আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইসলামী ছাত্রশিবির একটি চরমপন্থী সংগঠন

ইসলামী ছাত্রশিবির একটি চরমপন্থী সংগঠন Dec 08, 2012 ~ Leave a Comment ~ Written by Site > শাহজাহান আকন্দ শুভ : দক্ষিণ এশিয়ার সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নিয়ে কাজ করা ভারতের সাউথ এশিয়া টেরোরিজম পোর্টালের এক রিপোর্টে ইসলামী ছাত্রশিবিরকে চরমপন্থী সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সংস্থাটি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর ২৫৩টি সন্ত্রাসী গ্রুপ ও চরমপন্থী সংগঠনের যে তালিকা প্রকাশ করেছে তাতেও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নাম আছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির একটি চরমপন্থী সংগঠন। তারা বাংলাদেশে আফগানিস্তানের তালেবানপন্থী সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়। যে সরকার হবে ধর্মনিরপেক্ষতা ও গণতন্ত্রের সম্পূর্ণ বিরোধী।

সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) সঙ্গে গভীর সম্পর্ক বজায় রেখেছে। আইএসআই এই সংগঠনের মাধ্যমে ভারত ও বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। ইসলামী ছাত্রশিবির পরিচালনায় আইএসআই বিপুল ফান্ড সংগ্রহ করে দেয়। এছাড়া সৌদি আরবও বিপুল টাকা দিয়ে দলটিকে সহায়তা করে। অবশ্য ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির এক নেতা আমাদের সময়কে বলেছেন, সাউথ এশিয়া টেরোরিজম পোর্টাল ইসলামী ছাত্রশিবিরকে চরমপন্থী সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করার ঘটনা খুবই দুঃখজনক।

ছাত্রশিবির কোনও রকম সন্ত্রাসে বিশ্বাস করে না। আর আইএসআইয়ের সঙ্গেও সংগঠনটির কোনও যোগাযোগ নেই। সাউথ এশিয়া টেরোরিজম পোর্টালের রিপোর্টে বাংলাদেশের ৫টি গ্রুপ ও সংগঠনকে সন্ত্রাসী গ্রুপ এবং চরমপন্থী সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে— হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশ, জাগ্রত মুসলিম জনতা বাংলাদেশ (জেএমজেবি), জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি), পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টি ও ইসলামী ছাত্রশিবির। সংস্থাটির রিপোর্টে আরও বলা হয়, বিদেশি জঙ্গি সংগঠনগুলো ছাত্রশিবিরের সহায়তায় বাংলাদেশে তাদের অপতত্রতা চালায়।

ছাত্রশিবির তাদের গোঁড়া ধর্মবিশ্বাসী কর্মীদের বিদেশি জঙ্গি সংগঠনগুলোকে সরবরাহ করে। তারা আন্তর্জাতিক ওইসব জঙ্গি সংগঠনে প্রশিক্ষণ নেয়। তালেবান নেতা ওসামা বিন লাদেনের সরাসরি কমান্ডে ছাত্রশিবিরের কিছু সাবেক নেতা অংশ নিয়েছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। জামায়াত ছাত্রশিবিরকে চোরাগোপ্তা হামলার প্রশিক্ষণ, অস্ত্র সরবরাহ ও আশ্রয় দিয়ে থাকে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে এর শক্তিশালী ঘাঁটি।

এছাড়া দেশের মাদ্রাসা ও স্কুল-কলেজগুলোয় এই সংগঠনের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। একটি বৃহত্ ছাত্র সংগঠন হিসেবে ছাত্রশিবির এশিয়ার বিভিন্ন দেশের ছাত্র ও যুব সংগঠনের সঙ্গে কৌশলে গভীর সম্পর্ক বজায় রাখে। ওয়ার্ল্ড এসেমবলি অফ মুসলিম ইয়ুথ এবং আইআইএফএসও-এর মতো দক্ষিণ এশিয়ায় প্রভাবশালী সংগঠনের একটি বৃহত্ অংশ ছাত্রশিবিরের বর্তমান ও সাবেক কর্মী বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। দক্ষিণ এশিয়ার ২৫৩টি সন্ত্রাসী গ্রুপ ও চরমপন্থী সংগঠনের মধ্যে ভারতে আছে ১৬৩টি, পাকিস্তানে ৪৮টি, শ্রীলংকায় ৩৭টি আর বাংলাদেশে ৫টি। ভারতের ১৬৩টি সন্ত্রাসী গ্রুপ ও চরমপন্থী সংগঠনের মধ্যে আসামে ৩৬টি, জম্মু ও কাশ্মিরে ৩২টি, মনিপুরে ৩৯টি, মেঘালয়ে ৪টি, নাগাল্যান্ডে ৩টি, পাঞ্জাবে ১২টি, ত্রিপুরায় ৩০টি, মিজোরামে ২টি, অরুণাচল প্রদেশে একটি ছাড়াও আরও ৪টি চরমপন্থী সংগঠন আছে।

সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তালিকায় প্রথমেই নাম রয়েছে ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসামের (উলফা)। এরপর আছে কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন (কেএলও), বেঙ্গল টাইগার ফোর্স, গোর্খা টাইগার ফোর্স, রাবহা ন্যাশনাল সিকিউরিটি ফোর্স, মুসলিম লিবারেশন আর্মি, মুসলিম সিকিউরিটি ফোর্স, ইসলামিক সেবা সংঘ, হরকাতুল মুজাহিদীন ও হরকাতুল জিহাদ মুসলিম ভলান্টিয়ার ফোর্স। জম্মু ও কাশ্মিরভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠনের মধ্যে লস্কর-ই ওমর, হিযবুল মুজাহিদীন, হরকাতুল আনসার, লস্কর-ই-তৈয়বা, জইশ-ই-মুহম্মদ, হরকাতুল মুজাহিদীন, হরকাতুল মুজাহিদীন উল্লেখযোগ্য। সংস্থাটির রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, পাকিস্তানের ৪৮টি সন্ত্রাসী গ্রুপ ও সংগঠনের মধ্যে ৩২টি আছে ট্রান্স ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন, ১২টি ডমেস্টিক অর্গানাইজেশন, এবং ৪টি চরমপন্থী সংগঠন। শ্রীলংকায় ৩৭টি সন্ত্রাসী সংগঠন রয়েছে।

এর মধ্যে প্রথমেই নাম আছে এলটিটিইর। ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.