আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চলে আসলো ডিসেম্বর মাস। পটকা,পটকাবাজী,শক্ত পানীয়,পরম ফুর্তিতে উদ্দোম নাচানাচি দাপাদাপিময় ডিসেম্বর মাসে আমাদের স্পেশাল কান্ড গুলি একটু রিভিউ করি।

চিন্তাশীল আলোচনা করতে চাই। সবার সহযোগীতা একান্ত কাম্য। অ্যাজাইরা পেচালের টাইম নাই। এইমাসের শেষের রাতটি আমাদের দেশের তথাকথিত স্মার্ট এবং বেশীর ভাগেরই মতেই উশৃঙ্খল ছেলে মেয়েদের সবচাইতে আনন্দ ফুর্তির রাত। তারা মাস জুরে ঐ রাতের ফুর্তির রসদ জোগাতে থাকে।

পটকা কালেকশন খুবই কস্ঠসাদ্ধ্য বিষয়। সাধারনত যুবক ও উঠতি বয়সের ছেলেরা এই পটকা কালেকশন নিয়জিত থাকে। যেহেতু তারা অল্প বয়স বলে আয় করে না তাই কতই না দুস্টবুদ্ধিতার সাথে তাদের বাবার পকেট খালি ও মায়ের আচলে বাধা টাকা নাই করে খুব কম বাবা মা ই তা বুঝতে পারে। পটকা কালেকশন বাংলাদেশে নিষিদ্ধ কিন্তু তার পরও তারা সুকৌশলে বাংলাদেশ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠিন তৎপরতা সত্যেও তাদের চোখকে ফাকি দিয়ে ঠিকই ঐ রাতের জন্য পটকা কালেকশন ও পটকাবাজী করে। এই সব যুবক ও উঠতি বয়সের ছেলেরা ভবিষৎ এ সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু করলে আমাদের খবর খবর আছে এই ডিসেম্বর মাস তখনকার অত্যাচারী পাকিস্তান বাহিনীর বিরুদ্ধে আমাদের জয়ী হবার মাস।

তাই এই স্পেশাল দিবসের আগের রাত 12.01 মিনিটে ঐ মহান বিজয় উপভোগ করা হয় পটকাবাজীর মাধ্যমে। এই পটকাবাজী কিন্তু বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে ঐ 31 তারিখে এর রাতের পটকাবাজীর ড্রেস রিহার্সাল। তারা চিন্তা করে পটকা গুলোর আওয়াজ খুব জোরে হয় কিনা তা টেস্ট করা দরকার? এতক্ষন বললাম যুবক ও উঠতি বয়সের ছেলে দের কথা। বড় ভাইবোন দের কথা কিছু বলি। 31 তারিখে এর রাতে বড় ভাইবোনরা টিএসসি, ড্যান্সবার ও স্টার রেটেড হোটেলে পরম ফুর্তিতে উদ্দোম নাচানাচি দাপাদাপি করে।

অনেকেই তাদের এই কার্যক্রম কে বেহায়াপনা বলে। নাচানাচি দাপাদাপি শেষে তারা একান্ত গোপনীয় কিছু আপত্তিকর ইলিগ্যাল টাইম পাস করে। ঐ রাতে কতো মেয়ে যে প্রতারিত ও লান্চিত হয় তার সঠিক হিসাব নারী নির্যাতন প্রতিরোধী সংগঠন গুলির কাছে থাকেনা এইটা আমি একদম নিশ্চিত। ওহ্‌ আসল কথা বলতে ভুলে গিয়েছি। ঐ পরম ফুর্তিতে উদ্দোম বেহায়া নাচানাচি দাপাদাপি এবং একান্ত গোপনীয় কিছু ইলিগ্যাল টাইম পাস এর মাঝামাঝি টাইমে তারা প্রচুর পরিমান মদ ও বিয়ার খায়।

আমাদের দেশ সারা বছর যত মদ ও বিয়ার বিক্রয় হয় তার চাইতে বেশী বিক্রয় হয় ঐ এক রাতে। মদ ও বিয়ার ও বাংলাদেশ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দৃস্টিতে নিষিদ্ধ। কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের দেয়া লাইসেন্স নামক কিছু কাগজ পত্রের কারনে ঐ শক্ত পানীয় আর নিষিদ্ধ থাকেনা। উপরের সব কাজই আনস্মার্ট এর মতো বিদেশী কালচারের নকল করা ছাড়া কিছুই না। কালচার তৈরি হয় মূল্যবোধ হতে এর ঐ মূল্যবোধ এর উৎপত্তি বিশ্বাস হতে।

আমরা বিশ্বাস করি আমাদের নিজেস্বতা বলতে কিছুই নাই তাই আমাদের মূল্যবোধ হলো যা ই ঘটুক যেকোন ভাবেই হোক ফুর্তি করতে হবে। এই কালচার শুধুমাত্র তারই পালন করে যারা জানেনা তারা কোথা হতে আসছে, এখানে কি করবে, আর মৃত্যুর পর কোথায় যাবে। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।