আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

¤ আশুরার রোযা রাখার নিয়মঃ

¤ আশুরার রোযা রাখার নিয়মঃ কোন কোন আহলে আলেম বা বিদ্বান আশুরার রোযা রাখার ৩টি পদ্ধতি উল্লেখ করেছেনঃ ১মঃ ৯ ও ১০ তারিখ অথবা ১০ এবং ১১-এ মুহাররাম রোযা রাখা। ২য়- ১০-এ মুহাররাম ১টি রোযা রাখবে। শুধু এ'তারিখে রোযা রাখা জায়েয, মাকরুহ নয়। ৩য়- ৯,১০ ও ১১-এ মুহাররাম রোযা রাখবে। তৃতীয় পদ্ধতিটি-ই উত্তম এবং পরিপূর্ন।

¤ রোযার ফযিলতঃ আবু কাতাদা (রাযিঃ) থেকে বর্নিত , তিনি বলেন যে, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, এতে বিগত ১ বছরের গুনাহ কাফফারাহ হয়ে যায়। (মুসলিম) আবু হুরাইরা (রাযিঃ) থেকে বর্নিত , তিনি বলেন, রাসূল (সাঃ) বলেন, রমজানের রোযার পরে উত্তম রোযা হলো আল্লাহর মাস মুহাররাম মাসের রোযা। (মুসলিম) ¤ এই দিনে রোযা রাখার উদ্দেশ্যঃ আল্লাহর শুকরিয়া স্বরুপ এই দিনে রোজা রাখা হয়, কারন আল্লাহপাক এই দিনে তার নাবী মূসা (আঃ) এবং তার কাওমকে ফির-আউন ও তার দলবল থেকে রক্ষা করেছেন। সাবধান !!! সাবধান !!! সাবধান !!! সাবধান !!! সাবধান !!! সাবধান !!! ১১ মাস সুন্নী ( সুন্নাহর অনুসারী) থেকে ১ মাসের জন্য রাফেযী-শীয়া ( যারা দ্বীন কে ছুড়ে ফেলেছে) হয়ে যেয়েন নাহ ! ¤ আশূরায়ে মুহাররম আমাদের দেশে শোকের মাস হিসেবে আগমন করে। শীয়া-সুন্নী সকলে মিলে অগনিত শিরক ও বিদাতে লিপ্ত হয়।

কোটি কোটি টাকার অপচয় হয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নামে। সরকারী ছুটি ঘোষিত হয় ও সরকারীভাবে বিভিন্ন অনুষ্ঠাদি পালিত হয়। হোসায়েন (রাযিঃ) এর ভূয়া কবর তৈরী করে রাস্তায় রাস্তায় তাজিয়া বা শোক মিছিল বের করা হয়। ঐ ভূয়া কবরে হোসায়েনের রুহ হাযির হয় ধারনা করে সালাম ও সেজদা করা হয় এবং মানুষের মনকামনা পেশ করা হয়। মিথ্যা শোক প্রকাশের নামে বুক চাপড়ানো হয়, জামা ছিড়ে ফেলা হয়, শরীর রক্তাত করা হয়।

হায় হোসেন হায় হোসেন বলে মাতম করা হয়, কালো ব্যাজ ধারন করে কালো পোষাক পরিধান করে শোক প্রকাশ করা হয়। এইগুলোর কোনটি-ই সাহাবায়ে কিরামদের যুগে দেখা যায়নি, শিয়ারা এইসব কর্মকান্ডের জন্ম দিয়েছে, আর সহজ-সরল মুসলিমরা তাদের ফাঁদে পা দিয়ে এই সব কাজে লিপ্ত হয়েছে। আর এই সব তাজিয়ার নামে ভূয়া কবর তৈরী করে তার সম্মান করা যিয়ারত করাও ইসলামে নিষিদ্ধ। যেমন আল্লাহর রাসূল (সাঃ)বলেন, " যে ব্যক্তি লাশ ছাড়াই ভূয়া কবর যিয়ারত করল, সে যেন মুর্তিকে পূজা করল" (বায়হাক্বী, তাবরানী) এরুপভাবে, শাহীদ মিনার, স্মৃতি সৌধ, শিখা অনির্বান ইত্যদি তৈরী করে তার সম্মান জানানো ও মুর্তি পূজার শামিল। তাই আসুন এইরকম শারীয়ত বিরোধী কাজ থেকে আমরা নিজেরা বিরত থাকি এবং অপর কে বিরত থাকতে আহ্ববান জানাই।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।