আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অ আ আজকের লেখালেখি - ১৬১ (টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে ভাবনা)

কাঁদছো !! কান্নাতে তোমাকে দারুণ দেখায় ! ক্রিকেটের শিকড় খুঁজে পাওয়া যায় টেস্ট ক্রিকেটের ভিতর দিয়ে। একটা দলকে সমীহ করে টেস্ট ক্রিকেটের দক্ষতা দিয়ে। বড় দল ছোট দলের ব্যবধান কমানো সবচেয়ে বড় সুযোগ টেস্ট ক্রিকেট ম্যাচগুলোতে ভালো ফলাফল করে। আমাদের ক্রিকেটবোদ্ধারা কি আমাদের ক্রিকেট খেলোয়াড়দের এই সহজ হিসাবটা বোঝাতে পারেন না? আমাদের স্কুলে ছোট্ট একটা উদাহরন মনে পড়ে গেল। আমরা যখন নবম ক্লাসে উঠি তখন আমাদের ক থেকে ঙ পর্যন্ত পাঁচটা সেকশন।

তখন আমাদের ছাত্র সংখ্যা ছিল সব সেকশন মিলিয়ে দুইশত জন। এই দুইশত জনকে নিয়ে শুরু হয়েছিল ম্যাট্রিক পরীক্ষার জন্যে প্রস্তুতি। পুরা একবছর ধরে নবম শ্রেনীতে চলত পরীক্ষামূলক যাচাই বাছাই, কে বিজ্ঞান, কে বানিজ্য এবং কে মানবিক বিভাগে পড়বে। বিজ্ঞান বিভাগে পড়ার ক্ষেত্রে বিজ্ঞান ৬০ ও গণিতে ৬০ উর্ধ্বে শর্ত দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এইভাবে যাচাই বাছাই চলছিল।

দুই বছর ধরে প্রস্তুতি চলত ম্যাট্রিক পরীক্ষার। ২০০ শত জন ছাত্র থেকে দেড়শত জনে নেমে আসত প্রি-টেস্ট এবং ফাইনাল টেস্ট দেওয়ার পর এবং এরা পরবর্তীতে ম্যাট্রিক পরীক্ষা দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করত। সারাজীবনে ভালো রেজাল্ট এই মাধ্যমিক পরীক্ষার মাধ্যমে দেখা হত। একটা ছাত্র খুব ভালো করছে কি কম ভালো করছে সেটা বেশী মূল্যায়ন করা হয় এই পাবলিক পরীক্ষার মাধ্যমে। সবাই কিন্তু দুই বছর নিজেকে গড়ে তোলার সুযোগ পেত।

আমাদের ক্রিকেট খেলাতে এই রকম কোন ব্যবস্থা আদৌ করতে পারে নি। যেটি বর্হিবিশ্বে সব জায়গাতে হয়ে আসছে। আন্তঃস্কুল প্রতিযোগিতা হচ্ছে সেখান থেকে অনুর্ধ ১২, ১৪ সবধরনের প্রতিযোগিতার জন্য খেলোয়াড় বেরিয়ে আসছে। আমাদের দেশে নির্মাণ স্কুল প্রতিযোগিতা হত সেটি এখন হচ্ছে না। আন্তঃকলেজ প্রতিযোগিতা থেকে অনুর্ধ ১৯ প্রতিযোগিতার জন্যে খেলোয়াড় বানানো।

আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে খেলাধূলা বিসিবি আয়োজন করতে চাচ্ছে না। ব্যাক্তিগত উদ্যোগে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিযোগিতা হচ্ছে। তাতে যোগ দিচ্ছে ভাড়া করে আনা বিভিন্ন ক্লাবের খেলোয়াড়রা সাময়িক ছাত্রত্ব শর্তে তারা খেলার সুযোগ পাচ্ছে। এ থেকে যারা খেলোয়াড় হওয়ার সুযোগ পেত তাদের সম্ভাবনা হারিয়ে যাচ্ছে বিসিবি লীগগুলোতে সীমিত হয়ে গেছে। বিকেএসপিতে নিজেদের ভিতর প্রতিযোগিতা হচ্ছে সেখানে যারা ভালো খেলছে তাদেরকে আমাদের টাকাওয়ালা ক্লাব কর্মকর্তারা টাকার লোভ ঢুকিয়ে দিচ্ছে।

ফলে অনেকে টাকার জন্যে খেলতে গিয়ে নিজের প্রতিভা নষ্ট করে ফেলছে। প্রতিটা প্রতিযোগিতায় জোর দেওয়া হচ্ছে ৫০ ওভারের সীমিত ওভারে সেই জন্যে আমাদের খেলোয়াড়ের ভিতর দীর্ঘ সময় ধরে খেলা ধৈর্য হারিয়ে যাচ্ছে। দুইটা ম্যাচ খারাপ খেলার কারনে অনেক খেলোয়াড়কে বাদ দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ফলে সেই খেলোয়াড় নিজেকে যাচাই করার সুযোগ পাচ্ছে না। প্রতিটি খেলেয়াড় বাদ পড়ার ভয় নিয়ে ক্রিকেট খেলছে তাই স্বাভাবিক নৈপূন্য দেখাতে পারছেনা।

আবার, যারা বেশী ভালো খেলে ফেলছে তারা দলে পাকা আসন পেয়ে গেছে ভেবে রান করতে ভুলে যাচ্ছে। এজন্যে প্রতিবার কাগজ কলমে ভালো দল হচ্ছে। কিন্ত ফলাফল আশানুরূপ হচ্ছে কি ? ২১ ই নভেম্বর,২০১২ -------------------------------------------------------------------------------- লেখালেখি ৩৬৫ প্রজেক্ট ১৬১/৩৬৫ (বিলম্বে আপলোডের জন্যে দুঃখিত) ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।