আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

৯০-এর দশকে বাংলাদেশের সৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের অগ্রদূত শহীদ ডাক্তার শামসুল আলম খান মিলনের মৃত্যুবার্ষিকী আজঃ তাঁর মৃত্যুদিবসে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি

আমি সত্য জানতে চাই ৯০-এর দশকে বাংলাদেশের সৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শহীদ ডাক্তার শামসুল আলম খান মিলনের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। জাতি গভীর শ্রদ্ধায় আজ তার ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করবে। তাঁর মৃত্যুদিবসে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি ডাঃ শামসুল আলম খান মিলন ১৯৫৭ সালের ২১ আগস্ট ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৩ সালে সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে এসএসসি এবং ১৯৭৫ সালে নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। তিনি ১৯৮০-৮১ মেয়াদকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংসদের ক্রীড়া সম্পাদক এবং ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা মেডিকেল কলেজ শাখার সভাপতি নির্বাচিত হন।

ডাঃ মিলন ১৯৮৩ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে (ব্যাচ কে-৩৪) এমবিবিএস ডিগ্রী লাভ করেন। এরশাদ সরকারের শাসনামলে তিনি গণবিরোধী স্বাস্ব্যনীতির বিরুদ্ধে সক্রিয় আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। এ সময়ে তিনি বিএমএর যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। ১৯৯০ সালে এরশাদ সরকারের গণবিরোধী স্বাস্ব্যনীতির বিরুদ্ধে ২৭ নভেম্বর বিএমএর একটি সভায় যোগদানের উদ্দেশ্যে পিজি হাসপাতালে যাবার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পাশের সড়কে রিক্সায় বসা অবস্থায় এরশাদ সরকারের ভাড়াটিয়া গুণ্ডাবাহিনীর গুলিতে শহীদ হন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসের চত্বরে (যা বর্তমানে মিলন চত্বর নামে সুপরিচিত) তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন।

বাংলাদেশ ডাক বিভাগ শহীদ ডাক্তার শামসুল আলম খান মিলনের আত্মত্যাগকে সম্মান জানাতে বিগত ১৯৯৪ সালের ২৭ নভেম্বর জনাব মাহবুব আকন্দের নকশায় ২ টাকা মূল্যের একটি ডাকটিকিট অবমুক্ত করে। শহীদ ডাক্তার শামসুল আলম খান মিলনের ২২তম মৃত্যুদিবসে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।