আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভাই আমি কোনো রাজনীতি করি না.আমাকে মারবেন না, আমাকে বাঁচান !!!

স্বাধীনতা, সে তো আমার প্রিয় মানুষের এক সাগর রক্তের বিনিময়ে কেনা দু’দিন আগে ব্লগে একটা গল্প পোস্ট করেছিলাম। গল্পটি সামুতে নির্বাচিতও হয়েছিল । গল্পটির মুল কাহিনী ছিল...একমাত্র ছেলে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ে । মা অপেক্ষা করে আছেন কবে তার ছেলে বাড়ি ফিরবে । অনেক আশা নিয়ে আছেন মা ।

ছেলে বাড়ি আসলে কত কিছু করবেন এরকম হাজারো প্লান রেডি ! ছেলে বাড়ি ঠিকই ফিরেছে কিন্তু লাশ হয়ে !!! সেই নিরীহ ছেলেটি বলি হয়েছে ছাত্ররাজনীতি নামক এক অপরাজনীতির অথচ সেই মেধাবী ছাত্রটি কোন ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে কোনদিন জড়িত হয়নি। গল্পটি পড়ে অনেকে অভিযোগ করেছিলেন, কেন আমি ছাত্রটিকে মেরে ফেললাম ! বাঁচিয়ে রাখলাম না কেন ? কেন সেই ছাত্রটির ও তার মায়ের হাসিমাখা মুখ দিয়ে শেষ করলাম না ? আসুন এবার দেখা যাক আজকের ঘটে যাওয়া সেই মর্মান্তিক ঘটনাটি ....... "ভাই আমি কোনো রাজনীতি করি না। আপনাদের পায়ে ধরি আমাকে মারবেন না, আমাকে বাঁচান.. আমাকে বাঁচান ! ....... কথাগুলো বিশ্বজিৎ চৌধুরী (২৪)নামে একজন টেইলর ব্যবসায়ীর যিনি রাজনীতির মারপ্যাচের কিছু বুঝেন না । তাই তো হরতাল অবরোধেও বের হয়েছেন ঘর থেকে তার নিজ দোকানের উদ্দেশ্যে। প্রতিদিন যান তিনি পায়ে হেটে কিন্তু বাংলাদেশে প্রতিদিনতো আর প্রতিদিন নয় ! এখানে চলে ক্ষমতালোভী ও ক্ষমতাসীন তথা চোর বাটপারদের দ্বৈত লড়াই।

এর মাঝে বলি হয়ে যায় বিশ্বজিতের মত কোন সাধারন পথচারী ! মুহুর্তেই ধুলিসাৎ হয়ে যায় তার সকল স্বপ্ন ! বিশ্বজিৎ কোন মিছিলে যেমন যায়নি তেমনি কোন মিছিল বাধা দিতেও যায় নি অথচ সেই নরপশুরা তার ক্রমাগত উচ্চারন করা মর্মস্পর্শী ধ্বনী যেন শুনতেই পাই নি ! ........"ভাই আমি কোনো রাজনীতি করি না। আপনাদের পায়ে ধরি আমাকে মারবেন না, আমাকে বাঁচান.. আমাকে বাঁচান !!! ....... বলেছিলাম এর আগে, কে শুনে কার কথা ? বিশ্বজিৎকে ভূলে যাব আমরাও যেমন ভূলে গেছি অতীতের বিশ্বজিৎদের। তারপরে হয়তো নতুন কোন বিশ্বজিতের অপেক্ষায়........  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।