আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমি কেন মূল্যহীন?

১৯০৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর। ইউনিভার্সিটি অব শিকাগো'র বিশাল অডিটোরিয়ামটি কানায়-কানায় পূর্ণ। উপলক্ষ- বিশ্ববিদ্যালয়টির ৫২ তম সমাবর্তন আজ। আর বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন- জগৎবিখ্যাত উদ্ভিদবিদ, 'হুগো দ্যা ভ্রিস'। অডিটোরিয়ামে এখন পিনপতন নীরবতা।

কারণ- মিস্টার হুগো'র অবস্থান এখন মঞ্চে। চারদিক নিস্তব্ধ। হঠাৎ হুগো সাহেব পকেট থেকে ১০০০ ডলারের চকচকে একটি নোট বের করে বললেন, "তোমরা কে-কে এটা নিতে চাও?" অসংখ্য হাত উপরে উঠল। এবার জনাব হুগো নোটটিকে দুমড়ে-মুচড়ে আবার সোজা করে বললেন, "এবার এটাকে কে-কে নিতে চাও?" আবারো সমপরিমাণ হাত উপরে উঠল। এরপর স্যার হুগো নোটটিকে পায়ের নিচে ফেলে নোংরা করে জানতে চাইলেন কেউ এটা নিতে চায় কিনা।

অবস্থা-আগের মতই। সবাই নোটটা চায়। এরপর তিনি যা বললেন- "তোমরা প্রথমে চকচকে নোটটি নিতে চেয়েছিলে। এরপর এটিকে মোচড়ানো হল, নোংরা করা হল। তার পরও তোমরা এটা নিতে চাইলে।

কারণ- তখনও এটার মান বা দাম কমেনি। ঠিক একই ঘটনা ঘটে মাঝে-মাঝে আমাদের জীবনে। জীবন চলার পথে কখনো আমরা ভেঙে যাই, কখনো নোংরা হই, আসে অনেক বাধা-বিপত্তি, পরাজয়। কিন্তু তখন যদি আমরা ভেঙে পড়ি, নিজেকে মূল্যহীন মনে করি তাহলে আমাদের ওখানেই থেমে যেতে হবে। ভাল কিছু সম্ভব হবেনা।

" উপরের বিশাল বিরক্তিকর লেখাটার একটা উদ্দেশ্য আছে। কয়েকদিন থেকে লক্ষ করছি আমার কিছু প্রিয় মানুষ পরীক্ষায় খারাপ করে মরা মানুষের মত ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারা নাকি জীবনের কোন মূল্য খুজে পাচ্ছেনা। শুধুমাত্র তাদের জন্যই এই আপদটাকে লিখলাম। তোমরা পরীক্ষায় খারাপ করেছ বলেই তোমাদের মূল্য সামান্যতমও কমেনি।

হয়তবা তোমাদের জন্য আরও ভাল কিছু অপেক্ষা করছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজে একজন বিখ্যাত প্রফেসর আছেন যিনি মাত্র তিনবারে প্রথম পেশাগত পরীক্ষা পাশ করেছেন। আর যাদের মহান সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস আছে তারা তো সবাই জানেন, উনি যা করেন ভালর জন্যই করেন। কাজেই আজ থেকে কোন চিন্তা নয়। শুধু ফুর্তি আর ফুর্তি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।