আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মুঘল শাসকদের অজানা তথ্য (প্রাপ্ত বয়স্ক হলে দেখুন)

ঃ কবীর শেখ ঃ www.banglatolet.com ডিজিটাল দুনিয়া * বাবর শব্দের অর্থ সিংহ। * ১৪৯৪ সালে বাবর পরগনার সিংহাসন আরোহণ করেন। * শের শাহের আসল নাম হলো ফরিদ। বাঘকে হত্যা করার ফলে বিহারি খান তাকে শের শাহ উপাদি দেন। ১৫৩১ সালে শের খান জালাল খানকে পরাজিত করে বিহারের শাসনক্ষমতা গ্রহণ করেন।

* শের খান ১৫৩৮ সালে বাংলার শাসক গিয়াস উদ্দিন মাহমুদ শাহকে পরাজিত করে বাংলা দখল করেন। * হুমায়ুন গৌড় দখল করে নামকরণ করেন 'জান্নাতাবাদ'। * ১৫৩৯ সালে বক্সারের কাছে চৌশা নামক স্থানে হুমায়ুনের বাহিনীর সঙ্গে শের খানের যুদ্ধ হয়। এ যুদ্ধে হুমায়ুন পরাজিত হন। * ১৫৪০ সালে হুমায়ুনের সঙ্গে কৌনজের যুদ্ধ সংঘটিত হয়।

এতে হুমায়ুন পরাজিত হয়ে দেশান্তর হতে বাধ্য হন। অতঃপর সমগ্র ভারতের ক্ষমতা দখল করে নিজেকে সুলতান বলে ঘোষণা করেন। এর পর শের শাহ উপাধিতে ভূষিত হন। * শের শাহ 'দাম' নামের তাম্র মুদ্রা চালু করেন । * শের শাহ সোনারগাঁ থেকে সিন্ধু প্রায় ১৫০০ ক্রোশ সড়ক নির্মাণ করেন, যা 'গ্রান্ড ট্রাঙ্ক রোড' নামে পরিচিত।

* শের শাহ 'ঘোড়ার ডাকের' প্রবর্তন করেন। এ ব্যবস্থাকে 'ডাকচৌকি' বলা হতো। ১৯. ১৫৫৫ সালের প্রথম দিকে হুমায়ুন লাহোরে প্রবেশ করেন। হুমায়ুনের আগমনকে প্রতিহত করার জন্য 'সিকান্দর শাহ' অগ্রসর হলে 'স্বরহিন্দে' যুদ্ধ হয়। এতে সিকান্দর শাহ পরাজিত হন এবং পালিয়ে যান।

এরই সুবাদে 'শুর বংশের' পতন হয়। মুঘল শাসন শুরু হয়। * সম্রাট আকবরের শাসনকাল ১৫৫৬- ১৬০৫। * ১৩ বছর বয়সে আকবর সিংহাসনে আরোহণ করেন। বৈরাম খান 'খান- ই-খানান' সম্রাট আকবরের অভিভাবকত্ব গ্রহণ করেন।

* ১৫৫৬ পানি পথের দ্বিতীয় যুদ্ধ বৈরাম খান বনাম আদিল শাহের প্রধান ও সুদ সেনাপতি হিমুর মধ্যে যুদ্ধ সংঘটিত হয়। হিমু ডান চোখে তীর বিদ্ধ হয়ে জ্ঞানহীন অবস্থায় মুঘলদের হাতে ধরা পড়েন। বৈরাম খান নিজ হাতে তাকে হত্যা করেন। * রাজপ্রাসাদের ষড়যন্ত্রে বৈরাম খানকে ১৫৬০ সালে ক্ষমতাচ্যুত করে আকবর নিজে শাসনভার গ্রহণ করেন। ১৫৬১ সালে বৈরাম খানকে হত্যা করা হয়।

* সম্রাট আকবর ১৫৮২ সালে দীন- ই-এলাহী ধর্মের প্রবর্তন করেন । * সম্রাট জাহাঙ্গীর রাজ্য পরিচালনার জন্য ১২টি আইন প্রণয়ন করেন। এ আইনগুলোকে বলা হয় 'দস্তর-উল- আলম'। * সম্রাট জাহাঙ্গীরের আমলে প্রথম ১৬০৬ সালে 'নওরোজ উৎসব' পালন করা শুরু হয়। * ১৬১১ সালে সম্রাট জাহাঙ্গীর মেহেরুন্নেছাকে বিয়ে করেন।

তিনি সম্রাজ্ঞীকে প্রথমে 'নুরমহল' প্রাসাদের আলো পরে 'নুরজাহান' অর্থাৎ পৃথিবীর আলো উপাধিতে ভূষিত করেন। * সম্রাট জাহাঙ্গীরের শাসনামলে ফররুক ছিলেন শ্রেষ্ঠ চিত্রকর। * সম্রাট শাহজাহানের শাসনামল হলো ১৬২৮-১৬৬০। * সম্রাট শাহজাহান পঞ্জিকা বা কাল গণনার পদ্ধতির পরিবর্তন করেন। সৌর মাসের পরিবর্তে তিনি চন্দ্র মাসের গণনার রীতি প্রবর্তন করেন।

* সম্রাট আকবর এবং জাহাঙ্গীরের আমলে সম্রাটকে সিজদা করার প্রথা ছিল। সম্রাট শাহজাহান এ প্রথা ইসলামবিরোধী বলে তা বিলোপ করেন। * ১৬৮৫ সালের জুন মাসে আওরঙ্গজেব আগ্রা দখল করে পিতা শাহজাহান ও বোন জাহানারাকে বন্দী করেন। শাহজাহানকে আগ্রার দুর্গে সাধারণ কয়েদিদের মতো কারারুদ্ধ করে সিংহাসন দখল করেন। * সম্রাট শাহজাহান আগ্রার দুর্গে আট বছর বন্দী থাকার পর ৭৪ বছর বয়সে ১৬৬৬ সালের ২২ জানুয়ারি মারা যান।

* সম্রাট শাহজাহানের আমলে স্থাপত্য শিল্পের বিকাশ সাধিত হয়। তার অমর কীর্তি হলো : তাজমহল, মোতি মসজিদ, দেওয়ান-ই-আজম, জা-ই মসজিদ, আগ্রার দুর্গের অভ্যন্তরে খাস মহল ও শিশু মহল। * সম্রাট আওরঙ্গজেব নতুন তারিখ ঘোষণা করেন। রমজান মাসের প্রথম তারিখ থেকে বছরের শুরু ঘোষণা করেন। * ১৬৬৯ সালে আওরঙ্গজেব আবার জিজিয়াকর অমুসলিমদের ওপর ধার্য করেন।

* সম্রাট আওরঙ্গজেব নিজ হাতে পবিত্র কোরআন অনুলিপি ও সেলাই করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। * ১৭০৭ সালে ৯০ বছর বয়সে আহম্মদ নগরে মারা যান। তাকে দৌলতাবাদে বিখ্যাত সুফি সাধক শেখ বুরহানউদ্দিনের সমাধির পাশে সমাহিত করা হয়। আরও দেখুন * রকমারি ডেস্ক সুউরসঃ বিডি-প্রতিদিন।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১২২ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।