আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আজ ১৩ ডিসেম্বর নীলফামারী হানাদারমুক্ত দিবস

দাম দিয়ে কিনেছি বাংলা, কারো দানে পাওয়া না! আজ ১৩ ডিসেম্বর নীলফামারী হানাদারমুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে ৬ নম্বর সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধারা পাক হানাদার বাহিনীর কবল থেকে নীলফামারীকে মুক্ত করে। উত্তোলন করেন স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ,১৯৭১। সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট থেকে খান সেনারা নীলফামারী দখল করে নিয়েছিল।

পুরো জেলার পরিসংখ্যান জানি না শুধু আমার নিজের থানা সৈয়দপুরে গণহত্যার শিকার হয়েছেন প্রায় ৭০০ জন বাঙ্গালী। শুধু মাত্র রেলকারখানায় হত্যা করা হয় ১৭০ জন অফিসার, শ্রমি্ক কর্মচারীকে। অল্প দিনের মধ্যেই শুরু হয় বিভিন্ন স্থানে হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ। চারদিক থেকে আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়ে পাক বাহিনী। মুক্তিযোদ্ধারা চারিদিক দিয়ে আক্রমণ শুরু করে জেলার ডিমলা উপজেলা ৫ ডিসেম্বর, ৬ ডিসেম্বর ডোমার ও ৮ ডিসেম্বর জলঢাকা ও কিশোরগঞ্জ উপজেলা থেকে খান সেনাদের হটিয়ে হানাদার মুক্ত করে।

নীলফামারী জেলা শহরকে মুক্ত করতে চারদিক দিয়ে আক্রমণ শুরু হয়। ১২ ডিসেম্বর রাতে মুক্তিযোদ্ধারা নীলফামারী শহরের দিকে অগ্রসর হতে থাকলে খান সেনারা পিছু হটে সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্টে গিয়ে আশ্রয় নেয়। ১৩ ডিসেম্বর ভোরে মুক্তিযোদ্ধারা শহরে প্রবেশ করতে থাকে এবং নীলফামারী শহর সম্পূর্ণ হানাদারমুক্ত হয়। শান্তিকামী মানুষ রস্তায় নেমে আসে এবং চৌরঙ্গী মোড়ে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে। ৭১ নিয়ে মুশাসির আরো কিছু লেখা ‘আমি এখন মরতে চাই’ **তরুন প্রজন্মের প্রতিনিধির কুড়িয়ে পাওয়া ’৭১ : পর্ব ১**  ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।