আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এই মহিলার মুখে থু থু মারার রুচি নাই।

গনজাগরনের মাধ্যেমে পরিবর্তন সম্ভব....মানুষের চিন্তার পরিবর্তন করাটা জরুরি ....বুদ্ধিবৃত্তিক পুনরজাগরনে বিশ্বাসী রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক নয় : সু চি ঐতিহাসিকদের দাবির বিপরীতে অবস্থান নিয়ে মিয়ানমারের বিরোধীদলীয় নেত্রী অং সান সু চি বলেছেন, এমন কোনো প্রমাণ নেই যে রোহিঙ্গা মুসলিমরা বাংলাদেশ অথবা মিয়ানমারের নাগরিক। অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপার বন্ধ করা না গেলে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হবে না। ভারত সফররত সু চি এনডিটিভিকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে এই মন্তব্য করেন। তবে ঐতিহাসিকরা বলছেন, শত শত বছর ধরেই রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে বসবাস করে আসছে। সপ্তম শতাব্দীতে আরব থেকে রোহিঙ্গাদের পূর্বপুরুষরা মিয়ানমারে এসে বসতি স্থাপন করে।

এনডিটিভিকে সু চি বলেন, ‘সরকারকে অভিবাসন ইস্যুর দিকে নজর দিতে হবে। সীমান্তে প্রচুর অবৈধ পারাপারের ঘটনা ঘটছে। এগুলো থামাতে হবে। অন্যথায় এই সমস্যার (রোহিঙ্গা) সমাধান হবে না। কারণ তাহলে বাংলাদেশ বলবে, তারা বার্মা থেকে এসেছে এবং বার্মা বলবে, তারা বাংলাদেশ থেকে এসেছে।

এই দুই পক্ষের দাবির সপক্ষে প্রমাণ কোথায়?’ সু চি বলেন, মিয়ানমারে সহিংসতা বন্ধের জন্য নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। যারা নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য তাদের নাগরিকত্বের পাশাপাশি পূর্ণ অধিকার দিতে হবে। তবে মিয়ানমারে বৌদ্ধ সম্প্রদায় ও রোহিঙ্গা উভয়েই সহিংসতায় জড়িত। গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষার আন্দোলনের আইকন সু চি-কে প্রশ্ন করা হয়েছিল—রোহিঙ্গা মুসলিমদের ব্যাপারে তার অবস্থান তার মানবাধিকার আন্দোলনের সঙ্গে পরস্পরবিরোধী কিনা। সু চি বলেন, ‘না পরস্পরবিরোধী নয়।

কারণ, এখানে উভয় পক্ষই সহিংসতায় জড়িত। এ কারণে আমি কোনো পক্ষ নিতে চাই না। আমি চাই, তাদের মধ্যে সংহতি প্রতিষ্ঠা হোক। কোনো পক্ষ নিলে আমার পক্ষে তা সম্ভব নয়। ’ তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, রোহিঙ্গা মুসলিমদের প্রসঙ্গ এলেই সু চি সব সময় তাত্ত্বিক কথাবার্তা বলে থাকেন।

এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কিংবদন্তি সু চি এখন একজন হিসেবি রাজনীতিক। তার দৃষ্টি এখন ২০১৫ সালের সংসদ নির্বাচনের দিকে। রোহিঙ্গা মুসলিমদের পক্ষ নিয়ে তিনি মিয়ানমারের সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর ভোট হারানোর ঝুঁকি নিতে চান না। তাই প্রকারান্তরে তিনি এখন মিয়ানমার সরকার ও বৃহত্ জনগোষ্ঠীর পক্ষেই কথা বলছেন। এনডিটিভির সঙ্গে সাক্ষাত্কারেও তিনি এর প্রমাণ রেখেছেন।

দীর্ঘ দুই যুগ যারা তার ওপর নির্মম নিপীড়ন চালিয়েছে, সেই সামরিক বাহিনী সম্পর্কেও তিনি আবেগময়ী বক্তব্য রেখেছেন। সু চি বলেন, ‘লোকজন আমার সম্পর্কে কুত্সা ছড়াচ্ছে। আমি অবাক হচ্ছি, গত ২৪ বছর ধরে আমি যে কথা বলছি, তা কেউ শুনছে না। সেনাবাহিনীর প্রতি আমার অগাধ ভালোবাসা আছে। আমার বাবার প্রথম যে স্মৃতির কথা আমার মনে পড়ে সেখানে তিনি উর্দি (ইউনিফরম) পরিহিত।

তার যেসব স্থিরচিত্র আছে, তার বেশিরভাগেই তিনি সামরিক উর্দি পরা। কাজেই উর্দি পরা লোকজন আমার প্রিয়পাত্র। ’ তিনি বলেন, ‘১৯৮৮ সালে ক্ষমতা দখলের পর সেনাবাহিনী যা করেছে, আমি অবশ্যই তার নিন্দা করি। কিন্তু তার ফলে সেনাবাহিনীর প্রতি আমার অগাধ ভালোবাসা শেষ হয়ে যায়নি। ’ জাতিসংঘের মতে, বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে নিগৃহীত সংখ্যালঘু সম্প্রদায় রোহিঙ্গা মুসলিমরা।

মিয়ানমার সরকার ও সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের হাতে তারা চরম নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। দেশটিতে প্রায় আট লাখ রোহিঙ্গা বাস করে।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।