আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইনি আজম খান।আমাদের পরিচিত পপগুরু আজম খান। ১৯৭১এ যার রাইফেল গর্জেছিল গীটারের মত আর ৭১এর পরে যার গীটার বেজেছে রাইফেলের মতো। গুরু তোমায় সালাম; যে মা তোমাকে জন্ম দিয়েছে সে মাকে সালাম!!

২০১১সালের ০৫জুন। যথারীতি সারা বিশ্বের মত বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছিল বিশ্ব পরিবেশ দিবস। কিন্তু এদেশের সঙ্গীতের গোটা পরিবেশে যেন বিরাজ করছিলো এক থমথমে অবস্থা। করবেই না বা কেন?সকাল ১০টা ২০মিনিটেই তো অসংখ্য ভক্তদের কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন,এদেশের পপ মিউজিকে কাণ্ডারি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আজম খান। দুরারোগ্য ক্যান্সারে নিভে যায় পপগুরুর জীবন প্রদীপ।

দিনটা ছিল রবিবার। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের বাতাসও যেন কেঁদে ফিরছিলো এই পপগুরুর মৃত্যুতে। । =========== পপ সম্রাট আজম খান। আসল নাম মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান।

জন্মেছিলেন ২৮ফেব্রুয়ারি,১৯৫০, আজিমপুরে। বাবা-মার আদরের সন্তান। ছোটবেলা থেকেই সংগীতানুরাগী ছেলেটি যখন SSCপাস করলেন,তার কিছুদিন পরেই উত্তাল হলো সমস্ত পূর্ব পাকিস্তান। ১৯৬৯সালের গণ অভ্যুত্থান। এই ছেলেটি তখন ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠির সক্রিয় সদস্য।

পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠির বিরুদ্ধে প্রচার করলেন গণসঙ্গীত। কেঁপে উঠলো পাকিস্তানীদের তখ্ত। গুরু এভাবেই করলেন শুরু. . . . . . সালটা ১৯৭১। মানবতা বিপন্ন হওয়ারই যেন আরেক নাম। গুরুর বয়স তখন ২১।

পায়ে হেঁটে আগরতলা পৌঁছালেন তিনি এবং তার ২বন্ধু। মূলত,উদ্দেশ্য ছিল ২নং সেক্টরের কমান্ডার মেজর খালেদ মোশাররফের অধীনে যুদ্ধ করার এবং গান গেয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রাণিত করা। কিন্তু,মেঘালয় থেকে ট্রেনিং নিয়ে তিনি পুরোদস্তুর সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা হয়ে যান এবং তার চরম বীরত্ব ও সাহসিকতা দেখান কুমিল্লার সালদায়। বাংলা মায়ের এই দামাল ছেলেগুলো সম্মুখ সমরে মোকাবিলা করেছিল শক্তিশালী পাকিস্তান সেনাবাহিনী। কুমিল্লার সম্মুখ সমরের পর আজম খান আগরতলায় ফিরে যান এবং পরবর্তীতে আজম খানকে ২নং সেক্টরের একটা সেকশনের ইনচার্জ করে ঢাকায় পাঠানো হয় একটা স্পেশাল গেরিলা অপারেশনের জন্য।

"অপারেশন তিতাস"নামের এই অপারেশনটি ছিল ঢাকার বড় বড় আন্তর্জাতিক হোটেলগুলোর গ্যাস সাপ্লাইকে বিঘ্ন করার;যাতে সেখানে অবস্থানরত বিদেশি সাংবাদিকরা গেরিলাদের ক্ষমতা বুঝতে পারে। এ অপারেশনটি করতে গিয়ে তিনি আঘাত পান,যা পরবর্তীতে তার শ্রবণ শক্তিকে ক্ষতিগ্রস্থ করে। এ অপারেশন ছাড়াও,সেকশান ইনচার্জ হিসেবে তিনি ঢাকার বেশ কয়েকটি গেরিলা অপারেশনের নেতৃত্বও দেন। ১৯৭১এর ডিসেম্বরে তিনি তার সঙ্গীদের নিয়ে পরিপূর্ণভাবে ঢাকায় প্রবেশের আগে মাদারটেকের কাছে ত্রিমোহনীতে সংগঠিত যুদ্ধে চরমভাবে পরাজিত করেন পাকসেনাদের । ।

। ============== গুরু তোমায় সালাম । । বিনম্র শ্রদ্ধান্জলি এই বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সঙ্গীতের কান্ডারির প্রতি। আজ তার ২য় মৃত্যুবার্ষিকী।

আসুন,আমরা তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি । । ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।