আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১৬ ডিসেম্বর লাল-সবুজের পতাকা অর্জন, অতঃপর জাতির পতাকা খামচে ধরেছে পুরানো শকুন

মানুষ আর প্রাণীর মধ্যে পার্থক্য হলো-চেতনাগত ও সংস্কৃতিগত। ১৯৭১ সালে দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ৩০ লক্ষ শহীদের তাঁজা প্রাণ ও দুই লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিল বাঙালি জাতি। ৭১’সালের এই দিনে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধ। পৃথিবীর বুকে জন্ম নিলো লাল-সবুজের পতাকা আবৃত একটি দেশ। যার নাম বাংলাদেশ।

আর এই দেশের জাতীয় সংগীত হলো_আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসনাধীন ভারত উপমহাদেশ স্বাধীন হয়ে দুটি পৃথক স্বাধীন রাষ্ট্রের পাকিস্তান ও ভারতের জন্ম হয়। নবগঠিত রাষ্ট্র পাকিস্তানের দুটি অংশ (বারশ মাইলের ব্যবধানে) পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তান। পাকিস্তানের পশ্চিম অংশ জন্মলগ্ন থেকেই পূর্বপাকিস্তানের সাথে বিমাতা সুলভ আচরণ শুরু করে। এভাবে চলতে থাকে দীর্ঘ ২৩ বছর।

এক শোষণ-বঞ্চনার নির্মম ইতিহাস। ১৯৫০ সালের ২৪ এপ্রিলের জেল হত্যাকাণ্ড (খাপড়াওয়ার্ড), ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষাআন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান আর ৭০-এর নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি এগিয়ে যায় স্বাধিকারের দিকে। সমস্ত সংগ্রামের সমন্বয়ে বাঙ্গালী জেগে উঠে পরাধীনতার গ্লানি মুছতে। প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয় স্বাধীনতার জন্য। ২৫শে মার্চ মধ্যরাতে পাকবাহিনী ঢাকায় সাধারণ মানুষের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।

নির্বিচারে হত্যা করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বরেণ্য শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যিকদের। ওই রাতে বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হওয়ার আগে ইপিআর বার্তার মাধ্যমে বাংলাদেশর স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। ২৭ শে মার্চ মেজর জিয়াউর রহমান চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে আবারো স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করলে মুক্তিযুদ্ধ আরো গতি পায়। ১৭ এপ্রিল কুষ্টিয়ার মুজিব নগরে গঠন করা হয় স্বাধীন বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার।

এই সরকারের নেতৃত্বে চলে দীর্ঘ নয় মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধ। বিজয়ের মাত্র ২দিন আগে ১৪ ডিসেম্বর স্বাধীনতাবিরোধী চক্র বুঝতে পেরেছিল, তাদের পরাজয় অনিবার্য। ওরা আরো মনে করেছিল যে, বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানরা বেঁচে থাকলে এ মাটিতে ওরা বসবাস করতে পারবে না। তাই পরিকল্পিতভাবে জাতিকে মেধাহীন করতে দেশের এসব বরেণ্য হাজার হাজার শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যিকদের বাসা ও কর্মস্থল থেকে রাতের অন্ধকারে পৈশাচিক কায়দায় চোখ বেঁধে ধরে নিয়ে হত্যা করে। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বরের হত্যাকাণ্ড ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে এক জঘন্য বর্বর ঘটনা, যা বিশ্বব্যাপী শান্তিকামী মানুষকে স্তম্ভিত করেছিল।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বাংলাদেশে ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যা চালানো হয়। ২৫ মার্চের কালোরাতে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর শুরু করা অপারেশন সার্চলাইট নামক ধ্বংসযজ্ঞ বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পূর্ব পর্যন্ত চলে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে কত মানুষ প্রাণ হারিয়েছে তা নিয়ে গণমাধ্যমে বিভিন্ন রকম পরিসংখ্যান প্রচলিত রয়েছে। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন এনাসাইক্লোপেডিয়া ও বইতে এই সংখ্যাটিকে ২,০০,০০০ থেকে শুরু করে ৩০,০০,০০০ পর্যন্ত উল্লেখ করা হয়েছে। বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যাটিকে ৩০,০০,০০০ হিসেবে অনুমান করা হয়।

যুদ্ধের সময় প্রায় এক কোটি শরণার্থী ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করে। যারা সে সময় দেশত্যাগ না করলে হয়তো গণহত্যার শিকার হত। স্বাধীনতার ৪১ বছর পার হলেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু কেন? স্বাধীনতাত্তোর সময়ে বাংলাদেশ ধীরে ধীরে এগিয়ে যেতে থাকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের দিকে। যে চেতনার প্রতিফলন ঘটে ’৭২-এর সংবিধানে।

সেই চেতনাকে সকাম্রাজ্যবাদ, প্রতিক্রিয়াশীলগোষ্ঠী ও যুদ্ধাপরাধীরা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার মাধ্যমে নস্যাৎ করে দেয়। ভূলুন্ঠিত হয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ’৭২-এর সংবিধান। দেশ চলতে থাকে খন্দকার মোস্তাক গংদের প্রবর্তিত অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ধারায়। যার চালিকাশক্তি ছিল সকাম্রাজ্যবাদ, প্রতিক্রিয়াশীলগোষ্ঠী ও যুদ্ধাপরাধীরা। দীর্ঘ ১৫ বছর চলে সামরিক শাসন।

এরা প্রত্যেকেই প্রতিক্রিয়াশীলগোষ্ঠী ও যুদ্ধাপরাধীদের প্রতিষ্ঠা করেছে। ’৯০-এ গণান্দোলনের মধ্য দিয়ে এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর পালাক্রমে বঙ্গবন্ধু ও জিয়ার উত্তরসুরীরা দেশ চালায়। তারাও চলতে থাকে মোস্তাক গংদের প্রবর্তিত অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ধারায়। ক্ষতায় যাওয়ার লোভে উভয় দলই যুদ্ধাপরাধীদের সাথে নেয়।

সেই সুবাদে যুদ্ধাপরাধীরা এদেশে মন্ত্রীও হয়েছে। অন্যদিকে স্বাধীনতার ৪১ বছর পরেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, ’৭২-এর সংবিধানের মূলনীতি বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। সম্ভব হয়নি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ছাড়াই আমরা অনেক কষ্ট নিয়ে ৪২ তম বিজয় দিবস পালন করতে যাচ্ছি। ১৯৭১ সালে দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ৩০ লক্ষ শহীদের তাঁজা প্রাণ ও দুই লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিল বাঙালি জাতি।

৭১’সালের এই দিনে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধ। পৃথিবীর বুকে জন্ম নিলো লাল-সবুজের পতাকা আবৃত একটি দেশ। যার নাম বাংলাদেশ। আর এই দেশের জাতীয় সংগীত হলো_আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসনাধীন ভারত উপমহাদেশ স্বাধীন হয়ে দুটি পৃথক স্বাধীন রাষ্ট্রের পাকিস্তান ও ভারতের জন্ম হয়।

নবগঠিত রাষ্ট্র পাকিস্তানের দুটি অংশ (বারশ মাইলের ব্যবধানে) পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তান। পাকিস্তানের পশ্চিম অংশ জন্মলগ্ন থেকেই পূর্বপাকিস্তানের সাথে বিমাতা সুলভ আচরণ শুরু করে। এভাবে চলতে থাকে দীর্ঘ ২৩ বছর। এক শোষণ-বঞ্চনার নির্মম ইতিহাস। ১৯৫০ সালের ২৪ এপ্রিলের জেল হত্যাকাণ্ড (খাপড়াওয়ার্ড), ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষাআন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান আর ৭০-এর নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি এগিয়ে যায় স্বাধিকারের দিকে।

সমস্ত সংগ্রামের সমন্বয়ে বাঙ্গালী জেগে উঠে পরাধীনতার গ্লানি মুছতে। প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয় স্বাধীনতার জন্য। ২৫শে মার্চ মধ্যরাতে পাকবাহিনী ঢাকায় সাধারণ মানুষের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। নির্বিচারে হত্যা করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বরেণ্য শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যিকদের। ওই রাতে বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হওয়ার আগে ইপিআর বার্তার মাধ্যমে বাংলাদেশর স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।

শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। ২৭ শে মার্চ মেজর জিয়াউর রহমান চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে আবারো স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করলে মুক্তিযুদ্ধ আরো গতি পায়। ১৭ এপ্রিল কুষ্টিয়ার মুজিব নগরে গঠন করা হয় স্বাধীন বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার। এই সরকারের নেতৃত্বে চলে দীর্ঘ নয় মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধ। বিজয়ের মাত্র ২দিন আগে ১৪ ডিসেম্বর স্বাধীনতাবিরোধী চক্র বুঝতে পেরেছিল, তাদের পরাজয় অনিবার্য।

ওরা আরো মনে করেছিল যে, বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানরা বেঁচে থাকলে এ মাটিতে ওরা বসবাস করতে পারবে না। তাই পরিকল্পিতভাবে জাতিকে মেধাহীন করতে দেশের এসব বরেণ্য হাজার হাজার শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যিকদের বাসা ও কর্মস্থল থেকে রাতের অন্ধকারে পৈশাচিক কায়দায় চোখ বেঁধে ধরে নিয়ে হত্যা করে। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বরের হত্যাকাণ্ড ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে এক জঘন্য বর্বর ঘটনা, যা বিশ্বব্যাপী শান্তিকামী মানুষকে স্তম্ভিত করেছিল। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বাংলাদেশে ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যা চালানো হয়। ২৫ মার্চের কালোরাতে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর শুরু করা অপারেশন সার্চলাইট নামক ধ্বংসযজ্ঞ বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পূর্ব পর্যন্ত চলে।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে কত মানুষ প্রাণ হারিয়েছে তা নিয়ে গণমাধ্যমে বিভিন্ন রকম পরিসংখ্যান প্রচলিত রয়েছে। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন এনাসাইক্লোপেডিয়া ও বইতে এই সংখ্যাটিকে ২,০০,০০০ থেকে শুরু করে ৩০,০০,০০০ পর্যন্ত উল্লেখ করা হয়েছে। বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যাটিকে ৩০,০০,০০০ হিসেবে অনুমান করা হয়। যুদ্ধের সময় প্রায় এক কোটি শরণার্থী ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করে। যারা সে সময় দেশত্যাগ না করলে হয়তো গণহত্যার শিকার হত।

স্বাধীনতার ৪১ বছর পার হলেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু কেন? স্বাধীনতাত্তোর সময়ে বাংলাদেশ ধীরে ধীরে এগিয়ে যেতে থাকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের দিকে। যে চেতনার প্রতিফলন ঘটে ’৭২-এর সংবিধানে। সেই চেতনাকে সকাম্রাজ্যবাদ, প্রতিক্রিয়াশীলগোষ্ঠী ও যুদ্ধাপরাধীরা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার মাধ্যমে নস্যাৎ করে দেয়। ভূলুন্ঠিত হয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ’৭২-এর সংবিধান।

দেশ চলতে থাকে খন্দকার মোস্তাক গংদের প্রবর্তিত অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ধারায়। যার চালিকাশক্তি ছিল সকাম্রাজ্যবাদ, প্রতিক্রিয়াশীলগোষ্ঠী ও যুদ্ধাপরাধীরা। দীর্ঘ ১৫ বছর চলে সামরিক শাসন। এরা প্রত্যেকেই প্রতিক্রিয়াশীলগোষ্ঠী ও যুদ্ধাপরাধীদের প্রতিষ্ঠা করেছে। ’৯০-এ গণান্দোলনের মধ্য দিয়ে এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা প্রতিষ্ঠিত হয়।

এরপর পালাক্রমে বঙ্গবন্ধু ও জিয়ার উত্তরসুরীরা দেশ চালায়। তারাও চলতে থাকে মোস্তাক গংদের প্রবর্তিত অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ধারায়। ক্ষতায় যাওয়ার লোভে উভয় দলই যুদ্ধাপরাধীদের সাথে নেয়। সেই সুবাদে যুদ্ধাপরাধীরা এদেশে মন্ত্রীও হয়েছে। অন্যদিকে স্বাধীনতার ৪১ বছর পরেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, ’৭২-এর সংবিধানের মূলনীতি বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি।

সম্ভব হয়নি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ছাড়াই আমরা অনেক কষ্ট নিয়ে ৪২ তম বিজয় দিবস পালন করতে যাচ্ছি। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।