আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নান-নাতির কথাপোকথন ( চাঁপাই নবাবগঞ্জের ভাষায় )

নানা ঃ গুধা! কুনঠে গেলি বে? .....একটা কামে ক্যোহলে যুতি করে। নাতি ঃ কি গোনে ষাঁড়ের মতন চিল্লাইছো? ডাকাইত পোড়্যাছে নাকি? নানা ঃ তোকে যে ক্যোহনু, তোর নানিকে লিয়্যা হাঁসপাতালে যাবি। গেছিলি কি? নাতি ঃ গেছিনু যে জি। নানা ঃ ত্যাহলে ফের তোর নানি কোঁকাইছে কেনে? নাতি ঃ হাঁসপাতালে গেনু, সিলিপ কোরনু, লাইনে খাড়ো হ্যোনু, ডাক্তার টিপ্যা ট্যাপা ওষুদ লেখ্যা দিলে, ওষুদ লিয়্যা অ্যানু। ফের কেনে কোঁকাইছে তো হামি ক্যেমোন কোর‌্যা ক্যোহবো।

নানা ঃ ওষুদ ঠিকমতন দিয়্যাছিলোতো? নাতি ঃ তোমার কথা শুন্যা মনে হ্যোছে হামি ডাক্তার। সভাকি যা লেখ্যা ওষুদ দিছে, নানিকেও দিয়্যাছে। নানা ঃ ক্যামন কথা বে! সব রোগের কি একই ওষুদ নাকি? নাতি ঃ ত্যাহলে তোমাকে লককোর‌্যা একখান কথা কহি। কাহুকি ফের কোহিওনা। নাতো ডাক্তারেরা রাগ্যা গেলে আর ওষুদ পাব্যানা।

নানা ঃ কি কোহছিস বে! কহা- নাতি ঃ শুনো, হামি ডাক্তারের ঘরের দুয়ারের গোড়াতে রোহ্যা দেখছি যে, ডাক্তার ক্যামন কোর‌্যা ব্যারাম দেখছে, আর ওষুদ দিছে। অরই ম্যোধে একটা মানুষ মনে হ্যোলো হাসপাতালেরই কেহু হ্যোবে আস্যা ডাক্তারের কানে কানে ক্যোহলে যে, সার ইসটকে পাতলামল ছাড়া আর কিছুই নাই। নানা। আবে মল মানে তো গু। ডাক্তারেরঘে কাছে পাতলামল কুনঠে পালি।

ঐটা বুঝিন প্যারাসিটামল কোহ্যাছে। নাতি ঃ কেজেনি, হ্যোতে পারে। ফুস ফুস কোর‌্যা কোহছিলো তো। নানা ঃ হ্যাঁ। এ্যারপর কি হ্যোলো কহা।

নাতি ঃ ডাক্তার ওই মানুষটাকে ক্যোহলে তুমি কুনু চিন্ত্যা করিওনা। হামি চালিয়্যা লিছি। তারপর নানা এককড় থাক্যা ব্যারামের কথা শুনছে আর পাইক্যারি হারে ওইযে কি মল ক্যোহল্যা, দেদাড়সে লেখ্যা য্যাছে। নানা ঃ ক্যামন কথা বে, হাঁসপাতালের ওষুদ ফুরিয়্যা যায়। নাতি ঃ হাঁর মোনে হ্যোছে নানা ওষুদ গালা বুঝিন বাহিরে বেচ্যা দিয়্যাছে।

নানা ঃ তোর মনে কেনে এট্যা ফের হোলো? নাতি ঃ হাঁর মনে কেনে হ্যোলো তেবে শুনো। হাঁসপাতাল থাক্যা নানীকে লিয়্যা বারহিয়া আসছি তো একটা ওষুদের দোকানে ঝনজোট চলছে। আর চিল্ল্যা চিল্লি করছে। নানা ঃ কি গোনে চিল্ল্যা চিল্লি করছে বে। নাতি ঃ একঝোনা ওষুদ কিনতে যায়্যা দেখছে যে, বিন্যা পাস্যার ওষুদ দোকানে বেচ্ছে।

ঐ লিয়্যায় ঝনজোট লাগ্যা গেছে। নানা ঃ কহোতো ভালা বিন্যা পাস্যার ওষুদ যুতি হাঁরাকে কিন্যা খ্যাতে হয়, তেবে হাঁরা কাঙ্গালেরা কুনঠে যাবো ভালা। নাতি ঃ আর একটু শুনো। নানা ঃ আরো ফের কি ক্যোহবি? নাতি ঃ হাঁসপাতালের চ্যারদিক ঘুর‌্যা হাঁর মনে হ্যোলো যে, হাঁসপাতালেরই পুরা ব্যারাম হোয়্যা গেছে। নানা ঃ কেনে বে, হাঁসপাতালের ব্যারাম হ্যোবে কেনে? নাতিঃ আজি শুনো, য্যামন মাছি ভঁন ভঁন করছে, তেমনি গোন্ধানে টিক্যা যায়ন্যা।

কুকুর, বিলাই, রুগী সব গড়মিস্যাল্যা হ্যোয়্যা গেছে। মানুষের পানজোরে কুকুর ঘুরফির ঘুরফির কোরছে। এক কোনায় দেখনু মানুষের পানজোরে কুকুর শুত্যা আছে। কুকুরের পানজোরে মানুষ শুত্যা আছে বুঝাই যায়ন্যা। হাঁর মোনে হ্যোছে মানুষের চিকিসস্যার আগে হাঁসপাতালেরই চিকিসস্যা করা দরকার।

নানা ঃ এগল্যার দিকে কাহুরি লজর নাই নাকি বে? নাতি ঃ এদিকে লজর দিলে যুতি লজর লাগ্যা যায়। অরঘে লজর খালি মোথলার দিকে। আর হাঁর লজর ছিল্যো কোনা কাঁন্ধড়ির দিকে। তিন তালার সিঁড়হি ঘরের কোনায় যা দেখনু তোমাকে কহা য্যাবেনা। লিখেছেন, চাঁপাই গম্ভীরা দলের নানা মাহবুবুল আলম।

সুত্র : চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।