আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

২১ তারিখে কেয়ামত, আমরা তৈরি তো?

এক আর একে দুই যে সত্য, শুধুই তোমার আশেপাশে!! বলতে পার না যে সত্য সৃষ্টির সবখানে!!! মায়া সভ্যতার কেলেন্ডারের দিনগুলো আগামী ২১ ডিসেম্বরে ফুরিয়ে যাবে। তাই ধারনা করা হচ্ছে, ঐ দিন পৃথিবীর জন্য্ও হয়তো হবে শেষ দিন। মুসলিম অধ্যুশিত দেশ হওয়ায় এ দেশের জনগন ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে এ সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন, এখনও অনেক নির্দশন দেখা বাকি আছে বলে। তাই বলে বুক যে একটু দুরু দুরু করছেনা তা কিন্তু নয়। অবশ্য দেশের এখন যে অবস্থা চলছে;হরতাল-অবরোধ,গাড়ি-ভাংচুরের যে মৌসুম শুরু হলো,তাতে রাজনৈতিক কেয়ামত যে ঐদিন শুরু হবে না, তার কোন নিশ্চয়তা নেই।

তবে অন্যান্য দেশগুলোতে এজন্য বেশ জোরে-সোরে প্রস্তুতি নেয়া শুরু হয়েছে। আমেরিকায় বাড়ির নিচে স্টীলের বাংকার বানাতে সবাই উঠে পড়ে লেগেছে। রাশিয়ায় কেরোসিন ও অন্যান্য রসদ কেনার হিড়িক পড়েছে। রাশিয়ান প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে বিশেষ কোন নিশ্চয়তা দিতে পারেননি। “পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে এমন বিশ্বাস আমার নেই, অন্তত: এবছর নয়,” এমন মন্তব্য দেশবাসীকে কতটুকু আশ্বাস দিতে পেরেছে, আমার জানা নেই।

চীনও এদিক থেকে পিছিয়ে নেই। টুইটার এর মতো একটি চীনা সামাজিক ওয়েব সাইটে বলা হচ্ছে, তিন দিন পূর্বে অর্থাৎ ১৮ ডিসেম্বর থেকে পৃথিবী ঢেকে যাবে অন্ধকারে। তাই সিচুয়ান প্রদেশের দোকানগুলোতে এখন আর মোমবাতি পাওয়া যাচ্ছে না। 2012 মুভিটির সাফল্য এবং এতে দেখানো চীনা সেনাবাহিনীর ভূমিকা তাদের আরো বেশি উদ্বুদ্ধ করে তুলেছে। অবশ্য একে সুযোগ হিসেবে চমৎকার কাজে লাগাচ্ছে মেক্সিকো।

মায়া সভ্যতার উদ্ভব এ দেশে হওয়ায়, তারা মায়াদের বিভিন্ন নিদর্শন দিয়ে সাজাচ্ছেন পর্যটনের স্থান। অন্যান্য বছরের তুলনায় দিগুন হবে এবার পর্যটকের সংখ্যা, এমনটাই আশা করছেন তারা। তবে বরাবরের মতোই রোমান্টিক (পড়ুন হাস্যকর) ফরাসীরা। তারা পিক দে বুগারাশ (Pic de Bugarach) নামক পাহাড়ের পাদদেশে সমবেত হচ্ছেন। তাদের মতে এ পাহাড় মূলত ভিনগ্রহের প্রানীদের উড়ালযানের গ্যারেজ।

এ প্রানীরা পৃথিবীর শেষসময়ে পৃথিবী ত্যাগ করবে এবং যাবার সময় তাদের পছন্দ অনুযায়ী ভাগ্যবান এবং/বা ভাগ্যবতী কয়েকজনকে তাদের সাথে নিয়ে যাবে। বাংলাদেশীদের এধরনের কোন কিছু করার সুযোগ নেই। যে কেয়ামতের জন্য আমরা অপেক্ষা করছি, তার তুলনায় পৃথিবী ধ্বংস হওয়া এমন কি কোন কঠিন কিছু। (দ্যা টেলিগ্রাফ অবলম্বনে) এমন আরো মজার তথ্যের জন্য ভিজিট করুন http://www.online-dhaka.com/ ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।