আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

"সাঈদী সাহেবের ওপর এ জুলুম আল্লাহ সইবেন না"

জনারণ্যে নির্জনতায় আক্রান্ত। নির্জনতাই বেশী পছন্দ, নিজের ভেতরে ডুবে থাকতেই ভাল লাগে। কিছুটা নার্সিসিস্টও। জরুরী কাজে চট্টগ্রাম গিয়েছিলাম। কাজ সেরে ট্রেনে ঢাকা ফিরছি।

প্রায় পুরোপথ নিরুপদ্রবেই ছিলাম। ট্রেন বিমানবন্দর ষ্টেশনে থামতেই হুড়মুড় করে অনেক নতুন যাত্রী উঠে পড়লো। আমি যে সিটে ছিলাম সেখানে একজন সিট ভাগাভাগী করতে চাইলেন। কমলাপুর আসতে অল্পই বাকি তাই মুখের দিকে তাকিয়ে নিজের সিটটা শেয়ার করলাম। ইচ্ছা বা অনিচ্ছায় প্রায় সব পুরোনো যাত্রীকে তাদের সিট নতুন যাত্রীদের সাথে শেয়ার করতেই হলো।

তিনি বসেই ধন্যবাদ দিতে ভুললেন না। বসেই কোথা থেকে এলাম, ক্যান গেলাম এরকম দুএকটা কথার পরই হঠাৎই বললেন, দেখুননা সাঈদী সাহেবের সাথে এরকম জুলুম করাটা কি ঠিক হচ্ছে ? এ অন্যায় আল্লাহ সইবে না....। আমি হঠাৎ তার প্রসঙ্গবদলে খানিকটা আশ্চর্য্যই হলাম। জিজ্ঞেস করলাম কার কথা বলছেন ? উনি ততোধিক আশ্চর্য্য হয়ে আমার দিকে তাকালেন। নিজেকে সামলে নিয়েই সাঈদী সাহেব কত বড়মাপের বুজুর্গ তাই আমাকে ও বাকী শ্রোতাদের বুঝাতে লাগলেন।

আমিও আগ্রহী শ্রোতার মত তার কথার সাথে মাথা নাড়িয়ে সমর্থন জানাচ্ছিলাম। আমার আগ্রহে উনি বক্তব্য থামাচ্ছিলেনই না। পুরো অডিয়েন্স নিশ্চুপ তার বক্তব্যের কাছে। বলতে বলতে কিছুটা ক্লান্ত হবার পরই আমি বললাম, ও চিনেছি ! কিন্তু আরতো মনে হয় দুমাস বাকি। উনি আগ্রহভরে জানতে চাইলেন, কিসের দুমাস ? আমি ঠান্ডা কন্ঠে বললাম, '৭১ এর যুদ্ধাপরাধ মামলার রায়ের।

আমার জানামতে, এই ডিসেম্বরেই সর্বপ্রথম সাঈদী সাহেবের মামলার রায় হয়ে যাবে। তবে পরিস্থিতিতো ভাল না, মনে তো হয় ঝুলিয়েই দেবে, আহারে .......... আমার কথার পরই কয়েকজন ফিক করে হেসে দিলেন। পরিস্থিতির এরকম হঠাৎ বদলে উনি কিছুটা থমকে গিয়ে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে রইলেন........নতুন কোন কথা তার মুখ দিয়ে বেরুচ্ছিলোনা। ট্রেন কমলাপুর স্টেশনে প্রবেশের ঘোষনা প্রচারিত হচ্ছে। আমি গেইটের দিকে পা বাড়ালাম...........  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।