আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফি চাওন যেহেতু অসভ্যতাঃ ভারতে পোশাক রফতানি করে দেড় বছর ধরে পথে পথে ঘুরছেন ২২ ব্যবসায়ী

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ ভারতে তৈরী পোশাক রফতানি করে দেড় বছর ধরে পথে পথে ঘুরছেন দেশের ২২ জন গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়ী। হতাশ এসব ব্যবসায়ীর একজন এরই মধ্যেই মারা গেছেন। কারখানা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন কয়েকজন। দেনার দায়ে জর্জরিত অন্য কারখানাগুলোও বন্ধ হওয়ার উপক্রম। ৫০ লাখ ডলারের এ অর্থ পেতে তারা ভারতীয় হাইকমিশনের সাথেও একাধিকবার বৈঠক করেছেন।

কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। জানা যায়, ৫০ লাখ ডলারের তৈরী পোশাক আমদানির পর টাকা পরিশোধ না করে কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানটিকে কৌশলে দেউলিয়া ঘোষণা করেছে। লিলিপুট ক্রিসওয়াচ লিমিটেড নামক দিল্লির এ কোম্পানির দেউলিয়ার কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে অংশীদারিত্ব নিয়ে জটিলতার কথা। লিলিপুটের কবলে পড়া রফতানিকারকদের একজন মো: আসাদ ইতোমধ্যে মারা গেছেন। দেনার বোঝা টানতে টানতে বন্ধ হয়ে গেছে কয়েকটি সম্ভাবনাময় কারখানা।

ক্ষতিগ্রস্তদের একজন অনুপম ফ্যাশনের চেয়ারম্যান মামুন ইসলাম গত রাতে নয়া দিগন্তকে বলেন, ব্যাংকের সাথে আঁতাত করে কোম্পানিটি মোটা অঙ্কের এ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। নিজের কষ্টের বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ছয় কোটি টাকার মাসিক ব্যাংক সুদ দিতে হচ্ছে ১২ লাখ টাকা। এভাবে চলতে থাকলে অনেকের মতো তাকেও এক দিন কারখানা বন্ধ করে পালিয়ে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেন মামুন। প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী চার বছর আগে এ দেশে আসে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান লিলিপুট। শুরু থেকেই ভালো মূল্য প্রদান ও যথাসময়ে টাকা পরিশোধে প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশী রফতানিকারকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

কিন্তু হঠাৎ পরিস্থিতি বদলে যায়। ২২টি প্রতিষ্ঠানের ৫০ লাখ ডলারের পোশাক নিয়ে হাওয়া হয়ে যায় প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া তাদের অর্ডারে থাকা বিভিন্ন কারখানায় আটকা পড়েছে প্রায় ১৫ লাখ ডলারের তৈরী পোশাক। আটকে পড়া কোম্পানিগুলোর একটি পানশি নিট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুস শুকুর বাচ্চু জানান, তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে প্রথম চালান নিয়ে যথাসময়ে লিলিপুট টাকা পরিশোধ করে। এরপর দ্বিতীয় চালান নেয়ার পর কোনো অর্থ পরিশোধ না করেই ঢাকা থেকে তাদের অফিস গুটিয়ে নেয়।

এরই মধ্যেই কারখানায় তাদের অর্ডার অনুযায়ী তৃতীয় চালানের পোশাকও তৈরী হয়েছিল। এগুলো আর তারা নেয়নি বলে তিনি জানান। এমনই একটি পরিস্থিতিতে আজ রোববার ভারতীয় হাইকমিশনারের সাথে বৈঠকে বসছেন বিজিএমইএ নেতারা। আজকের বৈঠকে কোনো ফায়সালা না হলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা ভারতীয় হাইকমিশন ঘেরাও করার পাশাপাশি ঢাকায় চলমান ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার আয়োজিত ভারতীয় বাণিজ্য মেলা বন্ধ করে দেয়া হবে বলেও ঘোষণা দেন। জিয়াউল হক মিজান তারিখ: ২ ডিসেম্বর, ২০১২ http://www.dailynayadiganta.com/new/?p=54369 ************************* ৫০ লক্ষ ডলার মানে ৪০ কোটি টাকা।

এই ঘটনা আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সহ হাসিনার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরও এই ঘটনা জানে। তাই দিল্লীস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন ভারতীয় পররাষ্ট্র, অর্থ বা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে ধর্ণা দেয়নি। আর পক্ষান্তরে বাংলাদেশে কর্মরক কোন ভারতীয় নাগরিকের এক মাসের বেতন আটকে গেলেই ভারতীয় হাইকমিশন উঠে পড়ে লাগে এবং বাংলাদেশের যেকোন প্রতিষ্ঠানের থেকে পাওনা অর্থ আদায় করেই ছাড়ে। মসিউর রহমানের কল্যাণে ভারতীয় নৌযান হতে টোল আদায়তো দূর উল্টা আমরা ভর্তূকী মূল্যে জ্বালানি তেল দিচ্ছি। বাংলাদেশের মানুষ ও ব্যবাসায়ীরা ভারতের লাত্থি-উষ্টা খেলেও মসিউর ও হাসিনা দিল্লীর পদলেহন করেই চলবে।

 ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।