আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ওরা ১৭ জনঃ বাংলা ব্লগ দিবসের ভলান্টিয়ারদের ভিডিও

কেবল সমুদ্র পারে শুষে নিতে সব, যা কিছু বিপ্রতীপ, ভেসে আসে নিদারুণ কষ্টের নীলজলে.. ওরা ১৭ জন। প্রকৃত সংখ্য ১৭ র বেশীও হতে পারে । তবে ব্লগ দিবসের ভলান্টিয়ার পরিচিতি পর্বে আপাততঃ পাওয়া গেল এই ১৭ জনেরই পরিচিতি। শোনা গেল তাদের কাজের কথা। তাদের স্বেচ্ছাশ্রম, তাদের অনবদ্য অসাধারণ সব Contribution এর কথা।

বাংলা ব্লগ দিবস উদযাপনের আয়োজন ও চূড়ান্ত অনুষ্ঠানকে ঘিরে তাদের রাত দিনের অক্লান্ত স্বেচ্ছাশ্রম সফল করেছে এবারের অনুষ্ঠানকে। শরৎ-কে ধন্যবাদ, তিনি বাংলা ব্লগ দিবস উদযাপনের এই নেপথ্য কারিগরদের পরিচিত করিয়ে দিতে কার্পণ্য করেননি। খুব বিনয়ী বাপুরাম সাপুড়ে যখন কোনমতে নিজের পরিচিতি টুকু দিয়েই সরে যাচ্ছিলেন, তখন তাকে আটকে ধরে রেখে শরৎ জানালেন তার কীর্তির কথা- বাংলা ব্লগ দিবস উদযাপনের পোষ্টার এবং ব্যানার তৈরী করেছেন এই ব্লগার। একই ভাবে স্টেজে এসে আমিনুর রহমান যখন শুধু নিজের নাম বলে সরে যাচ্ছিলেন তখন তাকে থামিয়ে দিয়ে শরৎ জানালেন রুশান-এর জন্য ব্লগারদের নিবেদিত সকল প্রচেষ্টার সাথে আমিনুর রহমান-এর বিশেষভাবে সম্পৃক্ত থাকার কথাটি। এভাবেই মানবিক বোধ, সজাগ উপলব্ধি আর প্রত্যাশাবিহীন ভালোবাসায় বাংলা ব্লগকে সমৃদ্ধ করছেন বাঙালী ব্লগাররা।

সামহয়্যারইনব্লগের উন্মুক্ত জানালায় মুখ রেখে প্রতিদিন যে ব্লগাররা এ পৃথিবীকে দেখেন সচেতন অপার এক সহমর্মীতায়, তাদের পক্ষেই তো সম্ভব যুগে যুগে ‘প্রাপ্তি’ কে বাঁচাতে এগিয়ে আসা, ‘শাশ্বত’ র জন্য অক্লান্ত এক লড়াই কিংবা ‘রুশান’ এর জন্য সমবেত ক্লান্তিহীণ অশেষ প্রয়াস । ২৯ শে মে, ২০০৬ এ সামুতে প্রথম যে পোষ্ট লিখেছিলাম, তার শিরোণাম দিয়েছিলাম- এলেম স্বপ্নের দেশে, বাঁধ ভাঙ্গার বিস্ময়কর আয়োজনে। আমার পা রাখা সেই ছোট্ট স্বপ্নের দেশ, বাঁধ ভাঙ্গার সেই বিস্ময়কর আয়োজন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা বাঙালীদের ভালবাসায় সিক্ত হতে হতে আজ বিশ্বব্যাপী বাংলা ব্লগ দিবস উদযাপনের এক অপার সুন্দর মোহনায় এসে মিলিত হয়েছে। এটি ভাবলে আনন্দের অশ্রু আমাকে বিহ্বল করে তোলে। আমি নিজে ব্লগে নিয়মিত নই।

নিয়মিত না হতে পারার যন্ত্রনা নিয়ে লিখেছি- কেমন আছো, প্রিয় সামহয়‍্যারইন? আবার অনেকদিন অনিয়মিত থাকার পর যখন ফিরে এসেছি, বিপুল ভালবাসায় তখন কবিতা লিখেছি- ফিরে আসি, ফিরে আসতেই হয়! এভাবেই কেউ অনিয়মিত, কেই নিয়মিতভাবে এসে বাঁচিয়ে রাখছেন আমাদের ব্লগকে। আজকের বাংলা ব্লগ দিবসে আমরা পেয়েছি নোবিতা রিফু, রাইসুল সাগর, এস আর জনি,একজন আমি, মহাজাগতিক পাগল, এপোলো ৯০, পথের পাঁচ, কাল্পনিক ভালোবাসা কিংবা আমান, আসগারী রহমান, অতনু, সঞ্জয়, ডেস্কটপ, ঘুড্ডি পাইলট, তন্ময় ফেরদৌস-এর মতো নিবেদিত প্রাণ কিছু স্বেচ্ছাশ্রমী ব্লগার, আজ থেকে দশ বছর পর হয়তো পাবো আরেক প্রজন্মের একই উদ্যমে উৎসাহী একইরকম প্রাণচঞ্চল আরো কিছু ব্লগার। আজকের ব্লগ দিবসের বাপুরাম সাপুড়ে-ই হয়তো অন্য নামের কারিগর হয়ে এসে এঁকে দিবেন আজ থেকে পনের বছর পরের ব্লগ দিবসের পোষ্টার, আজকের আমিনুর রহমান-ই হয়তো আরেক আমিনুর হয়ে অন্য কোন রুশান-কে বাঁচাতে তখন ঝাঁপিয়ে পড়বেন সমবেত উদ্যোগে। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা ব্লগ নামের এই বিশাল এক ‘যেমন ইচ্ছে লেখার আমার কবিতার খাতা’য় প্রতিদিন যারা একটি করে কবিতা লেখে, প্রতিদিন যারা ‘প্রিয় বাংলা’য় তুলে ধরে তাদের প্রিয় আবেগ, প্রিয় সচেতন বোধ আর প্রিয় স্বপ্ন-সম্ভাবনার কথা – আমি তাদের সালাম আর শ্রদ্ধা জানাতেই বারবার ফিরে আসি। ফিরে আসি তাদের সেই ত্যাগ, তাদের সেই নিবেদিত প্রচেষ্টার সুন্দর অবলোকন সরাসরি প্রত্যক্ষ করতে।

ফিরে আসি বাংলা ব্লগের প্রতি এই অনিঃশেষ ভালবাসায় রেখে যেতে আরো এক কৃতজ্ঞ গোলাপ, সুনীল সমুদ্রসমান অসামান্য ভালোবাসা ! এবারের ব্লগ দিবসের ভলান্টিয়ারদের পরিচিতিপর্বের সম্পূর্ণ ভিডিওটি অপক্ক হাতে তোলার সুযোগ হয়েছিল। ১৯২০-১০৮০ পিক্সেলের মূল ১.০৯ গিগাবাইটের ভিডিওকে WMV তে কনভার্ট করার পর সাইজ হয়েছে ৫৩.৪ মেগাবাইট। আপলোড করেছি আমার ড্রপবক্সে। ভিডিওটির লিংক এখানে বাংলা ব্লগ এবং ব্লগ দিবস উদযাপনের নেপথ্যের নিবেদিত প্রাণ স্বেচ্ছাকর্মীদের অনবদ্য সব অবদানের কথা- ছড়িয়ে পড়েছে বাংলা ভাষা ভাষী বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা ব্লগারদের মাঝে। একদিন তা নিশ্চয়ই কিংবদন্তীর উপাদান হয়ে আবারো উঠে আসবে আগামী প্রজন্মের কোন ব্লগারের লেখা প্রবন্ধে, গল্পে, কবিতায়।

অভিবাদন তোমাদের, প্রিয় ভলান্টিয়ারস! দেখা হবে আবার !  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।