আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছাত্রলীগ নেতার ককটেল পার্টি। যার বলি স্ত্রী ও শ্যালিকা সহ আরো কয়েক জন।

আমাদের সমাজে স্ত্রী ও পরিবারে সদস্যদের নিয়ে ককটেল পার্টিতে মদ্য পনের রীতি নেই বললেই চলে। কিন্তু বর্তামান সময়ের সবচাইতে ডেসপারেট সংগঠন ছাত্রলীগ সেই পুরোনো রীতি মেনে চলবে কেন ? তাদের দল এখন ক্ষমতায়, তাছাড়া তারা ঠিকাদারি নিয়েছে এদেশকে বদলে দিয়ে ডিজিটাল (!) করার। দেশকে ডিজিটাল করতে হলে তাদের ধ্যান ধারনায়ওযে পরিবর্তন আনতে হবে। মন ও মননে আরো আধুনিক হতে হবে, হয়তো সেই চিন্তা চেতনা থেকেই এই ঘটনা জন্ম। আসল কথায় আসি।

গতকাল ২১। ১২। ২০১২ তারিখের 'আমাদের সময়' পত্রীকায় একটা খবর দেখে খটকা লাগলো মনে। খবরটা পড়ে দেখলাম এখানেও ছাত্রলীগ। হেডলাইনের সাথে খবরের সামান্য কিছু অংশ উপস্থাপন করলাম।

"মদপানে স্ত্রী ও শ্যালিকার মৃত্যু, স্বামী হাসপাতালের আইসিইউতে। " 'গোপনে লাশ দাফন, পুরান ঢাকায় চাঞ্চল্য। ' রাজধানীর স্বমীবাগে বিষাক্ত মদপানে সুত্রাপূর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু হানিফের স্ত্রী রেশমা আক্তার (৩০) ও শ্যালিকা তুসির (২২) মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গুরুতর অবষ্হায় আবু হানিফ সেতু হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। রেশমার বাবা ফারুক আহমেদ ওই মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

পত্রীকার রিপোর্টে জানা যায়, স্হনীয় সুত্র জানায় মৃতের সংখ্যা পাঁচজন। নিহত অন্যদের নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নি। লোক-লজ্জার ভয়ে গোপনে তাদের মৃতদেহ দাফন করা হয়েছে বলে স্হানীয় অভিযোগ রয়েছে। জানাযায় গত ১৫ ডিসেম্বর রাতে স্বমীবাগে মিতালী বিদ্যাপীঠে এক অনুষ্ঠান শেষে স্কুলের একটি কক্ষে মদপানের আসর জমে। এ আসরে কয়েকজন বিভিন্ন রকমের মদ এক সাথে মিশিয়ে ককটেল বানিয়ে পান করেন।

পরদিন সকালে রেশমা এবং বিকেলে তুসি অসুস্হ হয়ে পড়লে তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, সন্ধ্যায় রেশমা এবং রাত ৩টায় তুসি মারা যায়। তাদের স্বামীবাগ দক্ষিন মূসূন্দী কবরস্হানে দাফন করা হয়। সুত্রাপূর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু হানিফ সেতুও অসুস্হ হলে তাকে পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কথা হলো একটা বিদ্যলয়ের ভিতরে এই রকম ককটেল পার্টির আসর বসানো কতটা যুক্তি সংঘত। যার বলি হলো কতগুলো তাজা প্রান।

আর সমাজে ও বিদ্যালয়ের সাধারন ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে এর নেতিবাচক প্রাভাব কতটা পরবে সে সমন্ধে কোন ধারনা কি ছাত্রলীগ নেতাদের নেই ? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.