আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভেজাল মুক্ত খাদ্যে এ সরকারের অবদান।

আমি একজন ছাএ খাদ্যে ভেজাল ও রাসায়নিক মিশ্রণ মানব দেহের জন্য ভয়াবহ সমস্যা। এ অবস্থা চলতে থাকলে বিকলাঙ্গ প্রজন্ম তৈরী হতে খুব বেশি সময় লাগবে না। খাদ্যে ভেজালকারীরা খুনির চেয়েও ভয়ংকর! ওরা প্রজন্ম-বিধ্বংসী। দেশে খাদ্যে ভেজাল মারাত্মক রূপ নিয়েছে। খাদ্যে ভেজাল নিয়ে গোটা জাতি আজ আতঙ্কিত।

খাদ্যে ভেজালের কারণে দেশে সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। ফলমূল থেকে শাক-সবজি, মাছ কোনটাই এখন আর নিরাপদ নেই। এ জাতীয় প্রতিটি খাদ্যে মেশান হচ্ছে মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ। বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী। অধিক মুনাফার আশায় তারা গোটা জাতিকে বিষ খাওয়াচ্ছে।

খাদ্যদ্রব্যে ফরমালিন স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এর মধ্যে সরকার রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরের ছোট বড় বেশির ভাগ হাট বাজার গুলোকে ফরমালিন মুক্ত ঘোষণা করেছেন এবং সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করেছেন যা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছেন। দেশের সব বাজার গুলোকে ফরমালিন মুক্ত ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছেন যেমনঃ (১) কোন ব্যক্তি খাদ্যদ্রব্যে মানবস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিকর বা জীবনহানিকর কোন রাসায়নিক বা খাদ্যদ্রব্যকে রঞ্জিত ও স্বাদগন্ধযুক্ত করার জন্য বিষাক্ত দ্রব্য ব্যবহার বা বিক্রয় করলে সে ব্যক্তি প্রথমবারের মতো অনুর্ধ সাত বছর কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা। এই অপরাধ পুনরায় সংঘটনের জন্য ১৪ বছর কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ড বা ২০ লাখ টাকা জরিমানা। (২) ভেজাল খাদ্য প্রস্তুতকারীকে অনূর্ধ্ব সাত বছর কারাদণ্ড বা অনুধিক পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা একই অপরাধ পুনরায় সংঘটনের জন্য ১৪ বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ লাখ টাকা জরিমানা বিধান থাকছে।

মেয়াদ উত্তীর্ণ কোন খাদ্যদ্রব্য বিক্রয় করলে অনধিক পাঁচ বছর কারাদণ্ড বা তিন লাখ টাকা জরিমানা । (৩) কোন খাদ্য সরবরাহকালে বিক্রেতা বা হোটেল রেস্তোরাঁ-ভোজনস্থলে পরিবেশন-সেবা প্রদানকারী দায়িত্বহীনতা, অবহেলা বা অসতর্কতার কারণে খাদ্য-গ্রহীতার স্বাস্থ্যহানি ঘটার অপরাধে অনুর্ধ পাঁচ বছর কারাদণ্ড বা তিন লাখ টাকা জরিমানা। একই অপরাধ পুনরায় সংঘটিত করলে সে ক্ষেত্রে এর দ্বিগুণ শাস্তির বিধান থাকছে। (৪) রোগাক্রান্ত বা মৃত পশু-পাখির মাংস বা খাবার অনুপযোগী মাছ-মাংস দিয়ে খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত, বিক্রি, বা বিক্রির প্রস্তাব করলে সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা তিন লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান থাকছে। উপরোক্ত আইনগুলো যদি আমরা সঠিকভাবে সবাই মেনে চলি তাহলে ভয়াবহ এ সমস্যা থেকে অবশ্যই উত্তরণ হওয়া সম্ভব।

আর এর জন্য আমাদের সবাইকে একটু সচেতন হতে হবে। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৫ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।