আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অনলাইনে ক্যারিয়ার গড়ার অন্যতম উপায় হচ্ছে ব্লগিং করা !! জানেন কি ? ব্লগিং করেও আয় করা যায়।

আমি অনেক কিছু সাহস করে বলতে চেয় ও বলতে পারি না যখন দেখি আমার পাশের মানুষ গুলো পিছু হটে যায়... যখন দেখি সবাই নিজেকে নিয়ে অনেক বেশি ভাবে,তাই আমি ও কিছু বলতে চাই আমার প্রিয় ব্লগে... সজোরে আওয়াজ তুলতে চাই আমার ভালো লাগা লেখনি দিয়ে অনলাইনে ক্যারিয়ার গড়ার অন্যতম উপায় হচ্ছে ব্লগিং করা, বাংলাদেশ থেকেই এখন প্রচুর তরুণ-তরুণী ব্লগিংয়ের মাধ্যমে নিজেদের স্মার্ট ক্যারিয়ার নিশ্চিত করেছেন। ব্লগিং থেকে প্রতিমাসে ৩ থেকে ৪ হাজার ডলার আয় করছেন এমন সফল ব্লগারের সংখ্যাও এখন অনেক। ইন্টারনেটে আয়ের বিশাল এ ক্ষেত্রটিতে আমাদের দেশের তরুণরা যুক্ত হতে পারছে না কেবল সঠিক গাইডলাইনের অভাবে। অনেকে বিচ্ছিন্নভাবে So called গুরু দের কাছ থেকে ব্লগিং থেকে আয় করা শিখলেও শেষ পর্যন্ত সফল হতে পারেন না কেবল গোপন সব টেকনিকগুলো না জানার কারণে। বিশাল এ কাজের ক্ষেত্রটিতে এগোতে গেলে আপনাকে কৌশুলী হতেই হবে, জানতে হবে পরীক্ষিত সব উপায়।

ব্লগিং আর অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ব্লগিংয়ের মাধ্যমে কেবল টাকা নয়, পাওয়া যায় বিপুল সম্মানও। আন্তর্জাতিক বিশ্বে ব্লগারদের সাংবাদিক হিসাবেও এখন গণ্য করা হয়। স্মার্ট ক্যারিয়ার হিসাবে তাই ব্লগিং এখন ওয়েব উদ্যোক্তাদের মধ্যে 'হট-কেক'! ব্লগিংয়ের মাধ্যমে অনেক উপায়েই আয় করা যায়, তন্মধ্যে গুগল অ্যাডসেন্স আমাদের দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায়। সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্টের এ বিজ্ঞাপন প্লাটফর্মের মাধ্যমে প্রতিমাসে ১০ হাজার ডলারের উপরে আয় করছেন এমন ব্লগারের সংখ্যাও বাংলাদেশে রয়েছে। গুগল অ্যাডসেন্স এবং সরাসারি বিজ্ঞাপন স্পেস বিক্রি সহ আরও নানান উপায়ে আয় করতে পারেন একজন ব্লগার।

নিজের ব্লগের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট পণ্যকে সুপারিশ করেও (রেফার) আয় করার সুযোগ রয়েছে একজন ব্লগারের, যাকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলা হয়। ইন্টারনেট থেকে ভালো আয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে উপযোগী মাধ্যম এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। এই মাধ্যমে আপনি অন্য যেকোনো আয়ের উপায় যেমন অ্যাডসেন্স থেকেও বেশি আয় করতে পারবেন। যারা একেবারে নতুন, তাঁদের জন্য আরেকটু একটু বিস্তারিত বলতে হয় বৈকি! অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো এমন একটি টাকা আয়ের মাধ্যম যাতে আপনি অন্য একটি প্রতিষ্ঠানের পণ্যের মার্কেটিং করবেন এবং উক্ত পণ্যটি বিক্রি করবেন। ধরুন আপনি আপনার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ব্লগে একটি পোস্ট লিখলেন, 'স্লিম এবং আকর্ষণীয় হওয়ার ১০ কিলার উপায়!' এখন এ পোস্টে আপনি কিছু স্লিম হওয়ার ঔষধি বা সাপ্লিমেন্টারিকে সাজেস্ট করতে পারেন।

আর পণ্যটি কোথা থেকে একজন পাঠক কিনবেন তাঁর জন্য একটি ওয়েবসাইটের লিংকও ধরিয়ে দিলেন পোস্টে। যেহেতু একজন পাঠক আপনার এ পোস্টটি পড়বেন স্লিম এবং আকর্ষনীয় হওয়ার জন্য, তাই একজন লেখক যে ঔষধি বা সাপ্লিমেন্টারি তাঁকে সাজেস্ট করবেন তা কেনার যথেষ্ঠ সম্ভাবনা রয়েছে। এখন উক্ত পাঠক যদি আপনার অ্যাফিলিয়েট লিংকের মাধ্যমে ঐ পণ্য বা সেবা কিনে থাকেন, তাহলে আপনি একটি নির্দিষ্ট পরিমান কমিশন পাবেন। আপনার মার্চেন্ট অর্থাৎ আপনি যার পণ্য বিক্রি করছেন তিনি আপনাকে পেপাল অথবা অন্য কোনো মাধ্যমে আপনার কমিশন পরিশোধ করবেন। ব্লগিং আর অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য একজন ওয়েব উদ্যোক্তাকে ডোমেইন হোস্টিং কেনা থেকে শুরু করে ব্লগ সেটআপ করা, কিওয়ার্ড রিসার্স করা, প্রোডাক্ট রিসার্স করা, কনটেন্ট লেখা, সেলস পেজ ডিজাইন করা, এসইও করা এবং কিলার কনভার্সন রেট বানানোর উপায়গুলো জানতে হয়।

ডেভসটিম ইনস্টিটিউটট (ডেভসটিম লিমিটেডের একটি সিস্টার কনসার্ন) আগ্রহী ওয়েব উদ্যোক্তাদের জন্য এই সমস্ত বিষয়গুলো হাতে কলমে শেখানোর জন্য আয়োজন করেছে ব্লগিং এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে তিন মাস মেয়াদী প্রশিক্ষণের। লেখালেখি ও অ্যাফিলিয়েটের মাধ্যমে যারা নিজেদের ক্যারিয়ার গড়তে চান তাদের কথা মাথায় রেখেই এ প্রশিক্ষণের সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়েছে। এ বিষয়ক প্রকৃত প্রফেশনালরাই এ প্রশিক্ষণে জানাবেন তাদের সফলতার রহস্যগুলো-উপায়গুলো!! কারা শিখতে পারবেন? ইন্টারনেট সংক্রান্ত জ্ঞান আছে, লেখালেখিতে আগ্রহ আছে, ইংরেজি পড়তে বুঝতে পারেন এমন যে কেউ এ প্রশিক্ষণে অংশ নিতে পারেন। যাদের ব্লগিং ও অ্যাফিলিয়েটের মাধ্যমে আয়ের ইচ্ছা আছে কেবল তাদের জন্যই এ প্রশিক্ষণ। কি কি শেখানো হবে কিভাবে নিজের ব্লগসাইট তৈরি করতে হবে।

গুগল অ্যাডসেন্সে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে, কিভাবে পোস্ট লিখতে হবে, কিভাবে পোস্টের আইডিয়া জেনারেট করতে হবে, কিভাবে অ্যাড বসাতে হবে, কিভাবে পোস্ট লিখলে সেটিতে ভিজিটর বেশি পাওয়া যাবে, কিভাবে গুগল অ্যাডসেন্সের টাকা বাংলাদেশে আনতে হবে, কিভাবে নিশ ব্লগ তৈরি করে ব্যবসা করা যাবে এবং কিভাবে অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট ব্যন হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে এমন পরীক্ষিত শত শত টিপস। আর সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করার অ্যাডভান্স সব টিপস তো আছেই। এছাড়া প্রোডাক্ট রিসার্স (চাহিদা সম্পন্ন প্রফিট এবল পণ্য নির্বাচণ করবেন), কিওয়ার্ড রিসার্স (সার্চ ইঞ্জিন থেকে টার্গেটেড ভোক্তা প্রোডাক্ট বেস কিওয়ার্ড নির্বাচন ), ব্লগ বা ওয়েব সাইট রেডি করা (সার্চ ইঞ্জিন ফ্রেন্ডলি ব্লগ বা ওয়েব সাইট তৈরি করা), প্রোডাক্ট রিভিউ লিখা ( কাস্টমারকে পণ্য প্রদর্শণ ও লেখনির মাধ্যমে পণ্য কেনায় উৎসাহিত করতে), সাইটে টার্গেট ট্রাফিক আনার (এসইও, এসএমএম etc এর মাধ্যমে টার্গেটেড ট্রাফিক আনার ব্যবস্থা) সিস্টেমেটিক প্রয়োজনীয় সব বিষয় তো রয়েছেই। কিলার সব উপায়গুলো নিয়ে এ প্রশিক্ষণটির সিলেবাস। প্রশিক্ষন চলাকালীনই রয়েছে বাস্তব অভিজ্ঞতা দিতে পারবে এমন সব প্রজেক্ট! এটি শিখলে লাভ যারা ব্লগিং ও অ্যাফিলিয়েটের মাধ্যমে স্বাবলম্বী এবং Self Dependent হতে চান তাদের জন্যই এ কোর্স।

এটি শিখে আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী প্রতি মাসে ৫০০ ডলার থেকে ৫ হাজার ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। টাকা আয়ের মাধ্যম হিসাবে আমাদের দেশে ইতিমধ্যে ফ্রিল্যান্সিং বেশ জনপ্রিয়, তবে এটি হচ্ছে একজন বায়ারকে কাজ করে দেয়ার মাধ্যমে টাকা আয়। কাজ করলে আয় আছে, নইলে নয়! তবে ব্লগিং বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে একবার পরিশ্রম করলে সেটির ফলাফল দীর্ঘ মেয়াদী সময় ধরে পাওয়া যায়, অর্থ্যাৎ আয় হতে থাকে অনেকদিন পর্যন্ত। এজন্য ফ্রিল্যান্সিংয়ের চেয়ে ব্লগিং ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অনেকটা নিরাপদ, নিশ্চিত। এ কোর্সটি করার পর কেবল ব্লগিং আর অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের উপর যদি কেউ ফ্রিল্যান্সিং করতে চায় সে সুযোগও রয়েছে।

ওডেস্ক, ফ্রিল্যান্সার এবং ইল্যান্সারের মতো মার্কেটপ্লেসগুলোতে এ সংক্রান্ত প্রচুর প্রজেক্ট রয়েছে। কারা শেখাবেন? বাংলাদেশে ব্লগিং ও অ্যাফিলিয়েটের মাধ্যমে আয় করছেন এমন মানুষের তালিকা করলে অন্যতম শীর্ষ অবস্থানে আছেন এমন ব্লগাররাই এ কোর্সটি পরিচালনা করবেন। • জহিরুল ইসলাম মামুন, ব্লগার, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার এবং এসইও এক্সপার্ট • মাসুদুর রশীদ, ব্লগার, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার এবং এসইও এক্সপার্ট • তাহের চৌধুরি সুমন, ব্লগার, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার এবং এসইও এক্সপার্ট • নাসির উদ্দিন শামীম, ব্লগার, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার এবং এসইও এক্সপার্ট • মোঃ সাজ্জাদ হুসাইন অলি, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার (বেসিস ফ্রিল্যান্সার অব দ্যা ইয়ার - ২০১২)আরোও বিস্তারিত জানতে চাইলে বা ইভেন্ট সংক্রান্ত কোন প্রশ্ন থাকলে ইভেন্ট ওয়ালে করতে পারেন। আলোচনার জন্য যোগ দিতে পারেন অফিসিয়াল ফেসবুক গ্রুপে। ডেভসটিম সোসিয়াল নেটওয়ার্ক ১. ফেসবুক পেজ: https://www.facebook.com/DevsTeam ২. টুইটার: https://www.twitter.com/DevsTeam ৩. ফেসবুক গ্রুপ: https://www.facebook.com/groups/DevsTeam ৪. লিংকেডিন: http://www.linkedin.com/company/devsteam অফিসের ঠিকানা: ডেভসটিম লিমিটেড স্যুট# ১২১২, লেভেল#১২, মাল্টিপ্লান সেন্টার ৬৯-৭১ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা - ১২০৫ ফোনঃ ০২-৯৬৬২৬৪৪, ০১৯১১-৪৬৪৭১০, ০১৭১১-২৬৭৯১১, ০১৮১২-১৫৪৪৫৯ লেখটি সাইট থেকে সংগ্রহীত - আমার সাথে ব্যক্তিগত বা অন্য কোন ভাবে এদের যোগাযোগ নেই।

শুধুমাত্র তথ্য প্রচারের জন্য এই পোস্ট । কোন কিছু করার পূর্বে অবশ্যই এদের সত্যতা যাচাই করবেন নিজ দায়িত্তে। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ২১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।