আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

টক ফলের রস পানে সাবধান । যারা ঔষুধ সেবন করেন তাদের জন্যই এই তথ্য ।

স্বপ্নগুলো শুধু স্বপ্ন হিসেবে রেখে দিতে চাই না , বাস্তবতার আলোয় স্বপ্নগুলো আরো রঙ্গিন করতে চাই । সকালে নাস্তার সময় আমরা অনেকেই কমলা ,মালটা বা লেবুজাতীয় কোনো টক ফলের রস বা তা দিয়ে তৈরি শরবত দিয়ে নাস্তা করে থাকি । নাস্তার উপকরণ হিসেবেও এই সকল ফলের জুস খুবই স্বাস্থসম্মত । কিন্তু যদি কাউকে নিয়মিত ঔষুধ সেবন করতে হয় তাহলে এই টক ফলের জুস পানে সাবধান । আমরা অনেকেই মনে করি ঔষুধ খাওয়ার পূর্বে বা পরে টক ফলের জুস পান করলে ঔষুধের কার্যকারিতা কমে যায় ।

কিন্তু আসলে এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল । আসলে টক ফলের রস পানে ঔষধের মাত্রা অনেকগুণ বেড়ে যায় । সম্প্রতি কানাডার ওয়েস্টার্ণ অন্টারিও বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ডেভিড বেইলি এই দাবি করেছেন । তার গবেষনায় দেখা যায় যে , লেবুজাতীয় টক ফলের রস ৮৫ ধরণের ঔষধের সাথে বিক্রিয়া করে । এর মধ্যে ৪৩ টি ঔষধের বিক্রিয়ার প্রভাব চরম পর্যায়ের , যা ঔষুধের মাত্রা অনেকগুণ বাড়িয়ে দিতে সক্ষম ।

বাজারে নতুন নতুন ঔষুধ আসার ফলে সর্বশেষ ২০১১ সালে দেখা যায় যে , লেবু জাতীয় ফলের জুসের সাথে বিক্রিয়া করে এমন ঔষধের সংখ্যা আরও ২৪ শতাংশ বেড়েছে । টক রসের মধ্যে থাকা কিছু রাসায়নিক উপাদান মানুষের শরীরের একটি নির্দিষ্ট এনজাইম ক্ষয় করে । তা ঔষধের উপাদানও ভেঙ্গে ফেলে । ফলে ঔষুধ সরাসরি শরীরের মধ্যে চলাচল করে । গবেষক বেইলি আরও বলেন ,একগ্লাস টক জুস সেবনের কয়েক ঘন্টা পরে ঔষুধ সেবন করলেও মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশংকা থাকে ।

সূত্র :- নিউ সায়েন্টিস্ট লেব ওফ কানাডা ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৩ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।