ। তবুও এই পৃখিবীর মত আরেকটা পৃথিবী খুঁজতে আমাদের যাত্রা অব্যাহত থাকবে। অজস্র মিলিয়ন কিংবা বিলিয়ন ছায়াপথের মধ্যে হয়ত কোন একটা গ্রহ লুকিয়ে আছে যার তাপমাত্রা, আলো, ঘূর্ণন, পানি, গ্যাস সবকিছু আমাদের বর্তমান পৃথিবীর মত আর সেখানেই হতে পারে মানুষের নতুন বাসস্থান আর যদি তা না হয় তাহলে আমরা সবাই হয়ত ছিটকে পড়ব মহাকাশের বিপজ্জনক আর প্রতিকূল সীমাহীন সমুদ্রের মধ্যে।

এরপর?লাল গ্রহ কিংবা রোমান যুদ্ধদেব। কল্পবিজ্ঞানের কল্যাণে অথবা মানুষের চিন্তা, যে কারনেই হোক। ”মার্স “ সবসময়ই পৃথিবীবাসীর দৃষ্টি আকর্ষন করে গেছে। বহুকাল ধরে আমরা ভাবছি হয়ত এখানে আছে কোন ভিনগ্রহের বাসিন্দা, মার্সানস। যদি এমন হয় তবে বিজ্ঞানের ইতিহাসের পাতাকে ছিড়ে কেটে আবার নতুন করেই হয়ত শুরু করতে হবে।

যদি এখানে জীবনের স্পন্দনের কোন চিহ্নও খুঁজে পাওয়া যায়, তাহলে হতে পারে এই মার্স ই আমাদের পরবর্তী আবাস, কিন্তু কি আছে এখানে!আকৃতিতে ২য় ছোট এই লাল গ্রহটি আসলে একটি মৃত প্রান্তরভূমি। বাস্তবে এটি আসলে একটি বিশাল ফসিল। হ্যা, জীবন এখানেও আছে, বিশাল আকৃতির ঘূর্নিঝড়ের। এরা এতই বড় যে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় যে কোন ঘূর্নিঝড়ের চাইতেও অনেক বড়। বাতাস থাকলে জীবনের অস্ত্বিত্ব হয়ত পাওয়া যেতে পারে কিন্তু মার্স এর পুরোটা শ্বাসরোধী কার্বন ডাই অক্সাইডে পূর্ণ।

এর লাল রং হচ্ছে আয়রন অক্সাইডের কারনে। আর সূর্যের অতিবেগূনী রশ্মি থেকে বাচাবার মত নেই কোন শক্তিশালী বায়ুমন্ডল এর চাঁদোয়া। তাপমাত্র প্রায় মাইনাস ৮০। সবকিছু বরফ হয়ে আছে এই রোমান যুদ্ধদেবতার শরীর জুড়ে। পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন সার্ভাইভার ব্যকটেরিয়ারা হয়ত এখানে বসতি গড়তে পারে।

কিন্তু প্রাণকে এগিয়ে নেয়ার মত তাপ, মিনারেলস এখানে নেই। কিন্তু কিছু ভলকানো কেবল এখানে আছে, এত বিস্তর যে পুরো স্পেন এর সমান, উচ্চতায় মাউন্ট এভারেস্ট এর প্রায় ৩ গুন; যদিও এদেরকে এক্সটিন্কট বলা হয়। কিন্তু এই ভলকানো কখনো যদি ইরাপ্ট হয় এবং অভ্যন্তরে লুকিয়ে থাকা জমাট বরফ গলতে শুরু করে এবং যদি কখনো সেখানে মিনারেল এর রিসাইক্লিং শুরু হয়, তাহলে হয়ত নতুন করে প্রাণের স্পন্দন শুরু হবে। কিংবা বড় বড় গ্রান্ড ক্যানিয়ন গুলো, যা ছড়িয়ে আছে পুরো মার্স জুড়ে। কিসের কারনে এমন পানির বয়ে যাওয়া স্রোতের দাগ।

হয়ত বিশাল পানির সাগর বয়ে চলছে এই গভীর খানা খন্দের বুকের মধ্যে আর সেখানেই বসত করছে মার্সানরা। নাসা রোভার “অপরচুনিটি” সেই খোঁজ করেই এগিয়ে যাচ্ছে। হয়ত মার্স কোন এক সময় ছিল আমাদেরই অগ্রজদের গ্রহ, আমরাই হয়ত মার্সান। এই গভীর প্রাণ আর সভ্যতার অজানা রহস্য হয়ত আমরা এখনো উদঘাটন করতে পারি নি, তবে যে কোন সময় যে কোন চমক দিতেই প্রস্তুত এই লাল আপাত মৃত গ্রহটি। মার্স হতে পারে সবচেয়ে বেশী গবেষনা করা গ্রহ, কিন্তু তাই বলে রহস্য আর নতুন কোন তথ্য আসার সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায় নি।

আমাদের পথ আরো অনেক বাকি। জার্নি থ্রু দি স্পেস আরো দুষ্কর হয়ে পড়ছে দূর থেকে একের পর এক এস্টরয়েডগুলো ছুটে আসাতে। মনে হচ্ছে যেন বিশাল এক মহাজাগতিক গেম। কিন্তু এই গেম ভয়ংকর, কারন এই এস্টরয়েড কনাগুলো দানবীয় আর রীতিমত ভয়ংকর দ্রুতগতি সম্পন্ন। এর কোন কোনটি ১০০ কিমি প্রশস্ত আর প্রায় ৮০ হাজার কিমি গতিতে ছুটছে।

বিলিয়ন বছর আগে এই মহাকাশের এলোপাথাড়ি ছুটতে থাকা রাবলগুলোর ভয়ানক সংঘর্ষের মাধ্যমেই একসময় সৃষ্টি হয়েছিল আমাদের পৃথিবী, আর তাদের এই সংঘর্ষ আজও অবিরাম। ছিন্ন ভিন্ন হয়ে ছিটকে পড়া এর ভগ্নাংশগুলো বারবার আছড়ে পড়েছে এই পৃথিবী কিংবা অন্যান্য গ্রহগুলোর বুকে মেটিওরাইটস হয়ে। কিন্তু কিছু একটা আছে যা এই বিক্ষিপ্ত কণাগুলোকে নিয়ন্ত্রন করছে। "জুপিটার", সোলার সিস্টেম এর সর্ববৃহত গ্যাসিয় এই গ্রহটি প্রচন্ড গ্র্যাভিটেশনাল ফোর্স দ্বারা নিয়ন্ত্রন করছে অসংখ্য এস্টেরয়েডকে। জুপিটার পৃথিবী থেকে প্রায় হাজার গুন বড়, অসাধারন রংয়য়ের কারুকার্যখচিত এই গ্রহটি অবিশ্বাস্য সুন্দর।

কিন্তু এই সুন্দর কল্পরং এর খেলা আসলে বিশাল এক গ্যাস ভান্ডারের অকল্পনিয় যুদ্ধের কারনে সৃষ্ট। এর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত পর্যন্ত হয়ত কোন দিন কোন কঠিন তলের অস্তিত্বই পাওয়া যাবে না। সারক্ষন চলতে থাকা বিশাল বিশাল গ্যাস ঝড় চলতে থাকে শত মাইল গতিতে আর সৃষ্টি করতে থাকে শক্তিশালী ঘূর্ণি। কিন্তু এখানে আছে একটা বিশাল ঘূর্ণি, বিখ্যাত "গ্রেট রেড স্পট"; যা প্রায় পৃরো পৃথিবীর চাইতেই বড় আর এই ঝড় চলছে প্রায় তিন হাজার বছর ধরে। এক একটা বজ্র আমাদের হাজার বজ্রপাতের চাইতেও বেশী শক্তিশালী।

দূর থেকে সুন্দর ভাবা এই গ্রহটি আদতে ধোকায় পূর্ণ বিশাল এক মৃত্যু ফাদঁ। কিন্তু এই ফাঁদ এর আড়ালে কি লুকিয়ে আছে কিছুক্ষনের স্বস্তি?জুপিটারের উপগ্রহ আই.ও. । আরো একটা রঙিন মাটির ঘর। মনে হয় এটাই আমাদের এই ক্লান্ত বিশাল যাত্রায় স্বস্তি এনে দেবে। কিন্তু আ.ও. আসলে নানা ধরনের অগ্নুৎপাত, বিষাক্ত গ্যাস, আর ভয়ংকর অশান্ত, টার্বুলেন্ট উপগ্রহ।

সূর্যের পরে এত অশান্ত অবস্থা কেবল এই আই.ও. উপগ্রহের। পৃথিবী থেকে ৬৫০ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরত্বে অভাবনীয় এক জগৎ। আর এখানেই আর্কটিকের মত একটা জায়গা। ইউরোপা, যেখানে বরফ এর আচ্ছাদন এর মাঝে ফাটল সৃষ্টি করেছে পৃখিবীসুলভ এক পরিবেশ। সূর্য থেকে ৮০০ মিলিয়ন কিমি দূরের এই উপগ্রহটি হতে পারে মহাজগতে প্রাণের অস্তিত্বের এক রহস্যময় গুপ্তধন।

কিন্তু যতদিন পর্যন্ত না কোন স্পেস প্রোবস এখানে পাঠানো যাচ্ছে, রহস্য কেবল রহস্যই থেকে যাচ্ছে। ২য় পর্ব ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।