আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গরু রচনা

সচেতন হই , সচেতন করি । গরু ভুমিকাঃ গরু হল আমাদের দ্বারা পরিচালিত একটি অন্যতম গ্রিহপালিত প্রানি। গরু দেখতে বিভিন্ন রঙের হয়, যেমন সাদা গরু, কালা গরু, সাদা-কালা গরু ইত্যাদি। গরু আবার ভিবিন্ন জাতের হয় যেমন বিরিষ গরু, দেশি গরু, ইন্ডিয়ান গরু, আউস্ত্রেলিয়ান গরু ইত্যাদি। দুই ধরনের গরু আমাদের সমাজে সচারচর দেখা যায়, রিয়েল গরু এবং মনুষ্যরুপী গরু।

গরুর ফিগারঃ গরুর আমাদের মত দুইটা হাত ও দুইটা পা আছে কিন্তু হাঁটাচলার সময় বুদ্দিমান গরু তার হাত পা চারটাই ইউস করে, বাট বলদের বলদ মানুষ শুদু দুইটা পা দিয়া কষ্ট করে হাটে যা নিয়ে গরু সমাজে অনেক হাসাহাসি হয়, হায়রে মানুষ! গরুর হাত ও পায়ে আঙ্গুলের পরিবর্তে ক্ষুর থাকে যা দেখতে অনেকটা কালো প্লাস্টিকের মত। এই ক্ষুর গুলা গরুর পায়ের ও হাতের জুতা হিসেবে ইউস হয় যা তাঁদেরকে দেয় কাদাযুক্ত মাটিতে স্বচ্ছন্দে চলার অনুভুতি। মানুষকে সৃষ্টিকর্তা বিউল্ট ইন জুতা দেন নাই তাই তাঁদেরকে অনেক টাকা পয়সা খরচা করে জুতা কিনতে হয় তাও আবার কয়দিন পর চিড়ে যায়, মানুষের এইসব দুঃখ দেখে গরুর মনে মানবিক সহানুভূতি জেগে ওঠে সেইজন্য গরুরা মৃত্যুর পূর্বে তাদের গায়ের চামড়া মানুষদের উইল করে দিয়ে যায় যাতে মানুষের দুঃখ লাঘভ হয়। গরুর কেবল একটা নাক আছে, এই নাক দিয়ে তারা নিঃশ্বাস নেয় ও কার্বনডাই অক্সাইড ত্যাগ করে। যদিও নাকটা দেখতে একটু ভটকা বাট বিশাল গরুর ভটকা নাক থাকাটাই স্বাভাবিক ও সুন্দর।

গরুর একটা যথেষ্ট লম্বা ও আকর্ষণীয় ল্যাজ আছে যা দিয়া তারা মাছি তাড়ায় ও প্রয়জনে তাদের শরীর চুলকায়। লেজের মাথায় থাকে কালো ক্যাশ সেইজন্য গরুকে লাগে বেশ। গরুর খাদ্যঃ গরু সাধারণত ঘাস লতা পাতা ও শাকসবজি খায়। এরা মাংস খায় না কারন মাংস খেলে এলারজি হয়। গরুরা অনেক স্বাস্থ্য সচেতন যে কারনে ডাইবেটিস, হৃদরোগ, কলেরা, আমাশয় ইত্যাদি রোগ গরুদের হয়না বললেই চলে।

উপকারিতাঃ ১) গরু আমাদের ঘাস খেতে পরোক্ষ ভাভে সহয়তা করে। গরু ঘাস খায় আর আমরা গরু খায়, গণিতের বাসায় আমারাও ঘাস খায়। ২) মানুষরূপী শিক্ষিত গরু আমাদের অনেক বিনোদন দেয়, যেমন মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী......( যদি হাসি আসে তাহলে আস্তে হাসেন, ওয়েব লিঙ্ক ক্রাশ/ভেঙ্গে পড়তে পারে ) ৩) আবাল গরু, যেমন আমজনতা, এরা সারাজীবন দেশের হাল চাষ করে আর চাষের ফল ভোগ করে জমির মালিকগন, আই মীন, রাজনীতিবিদগন। আমাদের মত পরোপকারী গরুদের কারনে দেশের এই অবস্থা, এতে রাজনীতিবিদরা অনেক উপকৃত হন। ৪) বলদ গরু গাই গরুর পেছনে থাকে আর গাই গরু বলদ গরুর সামনে থাকে, এইভাবে গরু আমাদের চেইন অব কমান্ড শিক্ষা দেয়।

মানভ সমাজ গরুর কাছে নানা দিক দীয়া ৠণী। ৫) মনুষ্যরুপী গরু মঙ্গল গ্রহ অথবা আমাজন জঙ্গলে রপ্তানি করে প্রচুর বিদেশী ঘাষ অর্জন করা সম্ভব, এতে রিয়েল গরুদের অনেক দিনের দাবীও পূর্ণ হবে এবং অর্থনীতির চাকাও সচল হভে। অপকারীতাঃ ১) গরুরা খুভ অভদ্র, যত্রতত্র প্রাকৃতিক কাজ সেরে ফেলে। ওদের টয়লেট নেই, বেডরুমও নেই!! ২) রাজনীতিবিদ নামের গরু গুলাও যত্রতত্র বাজে কথা ও বাজে কাজ করে, ওনাদের ঘরবাড়ি নেই। ৩) আমজনতা নামের বলদ গুলা প্রতিবার ভোটের সময় হাম্বালিগ অথবা বিম্পিতে ভুট দেয় আর পরবর্তী পাঁচ বচর ঘাসের বদলে বাঁশ খায়।

বলদের বলদ গুলা নেক্সট টাইম আবার হাম্বালিগ অথবা বিম্পিতে ভুট দেয়, এই বলদগুলার শিক্ষা হয় না, দেখে মনে হয় বাঁশই এদের প্রধান খাধ্য। বলদগুলা না ভোটও দিতে জানে না, এদের বলদামির কারনে দেশের বারোটা বাজে। উপসংহারঃ দেশ আজ গরু দিয়ে ভরে গেছে, রাজনীতি হতে শুরু করে আম জনগণ সর্বত্রই গরুর অবাধ বিছরণ। গরুর মৃদুমন্দ হাম্বা ধ্বনি সমস্বরে হয়ে ওঠছে প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর, গরুরাও চায় সমাজে সমান অধিকার। সবিধানের ১৬তম সংশোধনীর মাধ্যমে সমাজে নারি, গরু ও পুরুশের সমান অধিকার নিশ্চিত করার জন্য আগামি ৫ মে ঢাকার মতিঝিলে গরুদের মহাসমাবেশর আয়োজন করা হয়েছে।

এ সমাবেশ হতে বর্তমান ইন্ডিয়ান গরুদের ক্ষমতা হতে বিতারিত করে পাকিস্তানী গরুদের খমতায় আনার ঘোষণা দেয়া হবে। দেশি গরু তথা আমজনতার কপালে কেবলই বাঁশ। ( আসুন, সবাই মিলে খাই বাঁশ, দুখের মধ্য দিয়ে শান্তিতে করি বসবাস ) হায়রে গরু ! ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।