আমাদের বাড়ীর পাশে কলপাড় নামে একটা জায়গা আছে। সেই ব্রিটিশ পিরিয়ড থেকে আজ অবধি এলাকা কেন্দ্রিক বিচারগুলো এই কলপাড়েই হয়ে আসছে।
একদিন বিকালে কলপাড়ের পাশ দিয়ে আসার সময় অনেক মানুষের জটলা থেকে থেমে যাই।
বুঝলাম, বিচার-শালিশ হচ্ছে।
একজন মধ্যবয়স্ক লোক আর একজন সমবয়সী লোক কে বলছেঃ সাহস থাকেতো আমার সামনে বল, অগোচরে তো প্রধান মন্ত্রীরেও গালি দেয়ন যায়।
দ্বিতীয় ব্যক্তিঃ তোর সামনেই বললাম, তুই একটা কুত্তার ছাও।
প্রথম ব্যক্তিঃ কি কইলি, আবার বল তো?
দ্বিতীয় ব্যক্তিঃ কুত্তার ছাও!!
চারপাশের লোক জন এই তামাশা দেখে মুখ টিপে হাসছে। কেও তাদের থামিয়ে দেবার বিন্দু মাত্র চেষ্টা করছে না। আমিও তাদেরই একজন।
প্রথম ব্যক্তিঃ তোর এতবড় ক্ষেমতা! তোরে আমি......
এই বলে দ্বিতীয় ব্যক্তির পাশে যেয়ে নিরাপদ দূরত্ব বজিয়ে রেখে আঙ্গুল উঁচিয়ে উঁচিয়ে গালি দেয়া শুরু করলো।
দ্বিতীয় ব্যক্তি, কিছুক্ষন চুপ করে থেকে, প্রথম ব্যক্তির বাম গালে কোষে চড় বসিয়ে দিল।
উপস্থিত সবাই হতবাগ হয়ে গেল, কিন্তু কেও এগিয়ে আসলো না তাদের থামিয়ে দেবার জন্য।
প্রথম ব্যক্তি, চড় খেয়ে রাগে কাঁপতে কাঁপতে বল্লঃ তোর এতবড় সাহস তুই আমার গায়ে হাত দেস! সাহস থাকে তো আর একবার হাত দে, তোর গুষ্ঠি শুদ্ধা আগুন ধরাইয়া দিমু।
দ্বিতীয় ব্যক্তি, ঝাঁপিয়ে পড়ল প্রথম ব্যক্তির উপরে।
প্রথম ব্যক্তি কোন রকমে ছুটে যেয়ে নিরাপদ দূরত্বে যেয়ে কাঁদতে কাঁদতে বল্লঃ সব দোষ আপনেগো, আপনারা সকলে দাঁড়াইয়া দাঁড়াইয়া আমারে মাইর খাওয়াইলেন।
কেও তেমন এগিয়ে আসলো না, কারণ এই দুই জনের গ্যাঞ্জাম বারবাস লেগে থাকে। পাড়া-প্রতিবেশি সবাই এদের উপরে ত্যক্ত বিরক্ত।
২০০৮ সালে মুম্বাই জঙ্গি হামলায় অংশগ্রহণকারী পাকিস্থান ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তায়েবার সদস্য কাসাব যখন জীবিত ধরা পড়লো, তখন লস্কর-ই-তায়েবার পক্ষ থেকে বলা হলঃ কাসাব কে যদি ছেঁড়ে না দেওয়া হয়, তাহলে এর চেয়ে ভয়াবহ হামলা চালানো হবে। তখন ভারত দিশেহারা হয়ে যাবে।
ভারত, কাসাব কে ছাড়ল না।
তারপর বলা হলঃ কাসাবকে যদি ফাঁসি দেয়া হয়, ইন্ডিয়াকে পুরাপুরি অকেজো রাষ্ট্রে পরিনত করা হবে।
ভারত কাসাব কে ফাঁসি দিল।
তারপর বলা হলঃ কাসাবের লাশ যদি, পাকিস্থানে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা না হয়, তাহলে আমরাও ভারতীয়দের ধরে তাদের লাশ ভারতে পাঠাবো না।
পুনশ্চঃ পবিত্র ধর্ম ইসলামের বুকে কালিমা একে দেবার চেষ্টায় ব্রত, এই ধরনের সংগঠন কে ধিক্কার জানাই। আল্লাহ এদের হেদায়েত দান করুন।
আমীন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।