আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মি.অসাম এর একদিন!!

স্বাধীনতা প্রিয় ১ জন মানুষ। শুধুই স্বাধীনতা চাই। https://www.facebook.com/md.z.bablu মি.অসাম আজ ঘুম থেকে খুব তাড়াতাড়ি উঠেছেন। তাও ১০ টা। উঠেই খবরের কাগজে চোখ বুলাচ্ছিলেন।

আলসেমির কারনে উনি পত্রিকায় ছবি ছাড়া আর কিছুই দেখেন ও না,পড়েন ও না। ছবি দেখে আন্দাজ করে নেন ঘটনাটি কি হতে পারে। একবার পত্রিকায় একটি ছবিতে ছবির উপরের অংশে ছিল মা ছেলের হাসি ভরা মুখ। আর ছবির নিচের অংশে ছিল বাবা মেয়ের একসাথে কান্নার ছবি। ছবি দেখে তো তিনি চিল্লাচিল্লি করে ঘর মাথায় তুললেন।

মিসেস অসাম কে ঢেকে বললেন "দেখসো!! মা- ছেলে মিইল্লা বাপ- মাইয়া দুইজনরে কি করসে?বাপ-,মাইয়া দুইজন ই কাঁদতাছে। " মিসেস অসাম তারপর পত্রিকা তুলে দেখলেন নিচে লিখা আছে..."১ নং ছবিতে এস.এস.সি তে জি.পি.এ ৫ পাওয়া এক শিক্ষার্থী মায়ের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করছে। আর নিচের ছবিটিতে আশানুরুপ ফল করতে না পারায় পিতার সাথে এক শিক্ষার্থীর কান্না" আজও তিনি পত্রিকা হাতে। যথারীতি একটি ছবি দেখছেন। ছবির প্রথম অংশে আছে এক মানুষ দোকানদার থেকে চাঁদা নিচ্ছেন।

আর পরের অংশে সেই একই মানুষ পুলিশের পোষাকে সাংবাদিকের কাছে ধরা খেয়েছেন। মি.অসাম সাথে সাথেই হাঁক ছাড়লেন। "দেইখা যাও এক চাঁদাবাজ পুলিশের পোষাক পইরা চাঁদাবাজি করতে গিয়া ধরা খাইয়া বইয়া আছে। "কিছুক্ষন পত্রিকা দেখার পর যখন দেখেন তার চা এর কাপ খালি,তখন তিনি রোজকার অভ্যাস মত সিগারেট এ টান দিতে দিতে ঘর বের হয়ে যান। তখন মিসেস অসাম টেবিল থেকে পত্রিকা তুলে দেখেন নিচে লিখা আছে,"অমুক থানার এক পুলিশ চাঁদাবাজি করতে গিয়ে ধরা পড়লেন সাংবাদিক এর ক্যামেরায়।

" মিসেস অসাম হাসলেন। ভাবলেন....মি.অসাম কথাটা নিতান্তই খারাপ বলেন নাই। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।