আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

** আল্লাহর লীলা খেলা বুঝা বড়দায়ী * পুরুষ থেকে নারীতে রূপান্তরিত হলেন লাল চাঁন মিয়া **

প্রকৃতির কী বিচিত্র খেয়াল তা নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের বনতেঁতুলিয়া মণ্ডলপাড়া গ্রামের ১৮ বছর বয়সের এক তরতাজা তরুণ লালচান মিয়ার শারীরিক সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পরিবর্তিত হয়ে গেছে এবং সে সম্পূর্ণ তরুণীতে পরিবর্তিত হয়েছে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ মানুষ একনজর দেখার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ছে তার বাড়িতে। লালচানের বাড়িতে গেলে সে জানায়, গত বুধবার রাতে প্রতিদিনের মতো খাওয়া-দাওয়া করে ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত ১০টা থেকে তার শরীরে শিহরন শুরু হয় এবং একটি ব্যথা অনুভব করে।

প্রায় দুই ঘণ্টা পর সে বুকে হাত দিয়ে দেখে তার স্তন দুটি অস্বাভাবিকভাবে বড় হয়ে নারীদের স্তনের মতো হয়ে গেছে। পরে সে তার গোপনাঙ্গে হাত দিয়ে দেখে তার গোপনাঙ্গটি শরীরের ভেতর দেবে গিয়ে নারীর গোপনাঙ্গের মতো রূপ নিয়েছে। সকালে সে তার ভাবীকে ঘরে ডাকে এবং তার শারীরিক সব অঙ্গ দেখায়। ভাবি খালেদা আক্তার এ ঘটনা দেখে ও হাত দিয়ে নাড়াচাড়া করে বিষয়টি নিশ্চিত হয় এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের বিষয়টি জানায়। এ ঘটনায় প্রথমে পরিবার ও পরে গ্রামবাসী জানে এবং বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।

এ ধরনের আশ্চর্য ঘটনা দেখার জন্য হাজার হাজার মানুষ লালচানের বাড়িতে ভিড় করে। তার বাবা আক্কাস আলী মণ্ডল ও মা জাহানারা বেগম জানান, তার ছেলে লালচান একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। বেশ কিছুদিন ধরে তার দাড়িগোঁফ ওঠা বন্ধ হয়ে যায় এবং চেহারার মধ্যে একটি মেয়েলি স্বভাব লক্ষ করা যায়। ঘটনার দিন সে নিয়মিত কাজকর্ম করেছে। কিন্তু রাতে এ ধরনের আকস্মিক ঘটনা ঘটায় তারা বিস্মিত হয়ে পড়েছে।

আক্কাস আলীর তিন ছেলে ও দুই মেয়ে আছে। তারা জানান, এখন দুই ছেলে তিন মেয়ে হলো। শারীরিক অঙ্গ এরকমভাবে দ্রুততার সঙ্গে পরিবর্তনের ঘটনা এলাকায় এটিই প্রথম। তবে এ বিষয়ে এলাকা ও উপজেলা পর্যায়ে কয়েকজন ডাক্তারসহ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের ডা. ইলিয়াছ আলী, ডা. নির্মলেন্দু চৌধুরী ও ডা. মিন্টু জানান, বিষয়টি হরমনজনিত। হরমনের কারণে অনেক সময় এরকম দৈহিক পরিবর্তন হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।

 ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।