টেক্সটাইল প্রকৌশলী হিসাবে কর্মরত । সাংবাদিক: আপনারা শিবির করেন কেন?
শিবিরকর্মী:ছোটবেলা থেকেই আমার মাথা ঘুরাইতো আর গা খাউজাইতো। গাছের সাথে গা ঘষাঘষি করতাম। একদিন ঘসতে ঘসতে মাথায় বারি খাইসি, তারপর থেকে শিবির করি।
সাংবাদিক: শুরুটা কিভাবে?
শিবিরকর্মী: আমার পাশের বাসায় তামান্না নামে একটি মেয়ে থাকতো।
একদিন কিছু ছাগলা দাড়ির বড় ভাই আমাকে বললেন- " জিহাদের 'তামান্না' মনে ধারন করো" এরপর থেকে আমি তামান্না মনে ধারন করি। এভাবেই শুরু। পরে অবশ্য ভুল ভেঙেছে, তবে ততদিনে আমি ছ্যাচা খাইয়া ফেলছি অলরেডি।
সাংবাদিক: ছাত্রশিবির প্রচন্ড প্রযুক্তি নির্ভর, কথা টা কত টা সত্যি?
শিবিরকর্মী: তিন সত্যি। আমরা অনলাইনে ছাগলের মত পড়ে থাকি।
সবাই আমাদের ছাগু ডাকে, কিন্তু আমরা কিছু মনে করি না। আমার প্রিয় ব্লগার ত্রিভুজ এবং প্রিয় অনলাইন ব্যাক্তিত্ব টমসম বেগম।
সাংবাদিক: আপনারা রগ কেন কাটেন?
শিবিরকর্মী: সবাই কাটে না, আমাদের ভেতর যারা মেডিকেল ভর্তী কোচিং করেও মেডিকেলে চান্স পায় নাই তারা কাটে। আবার অনেকে মহান বীর একিলিস কে স্বরন করে কাটে। অনেকে ছোটকালে পেপার কাটতো, তারা শখে রগ কাটে।
সাংবাদিক: আপনারা বলেন শিবির একটি সম্পূর্ন ইসলামী জীবন ব্যাবস্থা...
শিবিরকর্মী: অবশ্যই। ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি, রোযা রাখি। গুরুজনকে সালাম দেই, মাল খাওয়ার আগে বলি বিসমিল্লাহ, রগ কেটে বলি আলহামদুলিল্লাহ, পিসি তে সানি লিওনা'র ছবি দেখে সুবাহানাল্লাহ , ছাত্রলীগ দেখলে নাউজুবিল্লাহ বলি। হলের ভিতর কৃত্রিম জিহাদ তৈরী করে গাজী শহীদের খেলা খেলি। নয়াদিগন্ত পড়ি, দিগন্ত টিভি দেখি, সোনারবাংলাব্লগে ব্লগিং করি, রেটিনায় কোচিং করি।
পুরাপুরি ইসলাম। যাযাকাল্লাহ
লিখেছেন Sedative Hypnotics ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।