কাঁদছো !! কান্নাতে তোমাকে দারুণ দেখায় ! সুকান্ত আমার খুব ভালো বন্ধু ছিল। প্রভাকে চিনতাম শুধু সুকান্তের বন্ধু হিসেবে। সুকান্ত নম্র ভদ্র খুবই শান্ত ছেলে ছিল। কখন যে ও প্রভাকে ভালবেসেছিল সেটি আমরা কেউ টের পাই নি। একসময় সুকান্তের ভিতর ক্যান্সার ঘর বাঁধে।
সুকান্ত কারোর করুণা চায় নি তাই সে বাচঁবে না জেনে নতুন জীবনের চেষ্টা চালায় নি। প্রচন্ড জেদ ছিল ভিতরে ভিতরে তাকে কোনদিন বাঁচানো যায় নি। একদিন হুট করে স্বেচ্ছায় ঘুমের ভিতরে মরে গেল একগাদা ঘুমের ট্যাবলেট গিলে। শ্মশানে তার মুখটা ছিল প্রচন্ড তৃপ্তির। সুকান্ত তুই কেমন আছিস? তোকে প্রচন্ড মিস করি।
সেই প্রভাকে
--------------------------------------
কোথাকার চন্দনের গন্ধে
আজও
সুকান্ত বারবার ফিরে আসে
এই নশ্বর পৃথিবীতে ।
ভালোবাসার সিঁড়িটে হোঁচট খেয়ে
বড্ড ছেলেমানুষী করে তোলে নিজেকে ।
অজান্তে ভিতরে জন্ম নেয়
ধূসর নির্মম বাস্তবতা
যার নাম,“ক্যান্সার” ।
এ জন্য বোধহয়
ভবিষ্যত গা ঝাকিয়ে ঝিমিয়ে পড়ে ।
অন্যদিকে প্রভা কেমন যেন বদলে যায়
স্রেফ নিজের কথা ভেবে ।
শুধু সুকান্ত দেখেছিল
মিথ্যে রঙের লাল-নীল স্বপ্ন ;
হঠাৎ একসময় হুট করে না জানিয়ে
সুকান্ত চলে গেল শেষ ট্রেনে
অনেক অনেক দূরে।
সেদিনের চন্দনের সাথে সাথে
ধূলিসাৎ হয়ে গেল
একটি পরিচয়,
একটি অস্তিত্ব ।
সেদিন
সুকান্তের সেই ভালোবাসার নারীর
সানগ্লাসের আড়ালে
চোখের জল খুঁজে পাওয়া যায় নি ।
এমনকি বিমর্ষ হতেও দেখে নি ।
সেই নারী স্রেফ বিট্রে করে চলে গেল ;
অথচ সরল সুকান্ত সেই প্রতারণার সূক্ষ্ম অভিনয়
কোনদিন ধরতে পারে নি ।
অথচ সুকান্ত
আজও বোধহয় স্বর্গের দুয়ারে
দাঁড়িয়ে
ভালোবেসে এখনও অপেক্ষা করে
একটি নারীর জন্যে
সেই প্রভাকে।
১৯ ই নভেম্বর,২০১২
--------------------------------------------------------------------------------
লেখালেখি ৩৬৫ প্রজেক্ট ১৫৯/৩৬৫
(বিলম্বে আপলোডের জন্যে দুঃখিত। ) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।