আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছবির নামঃ রয়েল বেঙ্গল রহস্য (2011)

স্বনামধন্য চলচ্চিত্রকার ও সাহিত্যিক প্রয়াত সত্যজিৎ রায় এর অমর সৃষ্টি “ফেলুদা” , আর তারই নতুন সংস্করণ হিসেবে ‘ফেলুদার রয়েল বেঙ্গল রহস্য’ মুভিটি পরিচালনা করেছেন পরিচালক সন্দীপ রায় । এর চিত্রনাট্য এবং সঙ্গীতও সন্দীপ রায় এর নিজের করা । এতে যথারীতি অভিনয় করেছেন- সব্যসাচী চক্রবর্তী, সাহেব ভট্টাচার্য, বিভু ভট্টাচার্য সহ আরও অনেকে এবং যথারীতি প্রতিবারের মত ‘ফেলুদা’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন- সব্যসাচী চক্রবর্তী । আর এর প্রযোজনায় রয়েছে - শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্ম ও সুরিন্দর ফিল্ম । ।

এবার মূল গল্পে আসা যাক, ‘ফেলুদার রয়েল বেঙ্গল রহস্য’ ছবিতে লালমোহনবাবু তার ‘জঙ্গলে জঙ্গী’ বইটি উৎসর্গ করেছিলেন যে দোর্দন্ডপ্রতাপ শিকারীকে সেই মহীতোষ সিংহরায় ফেলুদাকে একটি চিঠির মাধ্যমে আমন্ত্রণ জানান তার একটি সমস্যার সমাধান করে দেওয়ার জন্যে, আর তারই আমন্ত্রণ পেয়ে ফেলুদা,তোপসে ও জটায়ু যান রহস্য উদঘাটন করতে । জমিদার মহীতোষ সিংহরায় এর পূর্বপুরুষের রেখে যাওয়া গুপ্ত ধনের সন্ধান করতে গিয়ে জমিদার মহীতোষ সিংহরায় এর সেক্রেটারি জঙ্গলে বাঘের আক্রমণের শিকার হয়ে মারা যায় কিন্তু অজানাই থেকে যায় পূর্বপুরুষের রেখে যাওয়া গুপ্ত ধন রৌপ্য মুদ্রার কথা । অশ্বত্থে ঢাকা পোড়ো মন্দির আর জঙ্গল ঘিরেই আবর্তিত হতে থাকে ছবির বাকি গল্প । কিভাবে মহীতোষ সিংহরায় এর বাল্যবন্ধু শশাঙ্কর বাঘকে গুলি করে তার রহস্য এক সময় বের হয়ে আসে ফেলুদার মাধ্যমে । আবার কখনও মহীতোষ সিংহরায় এর বিকারগ্রস্ত ভাই দেবতোষ সিংহ রায়ের কথার মাধ্যমেও অনেক কথা জানতে পারে ফেলুদা ।

আর এইসব ঘটনার প্রেক্ষিতেই ঘটনা আরও মোড় নিতে থাকে । সবশষে গুপ্ত ধন রৌপ্য মুদ্রার খোঁজ পাওয়া যায় এবং একসময় ফেলুদা এও বের করেন যে দোর্দন্ডপ্রতাপ শিকারী যে মহীতোষ সিংহরায়কে ভাবা হয়েছে তা আসলে তিনি নন , তার পক্ষ্য হয়ে তার বাল্যবন্ধু শশাঙ্করই মূলত শিকারগুলো করত , আর এর ভেতর দিয়েই ফেলুদার রয়েল বেঙ্গল রহস্য’ ছবির সমাপ্তি ঘটে । রয়েল বেঙ্গল রহস্য চলচ্চিত্রটি কারিগরি দিক সব দিক দিয়েই ভালো লেগেছে আমার । আসলে আমি এই সিরিজের দারুনভক্ত । কাহিনীর আবর্তন যদিও কিছুটা সময় আমার কাছে কেমন যেন লেগেছিল তবুও সত্যজিৎ রায় এর একজন ভক্ত হিসেবে এক বসায় সিনেমাটি দেখে শেষ না করে পারলাম না ।

চিত্রকর্ম নিয়ে তৈরি বিভিন্ন চলচ্চিত্রের প্রতি আমার বরাবরই দারুণ দুর্বলতা । ছবির বিভিন্ন লোকেশন , আর্টিস্টদের মেকআপ সবই সময়োপযোগী ও কাহিনীর সাথে সামাঞ্জস্যময় লেগেছে । এক কথায় এই সিরিজটি প্রতিবারের মত সব্যসাচী চক্রবর্তী দারুণভাবে টেনে নিয়েছেন । কি হবে এরপরে কি হবে এইরকম একটা জিজ্ঞাসাও তৈরি হয়ে গিয়েছিল আমার কাছে । সব মিলিয়ে বলা যায় গোয়েন্দাগিরি যাদের করার খুব ইচ্ছে তারা দেখতে পারেন ।

আমার মনে হয় ভালোই লাগবে ।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.