আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফিলিস্তিনিদের জন্য বোমা,আর মালালার জন্য ফুল,আমরা মানুষ!একটি দ্বিপদী জন্তু!

কলম চালাই ,এইগুলো লেখার পর্যায়ে পরে কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে :) ব্লগের বয়স বছরের উপরে দেখালেও নিয়মিত লিখছি ১৭ আগস্ট ২০১২ থেকে :) শুরুতেই বলে নেই , মালালার ব্যাপারে আমার কোন বিদ্বেষ নেই । তার ব্যাপারে নতুন কিছু বলারও নেই । সে যা করেছে তার জন্য সে প্রসংশার দাবীদার । এমনকি নোবেলের জন্যও মনোনয়ন করার ব্যাপারে প্রস্তাব উঠেছে ! পাচ্ছে সর্বচ্চো চিকিৎসা সুবিধা । অর্থাৎ , সে তার প্রাপ্য সকল সুযোগ সুবিধা ঠিকই পাচ্ছে ।

মিডিয়া , ব্লগ , ফেসবুক , ইন্টারনেটে মালালা ইস্যুতে যে ঝড় উঠেছিল তার এক দশমাংশও যদি ফিলিস্তিনি ভাগ্যবিড়ম্বিত হাজার মালালাদের নিয়ে উঠত , তাহলে আর আক্ষেপ থাকত না । মালালা , যে কিনা লাখ টাকা দামের অ্যাপল ল্যাপটপ ব্যবহার করে ব্লগে নারী জাগরণে অভূতপূর্ব ভুমিকা পালন করেছে ! যার হাতে শখের বসে শোভা পায় হ্যান্ডিক্যাম ! তার আর যা কিছুরই অভাব থাক , খাবার – বাসস্থান – শিক্ষা এসব মৌলিক চাহিদার কোনটারই যে তার অভাব ছিল না , তা ভালো করেই বোঝা যায় । তালেবান সন্ত্রাসীদের হামলার আগ পর্যন্ত সে যথেষ্ট নিরাপত্তা , সুযোগ সুবিধা আর স্বচ্ছন্দের মধ্যেই ছিল । মালালার জন্য তথাকথি মডারেট মুসলিম ও সুশীল সমাজের যে মায়াকান্না উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ( সোজা কথায় বললে লুলায়িত ) তা ওপেন সিক্রেট । এবার আসুন কিছু ফিলিস্তিনি শিশুদের ছবি দেখি , ঠিক কতোটুকু সাহস আর শিক্ষার স্বদিচ্ছা থাকলে , এতটুকুন বয়সে একটা যুদ্ধবিদ্ধস্ত এলাকার মধ্যে থেকে , তার মধ্যে দিয়ে , গুলির শব্দ , পোড়া বারুদের গন্ধ , রাস্তায় তাজা রক্তের দাগ আর শেলের স্প্রিন্টারের মধ্যে ফিলিস্তিনি মালালারা স্কুলে যেতে পারে ? আপনি পারবেন ? পারবেন আপনার শিশুটিকে এই অবস্থায় স্কুলে যেতে দিতে ? ওরা কিন্তু যাচ্ছে ! মালালার চেয়ে কোন অংশে কম ওরা ? কেউ কেউ কিন্তু ঠিকই আর জীবিত ফিরছে না মায়ের কোলে ।

মা কিন্তু চোখ মুছে পরদিনই তার অন্য শিশুটিকে ঠিকই স্কুলে পাঠাচ্ছে । ওদেরকে আমরা কি নোবেল দিবো ? ওরা নোবেল দিয়ে কি করবে ? ঠিক কতোটুকু সাহস আর কষ্ট থাকলে এতটুকুন বয়সে একটা ছেলে নিজের মাতৃভূমির জন্য , মাকে বাঁচানোর জন্য , বাবার হত্যার প্রতিশোধের জন্য , ভাইটির খেলার মাঠে খেলার নিরাপত্তার জন্য , ছোটবোনটির স্কুলে যাবার পথ শেলমুক্ত করার জন্য হাতে পাথর নিয়ে শত্রুর দানবীয় ট্যাঙ্কের সামনে দাড়াতে পারে ? আপনি পারবেন ? আমি পারব না । ওকে কি নোবেল দিবেন ? ও নোবেল দিয়ে কি করবে ? এরা কেউই কিন্তু শখের বসে লাখ টাকা দামের ল্যাপটপ চায় না । ব্লগিং করা তো দূরে থাক , ইন্টারনেটের সুযোগ দরকার নেই এদের । এদের দরকার দু বেলা নিরাপদে খাবার , একবেলা গুলির শব্দ না শুনে শান্তিতে ঘুম , মৃত্যুর ভয় না নিয়ে স্কুলে যাওয়া , মাঠে খেলতে গিয়ে বোমারু বিমানের বোমা বর্ষণের ভয়ে না থাকা ।

এবার আসুন কিছু ইতিহাস দেখিঃ ফিলিস্তিন বা প্যালেস্টাইন ( আরবি ভাষায়: فلسطين, ফিলাস্‌ত্বীন্‌),সরকারিভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ( আরবি ভাষায়: دولة فلسطين, দাউলাৎ ফিলাস্‌ত্বীন্‌)১৫ নভেম্বর ১৯৮৮ সালে আলজিয়ার্স শহরে নির্বাসনে ঘোষিত একটি রাষ্ট্র, যেখানে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অরগানাইজেশন (পিএলও) ও প্যালেস্টাইন জাতীয় পরিষদ (পিএনসি) একপাক্ষিক ভাবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিল । ১৯৮৮ ঘোষণার সময়ে কোনো অঞ্চলেই পিএলওর নিয়ন্ত্রণ ছিল না, যদিও তারা যে অঞ্চলগুলি দাবি করেছিল আন্তর্জাতিকভাবে সেইগুলি ইজরায়েলের দখলে ছিল। আরবরা দাবি করেছি, ১৯৪৭ সালে জাতি সংঘ দ্বারা প্রস্তাবিত ফিলিস্তিন বিভাগ যেভাবে প্রস্তাবিত হয়েছিল, যেখানে ফিলিস্তিন ভূখন্ড (গাজা ভূখন্ড ও ওয়েস্ট ব্যাংক) ছাড়াও ইসরায়েল শাসনাধিন অঞ্চলও ছিল এবং জেরুজালেমকে ঘোষিত রাষ্টের রাজধানী আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। ১৯৭৪ আরব লীগ শীর্ষ বৈঠকে স্থির হয়েছিল, পিএলও ফিলিস্তিনের জনগণের একমাত্র বৈধ প্রতিনিধি এবং ও তাদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে একটি স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠিত আহবান জানিয়েছিল । " ২২ নভেম্বর ১৯৭৪, থেকে একটি হিসেবে জাতি >পিএলও কে " রাষ্ট্রহীন-সত্তা " রুপে পর্্যৈবেক্ষক অবস্থা রাখা হয়েছিল।

যারা কেবলমাত্র জাতি সংঘে তাদের বক্তব্য রাখতে পারতেন, কিন্তু ভোট দেবার কোনো ক্ষমতা ছিল না। ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ভাইরাসের মত ইসরাইলের ক্ষত বিস্তারঃ ফিলিস্তিন সমস্যার প্রেক্ষাপট ভূমধ্যসাগরের পূর্বে ১০,৪২৯ বর্গমাইলব্যাপী ফিলিস্তিন দেশটি ছিল অটোমান খেলাফতের অধীন, প্রথম বিশ্বযুদ্ধে যারা ছিল বৃটেন বিরোধী জোটে৷ তখন যুদ্ধ জয়ে ফিলিস্তিনদের সহযোগিতা পাওয়ার আশায় ১৯১৭ সালে বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লর্ড বেলফোর যুদ্ধে জয়ী হলে এই ভূমিতে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হবে বলে আশ্বাস দেন৷ যা ইতিহাসে বেলফোর ঘোষণা হিসেবে পরিচিত৷ যেহেতু আরবরা ছিল ইহুদিদের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি, সেহেতু ঘোষণাটি তাদের অনুকূল বলেই তারা ধরে নেয়৷ কিন্তু এর মাঝে যে মহা ধোকাটি লুকিয়ে ছিল তা তারা বুঝতে পারেনি৷ বৃটিশ শাসনের শুরু থেকে৷ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় বৃটেনের প্রয়োজনে দুর্লভ বোমা তৈরির উপকরণ কৃত্রিম ফসফরাস তৈরি করতে সক্ষম হন ইহুদি বিজ্ঞানী ড. হেইস বাইজম্যান৷ ফলে আনন্দিত বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী জানতে চাইলেন কি ধরনের পুরস্কার তিনি চান৷ উত্তর ছিল অর্থ নয় আমার স্বজাতির জন্য এক টুকরো ভূমি আর তা হবে ফিলিস্তিন৷ ফলে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডটি ইহুদিদের হাতে তুলে দেয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নেয় বৃটেন৷ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ জয়ের পর বৃটেন স্বাধীনতা দেয়ার অঙ্গীকারে ১৯১৮ সাল থেকে ৩০ বছর দেশটিকে নিজেদের অধীন রাখে৷ মূলত এই সময়টিই ফিলিস্তিনকে আরব শূন্য করার জন্য ভালোভাবে কাজে লাগায় ইহুদি বলয় দ্বারা প্রভাবিত ইঙ্গ-মার্কিন শক্তি৷ আরবদের উচ্ছেদকরণ ও ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা বৃটিশরা একদিকে ইহুদিদের জন্য খুলে দেয় ফিলিস্তিনের দরজা, অন্যদিকে বৃটিশ বাহিনীর সহযোগিতায় ইহুদিরা ফিলিস্তিনদের বিতাড়িত করে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করার জন্য গড়ে তোলে অনেক প্রশিক্ষিত গোপন সন্ত্রাসী সংগঠন৷ তার মধ্যে তিনটি প্রধান সংগঠন ছিল হাগানাহ, ইরগুন ও স্ট্যার্ন গ্যাং যারা হত্যা, সন্ত্রাস, ধর্ষণ আর ধ্বংসযজ্ঞ সৃষ্টির মাধ্যমে নিরীহ ফিলিস্তিনদের বাধ্য করে নিজ মাতৃভূমি ছেড়ে চলে যেতে৷ সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর গণহত্যার কথা যখন আন্তর্জাতিকভাবে প্রচারিত হচ্ছিল তখন পরিস্থিতকে নিজেদের অনুকূলে আনার জন্য গুপ্ত সংগঠন হাগানাহ বেছে নেয় আত্মহনন পন্থা৷ ১৯৪০ সালে এসএস প্যাটৃয়া নামক একটি জাহাজকে হাইফা বন্দরে তারা উড়িয়ে দিয়ে ২৭৬ জন ইহুদিকে হত্যা করে৷ ১৯৪২ সালে আরেকটি জাহাজকে উড়িয়ে ৭৬৯ জন ইহুদিকে হত্যা করে৷ উভয় জাহাজে করে ইহুদিরা ফিলিস্তিনে আসছিল আর বৃটিশরা সামরিক কৌশলগত কারণে জাহাজ দুটিকে ফিলিস্তিনের বন্দরে ভিড়তে দিচ্ছিল না৷ হাগানাহ এভাবে ইহুদিদের হত্যা করে বিশ্ব জনমতকে নিজেদের পক্ষে আনার চেষ্টা করলো৷ পাশাপাশি ইহুদিদের বসতি স্থাপন ও আরবদের উচ্ছেদকরণ চলতে থাকে খুব দ্রুত৷ এর ফলে ২০ লাখ বসতির মধ্যে বহিরাগত ইহুদির সংখ্যা দাড়ালো ৫ লাখ ৪০ হাজার৷ এ সময়ই ১৯৪৭ সালের ২৯ নভেম্বর ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইঙ্গ-মার্কিন চাপে জাতিসংঘে ভোট গ্রহণ হয় তাতে ৩৩টি রাষ্ট্র পক্ষে, ১৩টি বিরুদ্ধে এবং ১০টি ভোট দানে বিরত থাকে৷ প্রস্তাব অনুযায়ী মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ হয়েও ইহুদিরা পেল ভূমির ৫৭% আর ফিলিস্তিনরা পেল ৪৩% তবে প্রস্তাবিত ইহুদি রাষ্ট্রটির উত্তর-পশ্চিম সীমানা ছিল অনির্ধারিত ফলে ভবিষ্যতে ইহুদিরা সীমানা বাড়াতে পারে৷ ফলে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠা চূড়ান্ত হলেও উপেক্ষিত থেকে যায় ফিলিস্তিন। জাতিসংঘের মাধ্যমে পাস হয়ে যায় একটি অবৈধ ও অযৌক্তিক প্রস্তাব৷ প্রহসনের নাটকে জিতে গিয়ে ইহুদিরা হয়ে ওঠে আরো হিংস্র৷ তারা হত্যা সন্ত্রাসের পাশাপাশি ফিলিস্তিনদের উচ্ছেদ করার উদ্দেশে রাতে তাদের ফোন লাইন, বিদ্যুত্ লাইন কাটা, বাড়িঘরে হ্যান্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ, জোর করে জমি দখল এবং বিভিন্নভাবে নারী নির্যাতন করে মৃত্যু বিভীষিকা সৃষ্টি করতে লাগলো৷ ফলে লাখ লাখ আরব বাধ্য হলো দেশ ত্যাগ করতে৷ এরপরই ১৯৪৮ সালের ১২ মে রাত ১২টা এক মিনিটে ইসরায়েল রাষ্ট্র ঘোষণা করলো ইহুদিরা৷ ১০ মিনিটের ভেতর যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতি দিল, অতঃপর সোভিয়েত ইউনিয়ন-বৃটেন । ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া দেশের নামঃ ইসরায়েল-প্যালেস্টাইন সংঘাতঃ ইসরায়েল-প্যালেস্টাইন সংঘাত অনেক দিন ধরে প্যালেস্টাইন ও ইসরায়েল এর মধ্যে চলে আসা সংঘাতকে নির্দেশ করে। একে বৃহত্তর অর্থে আরব-ইসরায়েল সংঘাতের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ হিসেবেও আখ্যায়িত করা যায়।

দুইটি আলাদা জাতি করার জন্য অনেক পরিকল্পনাই করা হয়েছে। এই পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়িত হলে ইসরায়েলের পাশে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রও গঠিত হতো। একটি সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, দুই দেশের অধিকাংশ মানুষই এই সংঘাত নিরসনে অন্য যেকোন পরিকল্পনার তুলনায় দুই-জাতি পরিকল্পনাকে বেশি সমর্থন করে। অধিকাংশ প্যালেস্টাইনী মনে করে, তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্র হওয়া উচিত পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকা-কে কেন্দ্র করে। অধিকাংশ ইসরায়েলীও এই ধারণা সমর্থন করে।

হাতে গোনা মাত্র কয়েকজন শিক্ষাবিদ সবকিছু বাদ দিয়ে একটিমাত্র রাষ্ট্র গঠনকে সমর্থন করে। তাদের মতে সমগ্র ইসরায়েল, পশ্চিম তীর ও গাজা মিলে একটি দ্বি-জাতীয় রাষ্ট্র গঠিত হওয়া উচিত যেখানে সবার সমান অধিকার থাকবে। কিন্তু এ নিয়ে কোন স্থির সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব হয়নি। কারণ প্রত্যেকেই অন্যের কন না কোন প্রস্তাবে অসম্মতি জ্ঞাপন করছে। এই সংঘতে দেশী-বিদেশী অনেকগুলো শক্তি ও বিষয় জড়িয়ে পড়েছে।

সংঘতে সরাসরি অংশ নেয়া দলগুলো হচ্ছে, এক পক্ষে ইসরায়েল সরকার যার প্রধান নেতা এহুদ ওলমার্ট। আর অন্য পক্ষে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও) যার প্রধান নেতা বর্তমানে মাহমুদ আব্বাস। এই দুই পক্ষের মধ্যে আনুষ্ঠানিক সমঝোতা তৈরীতে কেন্দ্রী চরিত্র হিসেবে কাজ করে কোয়ার্টেট অফ দ্য মিড্‌ল ইস্ট (বা শুধু কোয়ার্টেট) নামে পরিচিত একটি দল। এই দলে কূটনৈতিকভাবে অংশ নেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘ। আরব লীগ এই সংঘাতের আরেক নায়ক যারা একটি বিকল্প শান্তি পরিকল্পনা পেশ করেছে।

আরব লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মিশর এতে মুখ্য ভূমিকা রাখছে। ২০০৬ সালের পর থেকে প্যালেস্টাইনীয় অংশ দুটি প্রধান দলে বিভক্ত হয়ে পড়েছে: ফাতাহ এবং হামাস। এর মধ্যে ফাতাহ-ই বর্তমানে সবচেয়ে বড়। এর ফলে দেশের কেন্দ্রীয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক শাসিত মূল ভূমি ব্যবহারিক অর্থে দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে: পশ্চিম তীরে ফাতাহ এবং গাজা উপত্যকায় হামাস প্রভাব বিস্তার করেছে। এতে সমস্যা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে, কারণ ইসরায়েলসহ অনেকগুলো দেশই হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন মনে করে।

তার মানে, ২০০৬ এর নির্বাচনে হামাস সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়ী হলেও তাদেরকে কোন আন্তর্জাতিক সমঝোতা অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দেয়া হবে না। সবচেয়ে সাম্প্রতিক সময়ের সমঝোতা অনুষ্ঠানটি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের অ্যানাপোলিসে, ২০০৭ সালের নভেম্বর মাসে। এই আলোচনার মাধ্যমে ২০০৮ এর শেষ নাগাদ একটি চিরস্থায়ী শান্তি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হয়েছিল। অংশগ্রহণকারী দলগুলো বলেছে, ৬ টি প্রধান বিষয় আছে যেগুলোর সমাধান না হলে শান্তি আসবে না। এগুলো হচ্ছে: জেরুসালেম, শরণার্থী, আবাসন, নিরাপত্তা, সীশান্ত এবং পানি।

এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। ইসরায়েল ও প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে এই সংঘাত নিয়ে বিভিন্ন রকম মতামতের সৃষ্টি হয়েছে। এর মাধ্যশে বোঝা যায়, সংঘাতটা শুধু ইসরায়েল আর প্যালেস্টাইনের মধ্যে নয়, উভয়ের অভ্যন্তরেও অনেক অর্ন্তর্দ্বন্দ্ব্ব বিদ্যমান। এই সংঘাতের সবচেয়ে বীভৎস দিক হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদী সহিংসতা। অনেক দিন ধরে এই অঞ্চলে এক নাগাড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটছে।

এই যুদ্ধে অংশ নিচ্ছে সেনাবাহিনী, আধাসামরিক বাহিনী এবং সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো। শুধু সামরিক লোকই মারা যাচ্ছে না, সাথে প্রচুর বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটছে। ( সুত্রঃ বাংলাপিডিয়া ) গাজা থেকে একটি চিঠি প্রিয় সবাই, গতকাল থেকে গাজায় আবার হামলা হচ্ছে। ইস্রায়িলীয় বিমান হামলায় কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অসংখ্য পুরুষ, নারী ও শিশু নিহত এবং আহত হয়েছে। বিল্ডিংগুলো ধ্বসে পড়েছে আর এর বাসিন্দারা পথে পথে আতঙ্কিত হয়ে ছুটছে... হাসপাতাল গুলোতে ইতিমধ্যেই অনেক বেশী চাপ।

আবারো নতুন করে যুদ্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। গতরাত ও আজ সারা সকাল গাজা ভূখণ্ডের উপর বৃষ্টির মত বোমা বর্ষণ হচ্ছে। আমরা আরও খারাপ কিছু ঘটার আশঙ্কায় আছি। ফিলিস্তিনীরা ইতিমধ্যে বহুবার ইস্রায়িলীয় মিলিটারি আক্রমনের শিকার হয়েছে। কিন্তু তারপরও কোন মানুষ কষ্ট আর আতঙ্ক ছাড়া যুদ্ধাবস্থায় অভ্যস্ত হতে পারে না।

আসলে এখনও আমাদের স্মৃতিতে ২০০৮-২০০৯ এর যুদ্ধের কথা এত তাজা হয়ে আছে, আমরা তা কিছুতেই ভুলতে পারছি না; জানি না কিভাবে এই নতুন হামলা সহ্য করব। আমার নয় বছরের ছোট মেয়েটি আজ সকালে আমাকে প্রশ্ন করছে – ‘বাবা, কেউ কি ভয়ে মারা যায়?’ আমার মেয়ে আতঙ্কিত এবং ইতিমধ্যেই অসুস্থ। আল্লাহ যেন এই পরস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের সাহায্য করেন। আপনাদের দুয়াতে আমাদের মনে রাখবেন...আপনাদের সবার সাথে যোগাযোগ বজায় রাখা আমাদের জন্য খুব জরুরী; সারা পৃথিবীর ভাই বোনেরা যে আমাদের ভুলে যায়নি এটা জানা আমাদের ভীষণ প্রয়োজন। আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতু আবু জাফর ( সুত্রঃ Click This Link আসুন ফেসবুক থেকে সংগৃহীত কিছু ছবি দেখিঃ আপনার হৃদয় কতোটুকু কষ্টে এরকম পাথর হলে আপনি আপনার মাত্র হাটতে শেখা শিশুটির মৃতদেহ নিয়ে এভাবে মেরুদণ্ড সোজা করে নিজে পায়ে দাড়াতে পারবেন ? পারবেন এমন একটা বোন হতে ? যে এই বয়সে তার খেলার সাথী ভাইয়ের মৃতদেহের সামনে বসে থাকে ! পারবেন ? এই মেয়েটির নাম রানান ইউসুফ আরাফাত।

বয়স মাত্র ৩ বছর। এই মেয়েটি গতকাল ইসরাইলী বোমার আঘাতে মারা যায়। মেয়েটির দেহটি পুড়ে কয়লার মত হয়ে যায়। এইসব সংবাদ পশ্চিমা মিডিয়ায় বা আমাদের সংবাদপত্রে আসে না। তাদের কাছে এটা কোন নিউজ না।

আর আমাদের তথাকথিত নারীবাদী, গবাদি নাস্তিক, চুশিলরা তাদের মুখে ঠুলি ( গরুর মুখে যে বাঁশের তৈরি বেড় পড়ানো থাকে ) এঁটে বসে আছেন। তাই তারা এটা নিয়ে কোন কথা বলতে পারছে না। পাকিস্তানে আহত এক মালালার জন্যে নাস্তিক ও মডারেট মুসলিমদের চোখে অশ্রুর ফোয়ারা বয়ে যায়! অথচ লক্ষ মালালা যখন ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলীদের বলির পাঁঠা হয় তখন তারা কাপুরুষের ন্যায় নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। কেন এই দুমুখো নীতি??? মালালার উপর আঘাতে যাদের অন্তর কেঁদে উঠে, কই তারা? মালালার উপর একটা আঘাত করলে মালালা দিবস হিসাবে পালন করা লাগে, শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা লাগে মালালাকে, আর যে নিস্পাপ শিশুরা ইজরাইলের রকেট হামলায় ছিন্নভিন্ন হয়ে গেল, তার জন্য কিছু করা লাগে না? যে ছেলেটা নিজের দেশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করে শত্রুর হাতে প্রাণ দিল, সে কি বীর নয়? না, তারা বীর নয়, তারা হচ্ছে জঙ্গি, তারা হচ্ছে সন্ত্রাসী। বীর হচ্ছে একমাত্র মালালা।

আচ্ছা সুশীল সমাজ, ঐ ফিলিস্তিনি ছেলেগুলো যখন নিজের ধর্মের জন্য দেশের জন্য যুদ্ধ করে-জীবন দেয়, তখন তারা হয় সন্ত্রাসী, তাহলে ৭১ য়ে যারা আমাদের দেশের স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিয়েছে, তারা কি ছিলো? ইহুদীদের সম্পর্কে হিটলারের আটটি পয়েন্ট। - সুত্রঃ ব্লগার রমিত দা' জার্মানিয়া নামে অভিহিত প্রথম কয়েকজন ইহুদী আসে রোম আক্রমণের সময়। তারা আসে বণিকের বেশে, আপন জাতীয়তা গোপন করে। ইহুদীরা যখন আর্যদের ঘনিষ্ট সম্পর্কে আসে একমাত্র তখনই তাদের কিছু উন্নতি দেখা যায়। (ক) স্থায়ী বসতি হওয়া মাত্র ইহুদীরা সেখানে বণিকের বেশে উপস্থিত হয়।

তারা তখন সাধারনত দুটি কারণে তাদের জাতীয় স্বাতন্ত্র্য রক্ষা করতে সমর্থ হয়। প্রথমত তারা অন্যান্য জাতির ভাষা জানত না। একমাত্র ব্যবসাগত ব্যাপার ছাড়া আর কোন বিষয়ে কোন কথা বলতো না বা মিশত না কারো সঙ্গে। দ্বিতীয়ত তাদের স্বভাবটা ছলচাতুর্যে ভরা ছিল বলে কারো সঙ্গে মিল হতোনা তাদের। (খ) ধীরে ধীরে তারা স্থানীয় অর্থনৈতিক কর্মতৎপরতায় অংশগ্রহণ করে।

কিন্তু অর্থনীতির ক্ষেত্রে তারা কোন উৎপাদকের ভূমিকা গ্রহণ করেনি, গ্রহণ করে দালালের ভূমিকা। হাজার হাজার বছর ধরে ব্যবসা করা সত্বেও তাদের ব্যবসাগত চাতুর্য আর্যদের হার মানিয়ে দেয়। কারণ অর্থনীতির ক্ষেত্রেও আর্যরা সবসময় সততা মেনে চলত। কাজেই ব্যবসা-বাণিজ্য ব্যাপারটা যেন ইহুদীদের একচেটিয়া কারবারে পরিণত হয়। তাছাড়া তারা চড়া সুদে টাকা দিতে থাকে।

ধার করা টাকায় সুদের প্রবর্তন তাদেরই কীর্তি। এই সুদ প্রথায় অন্তর্নীহিত জটিলতার কথাটা ভেবে দেখা হয়নি, সাময়িক সুবিধার জন্য এ প্রথা তখন মেনে নিয়েছিল সবাই। (গ) এইভাবে ইহুদীরা ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলে নিজেদেরকে। ছোট বড় বিভিন্ন শহরের এক-একটা অংশে বসতি গড়ে ফেলে তারা। এক একটা রাষ্ট্রের মধ্যে গড়ে ওঠে এক একটা স্বতন্ত্র রাষ্ট্র।

তারা ভাবে ব্যবসা বাণিজ্য ব্যাপারটাতে যেন একমাত্র তাদেরই অধিকার। আর এই অধিকার বশে প্রমত্ত হয়ে তারা স্বর্ণ সুযোগ নিতে থাকে। (ঘ) ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে একচেটিয়া আধিপত্য লাভ করলেও ইহুদীরা যুদ্ধের কারবারের জন্য হেয় হয়ে ওঠে জনগণের কাছে। ক্রমে ইহুদীরা ভুসম্পত্তি অর্থাৎ জমি জায়গা নিয়েও কেনাবেচা শুরু করে। তারা অনেক জমি কিনে কৃষকদের খাজনার বন্দোবস্ত করে বিলি করতে থাকে।

যে কৃষক তাদের বেশি খাজনা দিত সেই কৃষক জমি চাষ করতে পারত। ইহুদীরা কিন্তু নিজেরা জমি চাষ করতে পারত না। তারা শুধু জমি নিয়ে ব্যবসা করত। ক্রমে ইহুদীদের অত্যাচার বেড়ে উঠলে ঋণগ্রস্ত জনগণ বিদ্রোহী হয়ে ওঠে তাদের বিরুদ্ধে। তৎক্ষনাৎ স্থানীয় অধিবাসীরা ইহুদীদের স্বরূপ বুঝতে পারে।

তাদের সন্দেহের চোখে দেখতে শুরু করে। ইহুদীদের জাতীয় চরিত্রের বৈশিষ্ট্যগুলোকে তখন তারা খুঁটিয়ে দেখতে থাকে। চরম দুরাবস্থার মধ্যে পড়ে জনগণ ক্রদ্ধ হয়ে ওঠে এবং ইহুদীদের বিষয় সম্পত্তি কেড়ে নেয়। তখন তারা ইহুদীদের মনে-প্রানে ঘৃণা করতে থাকে এবং তাদের দেশে ইহুদীদের উপস্থিতি বিপজ্জনক বলে ভাবতে শুরু করে। (ঙ) ইহুদীরা এবার খোলাখুলিভাবে আপন স্বরূপে আত্মপ্রকাশ করে।

তারা সরকারকে হাত করে, তোষামোদ দ্বারা প্রশাসনের লোকজনদের বশিভুত করে টাকা উৎকোচ দ্বারা অনেক অসৎ কাজ করিয়ে নেয়। এইভাবে তারা শোষনের সুবিধা করে নেয়। ক্রুদ্ধ জনগণের রোষে পড়ে তারা একসময় বিতারিত হতে বাধ্য হলেও আবার তারা ফিরে আসে। আবার তারা সেই ঘৃণ্য ব্যবসা শুরু করে দরিদ্র জনগণকে শোষন করতে থাকে। এ ব্যপারে ইহুদীরা যেন খুব বেশিদূর এগুতে না পারে তার জন্য আইন প্রনয়ন করে কোন ভুসম্পত্তির অধিকার হতে বঞ্চিত করা হয়।

(চ) রাজা মহারাজাদের শক্তি যতই বৃদ্ধি পেতে থাকে ইহুদীরা ততোই তাদের দিকে চলে। তাদের তোষামোদ করতে থাকে। তাদের কাছ থেকে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ-সুবিধা লাভের চেষ্টা করে। মোটা মোটা টাকার বিনিময়ে রাজা-রাজরাও সেই সুবিধা দিতে থাকে। কিন্তু ধুর্ত ইহুদীরা রাজাদের যত টাকাই দিক, অল্প সময়ের মধ্যেই তারা কম শোষণ করে না।

রাজাদের টাকার দরকার হলেই নতুন সুবিধা লাভের জন্যে ইহুদীরা আবার তাদের টাকা দিত। এইভাবে রক্তচোষা জোঁকের মত একধার থেকে সকল শ্রেণির লোককে শোষণ করতো তারা। এই বিষয়ে জার্মান রাজাদের ভূমিকা ইহূদীদের মতই ছিল সমান ঘৃণ্য। তাদের পৃষ্ঠপোষকতাতেই এতখানি উদ্ধত হয়ে ওঠে ইহুদীরা এবং তাদের জন্য জার্মান জনগণ ইহুদীদের শোষণ থেকে মুক্ত করতে পারছিল না নিজেদেরকে। পরে অবশ্য জার্মান রাজারা শয়তানদের কাছে নিজেদের বিক্রি করে বা চিনে নিয়ে তার প্রতিফল হাতে হাতে পায়।

শয়তানদের প্রলোভনে তাদের দেশের জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে তা বুঝতে পারে। (ছ) এইভাবে জার্মান রাজারা ইহুদীদের প্রলোভনে ধরা দিয়ে শ্রদ্ধা ও সম্মান হারিয়ে ফেলে। শ্রদ্ধা ও সম্মান লাভের পরিবর্তে তাদের ঘৃণা করতে থাকে দেশের জনগণ। কারণ রাজারা তাদের প্রজাদের স্বার্থ রক্ষা করতে সমর্থ তো হয়নি বরং প্রকারান্তেরে দেশের জনগণকে শোষণ করতে সাহায্য করত ইহুদীদেরকে। এদিকে চতুর ইহুদীরা বুঝতে পেরেছিল জার্মান রাজাদের পতন আসন্ন।

অমিতব্যায়ী জার্মান রাজারা যে অর্থ অপব্যয় করে উড়িয়ে দিয়েছে, সেই অর্থ যোগারের জন্যে তাদের একজনকে ধরে নিজেদের উন্নতি ত্বরান্বিত করে তুলতো তারা। টাকা দিয়ে তারা বড় বড় সম্পদও লাভ করতে থাকে সমগ্র জার্মান সমাজ দূষিত হয়ে পড়ে ঘরে ও বাইরে। (জ) এই সময় হঠাৎ এক রুপান্তর দেখা দেয় ইহুদীদের জগতে। এতোদিন তারা সবদিক থেকে তাদের জাতীয় স্বাতন্ত্র ও চরিত্রগত বৈশিষ্ট্য বজায় রেখে চলছিল। কিন্তু এবার তারা খ্রীষ্টধর্ম গ্রহন করতে থাকে।

খ্রীষ্টান চার্চের যাজকেরা এক নতুন মানব সন্তান লাভ করে। এবার ইহুদীরা জার্মান ভাষা শিক্ষা করতে থাকে। কেন? কারণ তারা জার্মান রাজশক্তির পতন ঘটিয়েছে। এখন আর রাজাদের উপর নির্ভর করে থাকার উপায় নেই। সমাজের সর্বস্তরে অর্থনৈতিক আধিপত্য বিস্তার করতে হলে ঐ দেশের নাগরিকত্ব অর্জন করতে হবে।

সমাজের উপর দৃঢ়ভাবে দাঁড়াতে হলে চাই ভাষাশিক্ষা। একদিন প্রাচীনকালে বিশ্বজয়ের ও বিশ্বশাসনের যে অস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি তাদের গোচর হয়েছিল, তখন সেই সুযোগের অপূর্বক্ষণ এসে গেছে বলে মনে হয় তাদের। ফিলিস্তিনিদের ভুলঃ প্যালেস্টাইনীয় অংশ দুটি প্রধান দলে বিভক্ত হয়ে পড়েছে: ফাতাহ এবং হামাস। এর মধ্যে ফাতাহ-ই বর্তমানে সবচেয়ে বড়। এর ফলে দেশের কেন্দ্রীয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক শাসিত মূল ভূমি ব্যবহারিক অর্থে দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে: পশ্চিম তীরে ফাতাহ এবং গাজা উপত্যকায় হামাস প্রভাব বিস্তার করেছে।

এতে সমস্যা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে, কারণ ইসরায়েলসহ অনেকগুলো দেশই হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন মনে করে। তার মানে, ২০০৬ এর নির্বাচনে হামাস সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়ী হলেও তাদেরকে কোন আন্তর্জাতিক সমঝোতা অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দেয়া হবে না। এই বিভক্তি হওয়াই ছিল ফিলিস্তিনিদের ইতিহাসের সবচে’ বড় ভুল । এবং তার ফল তারা এখন ভোগ করছে । আর তার চরম মূল্য দিতে হচ্ছে ফিলিস্তিনি শিশুদেরকে ।

একটা চরম সত্য বাস্তবতাঃ ছবিটা মাত্রই ব্লগার প্রলেতারিয়েত এর পোস্ট থেকে নিলাম । এগার মাসের বাচ্চাকে মারা সেলফ ডিফেন্স নয় । পাঁচ বছরের একটা বাচ্চাকে সন্ত্রাসী ট্যাগ দিয়ে মারা হয় । ইসারাইল যা করছে তা যুদ্ধাপরাধ । যুদ্ধাপরাধও বলা ঠিক না ।

এটা সোজাসাপটা কথায় ‘ জেনোসাইড ‘’ আসুন সবাই বলিঃ স্টপ জেনোসাইড ইন ফিলিস্তিন । আসুন সবাই ফিলিস্তিনি হতভাগ্য শিশুদের জন্য দোয়া করি ।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ২০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।