আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১১ বছর বয়সী শিশুটিকে ধর্মান্তরিত ও ধর্ষণকারী মানিক ও তার সহযোগীদের কঠোরতর শাস্তি দাবী করছি।

যা বিশ্বাস করি না, তা লিখতে-বলতে চাই না, পারবোও না। কিন্তু যা বিশ্বাস করি, তা মুখ চেপে ধরলেও বলবো, কলম কেড়ে নিলেও লিখবো, মারলেও বলবো, কাটলেও বলবো, রক্তাক্ত করলেও বলবো। আমার রক্ত বরং ঝরিয়েই দাও, ওদের প্রতিটি বিন্দুর চিৎকার আরও প্রবল শূনতে পাবে। ব্যাক্তিগতভাবে আমি সংখ্যালঘু বলে বাংলাদেশে কিছু মানিনা। এই দেশ আমাদের সবার।

তবুও মুসলিম যে দেশে বেশী সে দেশে অন্য ধর্মের একটি মেয়ে নিজেকে নিরাপদ মনে করতে পারবে না? প্রত্যেকে স্বাধীনভাবে নিজ ধর্ম পালন করবে এটা তার নাগরিক অধিকার। এই অধিকার তাঁকে দিয়েছে ইসলামও। যেই নরপিসাচ নিজের লালসা চরিতার্থ করতে মাত্র ১১ বছর বয়সী মেয়েটার ধর্ম পরিবর্তন এর খেলাটি খেলল তা দেখে একজন মুসলমান হিসেবে আমার লজ্জা হচ্ছে। ১১ বছরের মেয়ের সাথে যে ধরনেরই যৌনাচার হয়ে থাকুক সেটা ধর্ষণ কারন সে একটি শিশু বৈ কিছু নয়। কিন্তু ধর্ষক অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে সেই শিশুটিকেই দিনের পর দিন যে দুর্বিষহতা "উপহার" দিয়েছে তা একজন মানুষ হিসেবে আমাকে প্রচন্ড লজ্জিত করেছে।

মনে পড়ে ১৯৭১ এর কথা? আমরা দেখিনি, কিন্তু আমাদের বাবা-ভাইয়েরা কি সব রাজাকার ছিল? গল্প বলেনি তারা কিভাবে "হিন্দুটা" বাঁচিয়েছে তাদের প্রান? "খ্রিষ্টানটা" কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একই কাঁদা মেখে যুদ্ধে নেমেছিল? মুসলমান-হিন্দু রক্ত কি করে ঘাসের ডগায় মিলে গিয়েছিল আমরা ভুলে গেলাম? বেঈমানি আর কতো করবো আমরা দেশের সাথে? ওরা কেন যুদ্ধ করেছিল? নিরাপদ বাংলাদেশ আর নিরাপর জীবন এর জন্যেই তো তাই না? অনেকে দেশ ছেড়ে চলে গিয়ে হয়েছিলেন সম্বলহীন আর যারা আমাদের এই দেশ দিতে এগিয়ে এসেছে তাদেরকে একঘরে সংখ্যালঘু ঘোষণা দিয়ে যা ইচ্ছে তাই করছি বাঙালি!? একজন বাংলাদেশী হিসেবে এ যে প্রচন্ড লজ্জার! একটি কাপুরুষ এর নাম মানিক, দলবল নিয়ে একটি মেধাবী, অসহায় শিশুর উপরে চড়াও হয়ে সে তার "পৌরষ" দেখিয়ে ছেড়েছে। আমার আজ পুরুষ হবার জন্যেও লজ্জিত হতে হচ্ছে। মানিক কুত্তাটার সাথে একই জেন্ডার শেয়ার করতে হচ্ছে বলে। তুমি আজ মালাউন এর মেয়ে বলে ধর্মান্তরিত করে যা ইচ্ছে তাই করলে ৫৫ টি দিন! কিন্তু আরেকটা গল্পও ছিল কিন্তু, "একজন হিন্দু মুসলিম একটা মেয়েকে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে ধর্মান্তরিত করে ঠিক এভাবেই যদি দিনের পরে দিন ধর্ষণ করতো?" দেশে গৃহযুদ্ধ লেগে যেত না তো আবার? রামুর মতো সব হিন্দুবাড়ী-মন্দির পোড়ানো হতো না তো? আলবৎ হতো! লিখে দিতে পারি!! এই দেশ কি তাহলে ওদের নয়? ওই মেয়েটার এই সর্বনাশে তবে কেন তোমার মুসলমানিত্ব খাটের নীচে লুকিয়েছে? কেন প্রতিবাদ করতে পারছ না তুমি কাপুরুষ এর বাচ্চা কাপুরুষ! মোল্লারা এই নেকী "বান্দা" যে কিনা একটা মালাউন এর বাচ্চাকে ধর্ষণ করার আগে ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে মুসলমান বানিয়েছে, তাঁকে সাধুবাদ জানাচ্ছে! এর কোন কঠিন শাস্তি হবে না, আমাদের রাষ্ট্র দয়ালু ভীষণ। আর শাস্তি হবেই বা কেন? মুসলমানদের দেশ বাংলাদেশ! বাকি সব কীট পতঙ্গ! থুতু দেই এমন রাষ্ট্রের মুখে যে আমার রক্ষা করে ধর্মের দিকে তাকিয়ে, যে আমার সাথে হওয়া অপরাধের বিচার করে সংখ্যালঘুত্বের বিচারে! থুতু সেই সব বাংলাদেশীদের মুখে যাদের কাছে শিশুটি বাংলাদেশী নয়, মালাউন।

! অনেকে ধর্মকে রিলেট করতে চাচ্ছেন না, মুসলমানিত্বে ব্যাথা লাগে বলে। তাদের কাছে আমার প্রশ্ন, ধর্ষণ তো এমনিতেও করতে পারতো, কালেমা পড়িয়ে, মিথ্যে বিয়ের নাটক সাজিয়ে কেন করতে গেলো? কারন মুসকিল এতেই আসান। সে সওয়াব হাসিল এর উদ্দেশ্যে...... সব মাফ করা যায়! কি বলেন? বাংলাদেশী, মুসলমান, পুরুষ, মানুষ হবার এই লজ্জা হয়ত বাঁচাতে পারবে না ওই মেয়েটির জীবন। ওকে শুধু বলি, "বোন, এ দেশ তোর নয়, তুই এক সংখ্যালঘু মালাউন। তোর সব অধিকার মুসলমানিত্বের নীচে চাপা পড়েছে।

এই বাংলাদেশ মুসলমানের। " ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।