আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় !

কোন এক আজগুবি কারণে আমাদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন ধরণের উদ্ভট সিদ্ধান্ত দিয়ে লোকজনকে হাসানোর মহান দায়িত্ব পালন করে থাকে। এবারের সিদ্ধান্ত ছিল,এবার অনার্স ১ম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষায় ছেলেদের হল গুলোতে কোন ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থী থাকতে পারবে না। চট্টগ্রাম শহর থেকে চবির দূরত্ব ২২ কি.মি.। খুব সম্ভবত কারো উর্বর মস্তিষ্ক থেকে এই ধারণা এসেছে যে,চবিতে শুধু চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীরাই পড়ে। এই শিক্ষার্থীরা কোথায় থাকবে তা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আমাদের ক্যম্পাসের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সিরাজউদ্দৌলাহ সমকালকে বলেন, 'পৃথিবীর কোথাও এত অল্প খরচে উচ্চশিক্ষা হয় না।

হোটেলে থাকার টাকা না থাকলে এসব ছেলের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার চিন্তা করা ঠিক নয়। তাদের উচিত ভোকেশনালে গিয়ে ভর্তি হওয়া। আর এমনিতেও প্রচলিত উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থা দেশের কোন উপকারে আসছে না। " স্যার, টাকা নেই বলেই আমরা সেশন জট,অনেক শিক্ষক আর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বেচ্ছাচারিতা ,বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েই বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করি। দলাদলিতে রাস্তায় পড়ে থাকে আমাদের রক্তাক্ত লাশ।

হতাশ শিক্ষার্থীরা গলায় পড়ে ফাঁসির দড়ি। কে বলবে আমাদের এই চবি-ই অপরাজেয় বাংলার ভাস্কর আব্দুল্লাহ খালিদ ,শিল্পী মুর্তজা বশীর,সৈয়দ আলী আহসান,মমতাজউদ্দীন আহমেদ,আবু হেনা মোস্তফা কামাল,আবুল ফজলের মত কীর্তিমানদের পদচারণায় একসময় মুখরিত হতো ! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।