আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ, বিরোধীতাকারী, দ্বিমুখী, ত্রিমুখী ও বহুমুখী যুদ্ধবাজদের বর্তমান অবস্থান

আমি কেবলই আমার মতো আওয়ামী লীগের বিরোধীতা মানে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা নয়। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী অবশ্যই দেশবিরোধী এবং আওয়ামী লীগ বিরোধীতো বটেই। রাজনৈতিক কারনে একাত্তরের আগে ও পরে অনেকেই আওয়ামী লীগের বিরোধীতা করেছে কিন্তু উনারা মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়েও পড়েছে। কিন্তু একাত্তরের আগে ও পরের বিরোধীতার সঙ্গে সঙ্গে যারা মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়েও আওয়ামী লীগ বিরোধীতায় লিপ্ত ছিল, আমার বিবেচনায় তাঁরা দেশবিরোধী। এদের একটি অংশ সরাসরি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেছে, আরেকটি অংশ দ্বিমুখী, ত্রিমুখী ও বহুমুখী যুদ্ধ করেছে।

সত্তরের নির্বাচনের মাধ্যমেই আওয়ামী লীগ জনগনের মুক্তিসংগ্রামের নেতৃত্ব দেওয়ার অধিকার অর্জন করেছিল। এরই ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগের প্রণীত, নির্ধারিত ও নেতৃত্বদানের মাধ্যমেই বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে। বাঙালি জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দর্শনের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এরফলে বিরোধীতাকারীরা তাঁদের নিজস্ব দলীয় রাজনৈতিক দর্শনের বিবেচনায় সঠিক থাকলেও যুদ্ধে পরাজয়ের মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধী বলে গন্য হয়েছে। পাশাপাশি দ্বিমুখী, ত্রিমুখী ও বহুমুখী যুদ্ধে অবতীর্ণ গোষ্ঠীও আক্ষরিক অর্থে পরাজয় বরন করেছিল।

তাঁদের রাজনৈতিক দর্শন তাঁদের কাছে সঠিক হলেও যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে তাঁরাও যুদ্ধাপরাধী। এই বিরোধীতাকারী, দ্বিমুখী, ত্রিমুখী ও বহুমুখী যুদ্ধে লিপ্তকারীদেরকেই আমরা বিএনপিতে দেখতে পাই। এর শুরুটা পঁচাত্তরের সাতই নভেম্বর থেকে। পর্যায়ক্রমে এই দলটিতে এদেরই রক্তের ও রাজনৈতিক উত্তরাধিকারীরা ক্রিয়াশীল রয়েছে। অবশ্য সঙ্গে কিছু দলছুট মুক্তিযোদ্ধাও রয়েছে।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।