আমি লিখি মানুষের কথা,মানুষ পড়ে না।
(১)
বাসে এক ভদ্রলোক অনেকক্ষণ ধরে হাঁচি চেপে রাখছিলেন।
তার যখনই হাঁচি আসছিল তখনই তিনি নাক চেপে কোনরকমে হাঁচি বন্ধ করছিলেন।
পাশের সিটে বসে থাকা ভদ্রলোক সেটা লক্ষ্য করে বললেনঃ আপনার হাঁচি আসছে তবু হাসছেন না কেন?
হাঁচিচাপা ভদ্রলোকঃআমার স্ত্রী বলে দিয়েছে,যখন তোমার হাঁচি আসবে, তখন বুঝে নেবে, আমি তোমাকে
মনে করছি বা স্মরণ করছি। তুমি আমার কাছে এসে যাবে।
পাশের সিটের ভদ্রলোকঃতাতে কি হয়েছে?
হাঁচি চাপা ভদ্রলোকঃআমার স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
(২)
শাশুড়ির সাথে হবু জামাইয়ের আলাপচারিতা।
শাশুড়িঃ বাবা, আমার দুই মেয়ের মধ্যে, এই ছোটটিই এখন বিয়ের পিঁড়িতে বসার জন্য বেঁচে আছে। বড়টিতো একবছর আগে ভগবানের প্রিয়া হয়ে গেছে।
জামাইঃ তার আত্মার শান্তি কামনা করি।
শাশুড়িঃ তোমার মায়ের আত্মার শান্তি কামনা কর বাছা। আমার বড়মেয়ে মরেনি, প্রতিবেশী ভগবান দাসের
সাথে বাড়ি থেকে পালিয়েছে।
(৩)
স্বামীঃ মেয়েরা চিরকাল পরনির্ভরশীল।
স্ত্রীঃকি রকম?
স্বামীঃ ছেলেবেলায় বাবার উপর,মেয়েবেলায় স্বামীর উপর,আর অবেলায় জামাইয়ের উপর নির্ভরশীল।
স্ত্রীঃপুরুষরাও তো পরগাছা।
স্বামীঃ কি রকম?
স্ত্রীঃছেলেবেলায় মায়ের রান্না,মরদবেলায় বউয়ের রান্না আর ভামবেলায় বৌমা নয় আয়ামার রান্না ছাড়া বাঁচে না।
(৪)
প্রশ্নঃপুরুষের চিহ্ন কি?
উত্তরঃ যার সমন্ধে সেই পাড়ার লোকজন বুঝতে পারে না, যে, লোকটা বাড়ির চাকর নাকি মালিক।
(৫)
স্বামীঃ ওগো শুনছো,এই বইটাতে লিখেছে যে,যাদের বাবা মুর্খ হয় তাদের ছেলে বিদ্বান হয় আর যাদের
বাবা বিদ্বান হয় তাদের ছেলে মুর্খ হয়।
স্ত্রীঃ যাক বাবা নিশ্চিন্ত হলাম।
স্বামীঃ কেন?
স্ত্রীঃ তোমার ছেলে বিদ্বান হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।